গত কিছু দিন আগে একটা ভিডিও দেখছিলাম ইউটিউবে।সেই কথা গুলো ই তুলে ধরছি।ফ্রিল্যান্সার ব্যাবসায়ী বা ইউটিউবার যে ভাবে ই তাকে চিনেন না কেন আপনি অনলাইনে একটিভ থাকলে না চিনবার কথা না। তার যে ভিডিও নিয়ে লিখছি সেই ভিডিও আমি কয়েক বার দেখেছি আর ভাবছি।
সেই ভিডিওর কথা গুলো ই তুলে ধরছি। উনি দেশের বাহিরে থাকেন, কিছু দিন আগে দেশে আসলে পরে তাদের বাসায় সকল আত্বিয় স্বজন একত্রিত হয়।তো রাতের বেলা খাবার টেবিলে বসে তার এক আত্বিয় অন্য আরেক জনের কাছে জিজ্ঞেস করে যে একটা বিশাল ঘটনা ঘটছে সে জানে কি না?
তার কথার প্রতি উত্তরে উনি বলেন কি ঘটনা? তখন সে বলে এক টিকটকার তার থেকে বেশি বয়সী এক মহিলাকে বিয়ে করে তাদের সাথে একটা ঝগড়া হয় পরে সেই টিকটকার সেই মহিলাকে মেরে ৩০০ ফুট রাস্তায় ফেলে আসে,আর সেই মহিলা লাইভে এসে কান্নাকাটি করে জা অনলাইনে ভাইরাল।
তাদের এই কথোপতন বাকি সবাই শুনে কেউ তো আরেকটু বাড়িয়ে সেই টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেয়। যে ২/১ জন ঘটনা টা জানতো না তাদের দিকে বাকি সবাই এমন ভাবে তাকায় যেন এই না জানা টা তাদের জন্য বিশাল অন্যায় কিছু।
এই রকম কিছু ভাইরাল টপিক নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সেই ভিডিওতে উনি কিছু এডভাইজ দেয়।তাই আমি খুব মনজোগ দিয়ে উনার ভিডিও টা কয়েক বার দেখেছি। সত্যি ই আজকে আমরা এই ভাইরালের ভাইরাস সংক্রমণের সমাজ নিয়ে কোথায় আছি?
খুব চিন্তা হয়,কি আছে আমাদের ভবিষ্যতে? জার হাতে একটা স্মার্ট ফোন আছে সে ই আজ ফাস্টেটেট,মহা সমস্যা নিজের চারপাশে থাকার পরে ও সে দিকে কোনো খেয়াল নেই, দিন ভর আছে কে কোথায় কি করে ভাইরাল হয়েছে সেই চিন্তা নিয়ে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে পরে আর কয়েক দিন পরে আমাদের এই সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কেউ কি বলতে পারেন? আমাদের মধ্যে যে পরিমাণ নেগেটিভিটি ভর হচ্ছে তার প্রতিকার করা টা খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন থেকে শুরু করুন। আমি আপনি যে দুনিয়ায় আছি সেখানে ফেসবুক ইউটিউব বা টিকটক কোনো কিছু ই আপনি চাইলে ই ছেড়ে দিতে পারবেন না।তবে চাইলে আপনি এই ভাইরালের ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
কিভাবে মুক্ত থাকতে হবে তার বিস্তারিত গুছিয়ে বলতে পারবো কি না জানি না তবে সামান্য কিছু লিখার চেষ্টা করলাম।
📌 ভাইরাল নিয়ে মাতামাতি আর আমাদের সমাজ
আজকাল একটা শব্দ খুব বেশি শুনি — "ভাইরাল"। কোনো কিছু একটু ব্যতিক্রম হলেই মুহূর্তেই সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে, কে কত আগে সেটা শেয়ার করবে, কে কত বড় করে সেটাকে নিয়ে মাতামাতি করবে।
এভাবে ভাইরাল ট্রেন্ডের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা ভুলে যাচ্ছি, সমাজের আসল সমস্যা কী।
নাগরিক অধিকার, নৈতিকতা, শিক্ষা, মানবিকতা, পরিবার থেকে দূরে সরে গিয়ে আমরা অপ্রয়োজনীয় ট্রেন্ডে ডুবে যাচ্ছি।
এই ভাইরাল সংস্কৃতি অনেক সময় ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেয়, মানুষকে বিভ্রান্ত করে, আবার কখনো কারো জীবনকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। কোনো ঘটনা যাচাই না করেই সেটার ভিডিও, ছবি বা খবর শেয়ার করা আমাদের এখন নিত্য অভ্যাস।
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি — এই অপ্রয়োজনীয় মাতামাতি আমাদের সমাজের মধ্যে কী পরিমাণ অবক্ষয় তৈরি করছে?
মানুষের ব্যক্তিগত জীবন হুমকির মুখে পড়ছে,
অমূলক গুজব ছড়াচ্ছে,
অপরের সম্মানহানি হচ্ছে,
আর সবচেয়ে বড় কথা — মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
📣 এখনই সময় — সচেতন হওয়ার
আমরা ভাইরাল কনটেন্ট দেখব, জানব — তবে বিবেক দিয়ে বাছাই করব। বুঝে শুনে যা সত্য, সমাজের জন্য ইতিবাচক, সেইটাকেই প্রচার করব।
আমাদের নিজেদের জীবনে, পরিবারে, সমাজে যে সত্যিকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আছে, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া আরও বেশি জরুরি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল না হয়ে ভালো মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন