আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ইহাতে কোনো সন্দেহ নেই। বরতমান আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমাদের হাতের নাগালে সকল তত্য উপাত্য। সত্যি মিত্যা নির্বাচন করতে আমাদের কে এখন আর খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। যে কোনো কিছু কে জানার প্রয়োজন হলে আমরা গুগলে সার্চ করি আর পেয়ে জাই।
কিন্তু আগেকার দিনে যে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে অনেক জামেলা পোহাতে হতো। অনেক জ্ঞানী গুনি মানুষ খুঁজে তাদের মতামত নিয়ে পরে সেই জামেলার সমাধানে পোউছাইতে হইত। তার পরে ও সঠিক সমাধান হইতো কি না মনে সন্দেহ থেকে যেতো।
আজকের দিনে উন্নত জোগাজোগ ব্যাবস্থা আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কিছু কে ই সহজে সমাধান করে ফেলি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক ডেভোলেপ হয়েছে।ফেসবুক ইউটিউব দেখলে মনে হয় আমাদের সবার জ্ঞ্যানের পরিধি বিশাল। সবার কাছে লোকায়িত হাজার রকমের প্রতিবা।
কিন্তু এত এত প্রতিবা জ্ঞ্যানের ছড়াছড়ি থাকার পরে ও আগেকার দিনের কষ্টে অর্জন করা তথ্য উপাত্যের যে আনন্দ তা আর খুঁজে পাই না। শুধু মাত্র আনন্দের অনুভূতি ই না আরও কিছু আছে।এখন ফেসবুক আর ইউটিউবের রিল দেখার জন্য তথ্য কাছে থাকার পরে ও তা মনে রাখি না।
আগের দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমাদের চারপাশে অপ্রয়োজনীয় অনেক আজগুবি মিত্যা গল্প ছিল। সেই গল্পের প্রতি ও আমাদের বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাসের কারণে আমদের মনে কিছু ভয় ছিল। সেই ভয়ের জন্য আমাদের অন্তর কে পাপাচার থেকে দূরে থাকতে নানান ভাবে সাহায্য করতো।
কিন্তু এখনকার পৃথিবীতে আমরা আর আগের দিনের মতো সেই আজগুবি মিত্যা গল্পের প্রতি বিশ্বাস রাখি না। আর সেই না রাখার ফলাফল হিসাবে অনেক পাপ কে আমারা পাপ ই মনে করি না। এমন কি চাল চলন সব কিছুতেই রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া।আর এই আধুনিকতা আমাদের কে সুরা ফাতেহায় পাঠ করে কামনা করা আমাদের সরল পথ দেখাও কথাটির থেকে ও দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
যদিও আমরা সত্য কে জানতে আর মিত্যাকে পরিহার করতে শিখেছি তবে সেই সত্য টা আর সত্যের মতো করে কাজে লাগাতে পারছি না। এর কারণ হলো আমাদের আগের দিনের গল্পের মধ্যে যে ধরনের উপস্তাপন ছিল তা ছিল জ্ঞ্যানি মানুষের মাঠে ঘাটে চলাচলের পরে তা একটা কাল্পনিক চিত্র হিসাবে তুলে ধরা।
সেই উপস্থাপন ছিল মনোমুগ্ধকর ।তাদের বলা কথা গুলো আমাদের রিদয় ছুয়ে যেতো।
