সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অনিয়মের বেড়াজালে,

 আমি এই লেখা টা যখন লেখতে বসেছি তার কয়েক ঘন্টা আগে আমাদের এই দেশে একটি অভিজাত এলাকা বেইলি রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন প্রায় পঞ্চাশ জনের বেশি মানুষ, এই ঘটনার পরবর্তী ভিবিন্ন টিভি চ্যানেলের নিউজ কাভারেজ , ঊর্ধ্বতন ব্যাক্তি বর্গ সমাজ সেবক ছাড়া ও সাধারন মানুষের মন্তব্য বক্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে,

তত্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে উন্নত আজকের এই দুনিয়ায় সোস্যাল নেটওয়ার্কে একটিভ থাকার কারনে সব গুলো প্রতিবেদন কে মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম, সজন হারা দের আহাজারি আর লাশের মিছিল স্কিনে দেখে মনের মাজে কেমন যেন হয়ে উটলো,

এই খবর গুলো দেখে নিজের বিবেকের কাছে যাদের প্রশ্ন জাগার কথা তাদের মনে দাগ কাটছে কি? রাজউক/সিটিকরপোরেসন/ছাড়া ও আরো বেশ কিছু সরকারি মনিটরিং প্রতিস্টান আছে, এই সব অফিসের সাথে যে সকল কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তারা কি আজকের এই দুরঘটনার দায় এড়াতে পারেন?

এত গুলি প্রান জরে পড়ার মধ্যে কি আপনাদের আপনজন কেউ ছিল না? হয়তো ছিল তার জন্য আপনার মন কেঁদেছে , আর আপনি শুধু দুরঘটনা মেনে নিয়ে কিছুক্ষনের জন্য কেঁদে হয়তো ভুলে যাবেন, নিজেকে জাগ্রত করবেন না,কিছু দিন পরে হয়তো এই রকম আরেক টা ঘটনা ঘটবে,

এই ঘটনার আগেও এমন কিছু ঘটেছিল, আমরা কেদেছিলাম, আবার ভুলেও গেছি, ঢাকা শহরে কন্সট্রাকসনের সাথে অনেকদিন জড়িত ছিলাম বেশ কিছু দিন, এখন ও মাজে মধ্যে কাজ থাকলে করি, আর সেই কাজের অভিজ্ঞতা আর তা করতে গিয়ে ভিবিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের অনিয়ম দেখেছি,

আমার অভিজ্ঞতার আলোকে সল্প জ্ঞ্যানে অল্প কিছু আলোচনা আর তার প্রতিকার নিয়ে লিখবো,জদি কারো পড়া হয় তো ভেবে চলতে অনুরুধ করছি, ঢাকা শহরের বিল্ডিং মালিকদের প্রতি আমার দেখা কোনো ভাড়াটিয়ার প্রজেটিব রিভিউ খুজে পাবেন না, দুই এক জনের কাছে মুখে মুখে শুনলে ও মন থেকে আসে না,

বিল্ডিং বানানোর সময় আবার মালিক ঠিকাদার সম্পর্ক টা ও মালিকের প্রতি ঠিকাদারদের নেগেটিভ রিভিউ ই বেশি,এই মালিক ভাড়াটিয়া বা ঠিকাদার সম্পর্ক ভালো না থাকার কারন কি হতে পারে তা কি ভেবে দেখেছেন?

এই বাজে সম্পর্কের আসল কারন হইলো ভাড়াটিয়ার থেকে বাড়িওয়ালা টাকা নিবে কিন্তু সারভিস দিবে না,আবার ঠিকাদারের থেকে সারভিস নিবে কিন্তু টাকা দিবে না, অথচ এই বিল্ডিং কে মরন ফাদ বানানোর জন্য নিয়মের তোয়াক্কা না করে চলার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করবে ভিন্ন রাস্তায়, আমি সেই ভিন্ন রাস্তা বলতে কি বুজাতে চাইছি আশা করি আপনারা বুজতে পারছেন,

অথচ এই ভিন্ন রাস্তা কে বেছে না নিয়ে নিয়িমের মধ্যে থেকে ঠিকাদার থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া পরজন্ত সবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে ও সমান ব্যাবসা হতে পারতো,

যেহেতু এই বাড়িওলাদের কে বুজাতে আমরা এত গুলো দিন পারি নি,আর তাদের এই অনিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আমরা বার বার এই রকম দুরঘটনার শিকার হই আমাদের আপন জন হারাই তাই সবার আগে দরকার আমাদের কে তাদের বেড়াজাল থেকে বেরোনুর,

তা করবো কি ভাবে? আপনি যেখানে ভাড়া থাকেন সেই বাসার অনুমোদন কয় তলা?কয় ইউনিটের  বাড়ি? আপনার ফ্লাটের আলাদা বিদ্যুৎ এর মিটার আছে কি না? লাইনের গ্যাস থাকলে তা আপনার ফ্ল্যাটের জন্য আলাদা কানেকশন পাশ করা আছে কি না?

এই সব গুলো প্রশ্নের উত্তর জেনে নিয়ে একটা পরিচ্ছন্ন বাড়িতে উঠেন, বাজেটে না কুলালে ভিন্ন চিন্তা করুন, জুকি নিয়ে বসবাস করা টা উচিৎ ? অবশ্য় ই নয়,...




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...