সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বই নিয়ে গবেষণা,

দুনিয়ার শুরু থেকে আজকের এই সময় পরজন্ত যত প্রকার গবেষণা হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বার গবেষণা করা হয়েছে একটি বই নিয়ে। আপনি জানেন কি সেই বইয়ের নাম কি? আপনার আমার সবার কাছে এই বইয়ের নাম আর গুনাগুন সম্বন্দে কথা শুনেছি।আবার নিজে না পড়ে সেই বইয়ের প্রতি আমাদের সকলের অগাদ বিশ্বাস ও আছে। দুনিয়ার কিছু মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস হলে পরে সে যদি সেই বই কে মনোযোগ দিয়ে বুজে পড়ার চেস্টা করেছে তা হলে তার জীবন ই পাল্টে গেছে।
আমি এতক্ষন ধরে যে বইয়ের কথা বলছি তা আশা করি সবাই বুজতে পারছেন। জি মহা গ্রন্ত আল কুরআন এর কথা ই বলছি। সবাই দিদাহিন ভাবে মেনে নিয়েছেন।কিন্তু তা মনে হয় ঠিক করছেন না।আর কেন ঠিক করছেন না তার ব্যাখ্যা করি।

 
কুরআন নিরভুল গ্রন্থ আমাদের সবার জীবনের জন্য গাইডেন্স এর মতো আর কিছু হবে না। এর একটি আয়াত ও আমরা কেউ তৈরি করে দেখাতে পারবো না। তা ছাড়া ও শুনে আসছি যে সমস্যা থাকে যদি জীবনে মরনে চলে আসো খুলে দেখো সমাধান পেয়ে যাবে পবিত্র কুরআনে।
আমাদের সবার কাছে এই শুনে ই মেনে নেয়া।পড়ে দেখে নয়। কিন্তু পড়ে বুজে দেখলে এই দুনিয়া সমাজ ব্যাবস্থা সব কিছু একেবারে ই আলাদা আর প্রশান্তিময় হতে পারতো। 
আমার কথায় হয়তো কেউ পড়তে বসে যাবেন না। পড়লে ও আপনার আগের হিসাব অনুযায়ী শুধু মাত্র সওয়াব প্রাপ্তির আশায় মাঝে মাঝে পড়বেন। কিন্তু সওয়াব প্রাপ্তির পাশাপাশি দুনিয়ার জন্য ও প্রাপ্তি যদি আশা করেন তা হলে বুজে পড়ার চেষ্টা করেন। 

📖 বই নিয়ে গবেষণা ও তার আলোকে পবিত্র আল কুরআন

ভূমিকা:

মানুষের জ্ঞান অর্জন ও বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো বই। যুগে যুগে, সমাজ-সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য কিংবা ধর্মীয় বিধান — সব কিছুই লিপিবদ্ধ হয়েছে বইয়ের পাতায়। তবে বইয়ের প্রকৃত মর্যাদা ও তাৎপর্য আমরা অনুধাবন করতে পারি যখন আমরা তা কুরআনের আলোকে বিচার করি। কেননা, পবিত্র আল কুরআন নিজেই একটি মহাগ্রন্থ, যা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ও শ্রেষ্ঠ বই।

বই নিয়ে গবেষণা:

বিশ্বব্যাপী বই নিয়ে নানাবিধ গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, এবং শিক্ষাবিদরা বইয়ের প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের মতে:

  • বই মানুষের চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ ও আচরণে প্রভাব ফেলে।

  • একটি ভালো বই মানুষের মননশীলতা ও চরিত্র গঠন করে।

  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে বই অপরিহার্য।

  • বই হলো ইতিহাসের ধারক ও বাহক।

বইয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে যখন আমরা গবেষণা করি, তখন দেখা যায় — যুগে যুগে মানবজাতির উন্নতির পেছনে বইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ধর্মগ্রন্থসমূহ মানবজীবনকে আলোর পথ দেখিয়েছে।

আল কুরআনের আলোকে বইয়ের গুরুত্ব:

পবিত্র আল কুরআনে ‘কিতাব’ শব্দটি বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। ‘কিতাব’ অর্থ বই। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন:

ذَٰلِكَ ٱلۡكِتَٰبُ لَا رَيۡبَۛ فِيهِۛ هُدٗى لِّلۡمُتَّقِينَ
“এটি সেই কিতাব (বই), এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক।”
— (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালার নিকট কিতাব তথা বইয়ের মর্যাদা কত উঁচু। কুরআন শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়; বরং এটি জীবনবিধান, মানবতা, নৈতিকতা, সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।

কুরআন কেন শ্রেষ্ঠ বই:

গবেষণা অনুযায়ী, একটি বই শ্রেষ্ঠ তখনই হয়, যখন তা মানুষের চিন্তাধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনে এবং মানবকল্যাণে সহায়ক হয়। এই দিক দিয়ে কুরআন:

  • মানবজাতিকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দের পার্থক্য শেখায়।

  • নৈতিক চরিত্র গঠন করে।

  • সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করে।

  • আত্মশুদ্ধি ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখায়।

  • বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের ইঙ্গিত প্রদান করে।

উপসংহার:

বই নিয়ে গবেষণা আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, একটি বই কিভাবে একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ বই হলো পবিত্র আল কুরআন। এই মহাগ্রন্থের আলোকে চললে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সুতরাং, আমাদের উচিত — বই পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং আল কুরআনকে জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করা।

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...