আগের দিনে কুরআনের অর্থ সহজে পাইতাম না।তবে হুজুর দের কথা আর ব্যাখ্যা শুনে আমরা তা পালন করতাম। যদিও সেই গুলো অকপটে মেনে নিতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের হাতে মোবাইল আছে।ইন্টারনেট আছে তাই কেউ কোনো কথা বলার সাথে সাথে মিলিয়ে দেখি। সেখানে আবার আমি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে চেস্টা করে হুজুরের ভুল ধরি।এই সবের জন্য আজকে আমরা ধংশ।
কারণ আপনি কুরআন হাদিস পড়ে ই সব কিছু নিজে থেকে বুজে নিতে পারবেন না। আল্লাহ যে কথা গুলো আমাদের কে বলেছেন তা অতি সহজ হবার পরে ও ভাবতে বলেছেন।দুনিয়ায় বিচরণ করতে বলেছেন। এই রকম বই পড়ে আমাদের আগেরকার জনগোষ্ঠী গোমরা হয়েছে তা ও বলেছেন। তার মানে আপনি কুরআন পড়ার পাশাপাশি ভাবনা আর দুনিয়ায় বিচরন করে নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও প্রকৃতি না দেখে মনগড়া ব্যাখ্যা করলে পরে গোমরা হতে পারেন।
ভালো মন্দ বুজার মতো জ্ঞ্যান সবার কাছে ই আছে।আপনি কখনো ই কোনু উচু বিল্ডিং থেকে লাফ দিবেন না।জলন্ত কয়লা হাতে নিবেন না।চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়বেন না।এই না করার কারন আপনি মরে যাবেন না হয় পুড়ে জাবেন।হাত পা ভেঙ্গে জাবে।দুনিয়ায় বিপদ নিশ্চিত জানলে সেই পথে আমরা পা বাড়াই না। কিন্তু মরবেন আর মরার পরে একটা শেষ বিচার দিবস আছে সে দিন দুনিয়ার সব কাজ করমের জবাবদিহি করা লাগবে তা হয়তো শতভাগ বিশসাস করতে পারছেন না।তা পারলে ই আপনি সফল।
আমার দেখা কিছু কথা তুলে ধরছি
৯০ দশকের দিনগুলো
সে সময়ের সকালটা ছিলো রেডিওর খবর আর সাদা-কালো টিভির 'ছোটদের আসর' দিয়ে শুরু। গ্রামের বাড়িতে বা শহরের পাড়ায় পাড়ায় তখনো বিকেলে ক্রিকেট খেলা হতো হাতে বাঁশের স্টাম্প আর টেনিস বল দিয়ে। হঠাৎ সন্ধ্যায় কারেন্ট চলে গেলে, সবাই মোমবাতি জ্বেলে গল্প করত, ভূতের গল্প থেকে শুরু করে গ্রামের পুরোনো দিনের কাহিনি।
স্কুল থেকে ফিরেই ডানা মেলে দিতাম পাড়ার মাঠে। 'চোর-পুলিশ', 'বাঁশ কেটে নৌকা বানাবো', 'গুটি দাড়া' — কত রকম খেলা!
বাড়ির ভেতর তখন সবার প্রিয় ছিলো 'ক্লান্ত দুপুরের' বই পড়া। 'বটতলা প্রেস'-এর উপন্যাস থেকে শুরু করে 'সন্দেশ' আর 'আনন্দমেলা' পত্রিকা — ছেলেমেয়েরা রীতিমতো লাইন দিত পড়ার জন্য।
সন্ধ্যায় একসাথে বসে 'বাকের ভাই', 'নক্ষত্রের রাত', 'কোথাও কেউ নেই' দেখতে দেখতে চোখের কোণে জল আসতো।
৯০ দশকের বাজার মানেই হাট থেকে বাবার হাতে করে আনা চটের ব্যাগ ভর্তি শাক-সবজি। ঈদের দিনে নতুন জামার গন্ধ, পাড়া-মহল্লায় ফ্রিজে রাখা বরফের ঠান্ডা শরবত আর চুনাপাথর মিশ্রিত পানা খাওয়া।
আর ছিলো চিঠি। সাদা খাম আর গোলাপি পোস্টকার্ডে আবেগ লেখা থাকতো, মাইলের পর মাইল পেরিয়ে পৌঁছে যেত প্রিয়জনের কাছে। মোবাইল তখনো কল্পনাতেই।
ও দিনগুলো এখন স্মৃতির পাতায়। তবু আজও হঠাৎ কোনো পুরোনো গান, বা পুরোনো সাদা-কালো ছবি দেখলে মনে হয় — আহা, ফিরে যাই যদি সেই ৯০ দশকে!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন