প্রতিদিন অনেক ইস্যু নিয়ে ফেসবুক ইউটিউব টিকটক সহ অনেক গুলো সোস্যাল প্লাটফর্মে প্রায় লক্ষাধিক ভিডিও আপলোড হয়। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ ও হয়।জানা না জানা ইতিহাস তত্য জানতে পারি। আবার অনেক আজগুভি কথা ও শুনি, ফেসবুক ইউটিউব এর ব্যাবহার থেকে অনেকের জীবন পাল্টে গেছে এমন গল্পের সংখ্যা কম নয়।
সব ঘটনার সত্যি মিত্যা জাছাই করা সম্ভব না হলে ও গভীর ভাবে চিন্তা করলে আপনি এতদিন ধরে যে অনলাইনে একটিভ থেকে কি ক্ষতি নিজের জন্য করেছেন তা উপলব্ধি করতে পারবেন? আর যদি চিন্তা করে বের করা কষ্ট মনে হয় তা হলে এই লেখা শেষ করে বুঝতে চেস্টা করতে পারেন।
ফেসবুক ইউটিউব টিকটক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে যে শিক্ষনীয় বিষয় আপনি জা পাচ্ছেন বা পাবেন তার সব কিছু ই আপনি বইয়ের পাতায় পাবেন। আর বইয়ের পাতা থেকে তা গ্রহণ করলে বিনোদন এর পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্কের উপকারিতা কতটা প্রখর হতে পারে তা অনুমান করতে পারবেন না।
বলতে পারেন যে বইয়ের পাতা থেকে নিতে হলে ত বই খরিদ করা লাগবে তার জন্য পয়সা লাগবে। কিন্তু আমার মতে আপনার হাতের মোবাইল আর মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাক কিনতে এই পরজন্ত জত গুলো টাকা খরচ করে ফেলেছেন তার থেকে অনেক কম টাকার বই থেকে বেশি বিনোদন আর উপকারিতা পেতে পারতেন আর পেতেন ক্ষতি থেকে মুক্তি।
মোবাইল আর ইন্টারনেট দিয়ে সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে কি কি ক্ষতি করেছেন তার লিস্ট জানেন? না জানলে শুনুন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন সময়ের অপচয় করে। তার পরে করেছেন চোখের। আর করেছেন নিজের বিবেকের অবক্ষয়। সাথে আছে কল্পনাতিত পাপাচার। এই গুলো ই শেষ নয় আরো অনেক কিছু ই আছে।
উপকার যে কিছু হয় নাই তা নয়।তবে তা নিতান্ত ই সামান্য কিছু মাত্র।এই উপকারের উদাহরণ হিসেবে যে জা পেয়েছেন তা সে নিজের থেকে ভালো বলতে পারবেন। আমি এতদিন ধরে একটা মাত্র উপকার ই পাইছি আর তা হচ্ছে যে আমাকে প্রচুর পরিমাণ বই পড়তে হবে। তবে ই আমি নিজের এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো।
এখন এই কথা গুলো পড়ে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে মোবাইল ব্যাবহার কারি সবাই তো আর শিক্ষিত নয় বা সবাই তো পড়তে পছন্দ করে না। তাদের জন্য কি বলবেন? দেখুন যে লেখা পড়া জানেনা তার মোবাইলের ব্যাবহার ও সীমিত। আর জাহার পড়তে ভালো লাগে না তার জন্য সলিউশন অডিও বুক।
বই পড়ার উপকারিতা নিয়ে সামান্য কিছু লিখেছি পড়ে দেখুন।
📚 বই পড়ার উপকারিতা
বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। এটি শুধু আমাদের মেধা ও চিন্তাশক্তিকে প্রসারিত করে না, বরং জীবনের নানা দিক সম্পর্কে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের গুরুত্ব কমে যায়নি। বরং সঠিক জ্ঞানের জন্য বইয়ের বিকল্প নেই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বই পড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
📝 মানসিক বিকাশ
বই পড়া মানুষের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করে। নতুন নতুন বিষয় জানার মাধ্যমে আমাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। এটি মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো কাজ করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়ায়।
📝 শব্দভাণ্ডার ও ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি
নিয়মিত বই পড়ার ফলে নতুন নতুন শব্দ শিখতে পারি। ফলে নিজের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি দক্ষতা বাড়ে।
📝 মানসিক চাপ কমানো
বই পড়া এক ধরণের মানসিক প্রশান্তি দেয়। এটি স্ট্রেস কমাতে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ভালো একটি গল্প বা প্রেরণাদায়ক বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়।
📝 স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য
বই পড়ার সময় গল্পের চরিত্র, ঘটনা ও বিশদ বিবরণ মনে রাখতে হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
📝 জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা
বই পড়া আমাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন — সব কিছু সম্পর্কে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
📝 সৃজনশীলতা বাড়ায়
বই পড়ার অভ্যাস সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। নতুন চিন্তা, ভাবনা ও আইডিয়া তৈরি হয়।
📌 উপসংহার
বই শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক, সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে সফলতা অর্জন করা সহজ হয়। তাই সময় পেলেই বই পড়ুন এবং নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করুন।
📖✨
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন