অনেক জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে আপনার আমার কারোই ধর্ম নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে কথা বলা উচিৎ নয়।তবুও বলছি আর মানুষ ও তা শুনছে। আর এই বলা আর শুনার মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে।দলাদলি আর গ্রুপিংয়ের উত্তাপে ধর্মের সঠিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা থামছি না।
সোস্যাল নেটওয়ার্ক অতি প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিক জীবনে। ফেসবুক ইউটিউব টিকটক ছাড়া ও আরো যে সকল সোস্যাল প্লাটফর্ম আছে তার সব গুলোতে প্রতি দিন বেহিসাবি সময় ব্যয় করি। আর তা করতে গিয়ে যে ওয়াজ নসিহত তাফসির আর ফতোয়া চোখে পড়ে তার সংখ্যা বা পারসেন্ট যে কত তা আমার অজানা।
ওয়াজ নসিহত ভালো জিনিস তবে তা যদি হয় কুরআন সুন্নার আলোকে। তা ছাড়া বাকি সব বাকওয়াছ। এখন কোন টা ভালো আর কোন টা বাকওয়াছ তা বুজবো কি ভাবে? যে সকল বক্তব্য পাই তার কোনো কথা ই ত যুক্তিতে নিজেকে সহিহ আর নিরভেজাল বলে আমাদের মানতে হবে বলে দেয়া হয়।শুধু যে মানবেন বলে ই শেষ করে দেয়া হয় তা না, না মানলে আপনি নিশ্চিত জাহান্নামি তা ও বলে দেয়া হয়।
আর জান্নাতের ফেরিওয়ালা হিসেবে সবার বিজ্ঞাপনের সাথে সাথে কোয়ালিটির শোরুমে তালা জুলার উপক্রম হয়েছে। আমার লেখা এই পরজন্ত পড়ে হয়তো কেউ মনে মনে বকা দিয়ে পন্ডিত বলে বাকিটা না পড়ে থেমে যেতে পারেন। কারণ রিলিজিয়ন নিয়ে কথা লেখা বা বলা সামনে আসলে শুধু খণ্ডাংশ পড়ে আর শুনে অভ্যস্ত হয়ে আপনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন।
সাইদি /যুক্তিবাদী /আজহারি/আনসারি/আফসারি/মাদানি /সাইফি/তাহেরি,,,,,ইত্যাদি। এই গুলো ছাড়া আর ও যে নাম না জানা শায়েখ মাশায়েখ আছেন তা সবার ই ভালো ভাবে জানা আছে।
আমরা সবাই এই সবের মধ্যে ই কারো না কারো বক্ত।আর তা প্রকাশের জন্য মাজে মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট বা কমেন্টে বলে আসি যে হুজুর আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি। আর যে জাহার বক্ত সে শুধু তার ভিডিও রিল খুজে ফিরি। বাকিদের পোস্ট না পড়ে /দেখে বাজে কমেন্ট করে বেরিয়ে আসি।
ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এখন পরজন্ত একজন শায়েখের কাছে ও বলতে শুনি নাই যে তুমাদের কাছে আমার বলা বা লেখা এই কয়েক লাইন ই জতেস্ট এর বাহিরে কোথাও যেতে হবে না। অথচ তা বলা এই সকল মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখের সবার জন্য জরুরি বলে আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যানে মনে করি।
আর এই মনে করার একটা কারণ ও আছে। তা হচ্ছে যদি সবাই কয়েক লাইনে সীমাবদ্ধ থেকে নিজের থেকে নসিহত করতে চায় তো সবার কাছ থেকে এক ই ধরনের কথা বেরিয়ে আসবে।আর তা হলে আমাদের এই মতানৈক্য দলাদলি কিছু ই থাকার কথা নয়। কারণ সবাই কিন্তু আল্লাহ আর তার রাসুলের কথার নিরজাস বের করে কথা বলতে বাধ্য।
আমি ও বলে দিতে পারি মাত্র একটা হাদিস বা কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাখ্যায় আমাদের জন্য সব কিছু সমাধানের পথ খোলা আছে।কিন্তু বলছি না কারণ প্রথম লাইনে ই লিখেছি যে অনেক জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে ধর্ম নিয়ে কথা বলা উচিৎ নয়।তবে আমার বিশ্বাস যে মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখ মশহায়েখের প্রত্যেকের কাছে দুই চার লাইনে আল্লাহ ও তার রাসুল সা: এর কথার সারমর্ম তুলে ধরার মতো জতেস্ট জ্ঞ্যানের পরিধি আছে।
আর সেই জ্ঞ্যানের আলোকে আপনারা সবাই যে জার জায়গা থেকে একটু সচেতনতা আর বিবেকের কাট গড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে একটু সহজ সরল ভাবে ধরমের কথা বলতে চেস্টা করুন। আল্লাহ এক আর তার আদেশ নিশেধ ও এক ই। আর তার মেসেঞ্জার ও সবার শেষ জন জিনি ছিলেন তার কথা ও আল্লাহর কথা।তিনি ও অল্প তে বুজিয়াছেন।
তাহলে আমরা এই অল্পকে বেশি করে নিজেদের জন্য বুজা বড় করবো? সকল মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা জা বেশি করে বলেন তা নিজেরা মানেন তো? যদি না মানেন তা হলে বলা থেকে বিরত থাকুন।
জ্ঞ্যানের পরিধি ছাড়া ধর্মীয় কথা বলা অনুচিত কেন
ধর্ম এমন এক বিষয়, যা মানুষের জীবনবোধ, নৈতিকতা, আচরণ এবং পরকাল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় নয়, বরং সমাজ ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তাই ধর্ম নিয়ে কথা বলা, উপদেশ দেওয়া কিংবা লেকচার দেওয়া খুবই দায়িত্বশীল একটি কাজ। এই কাজ করার জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, গভীর পড়াশোনা এবং সব দিক বিবেচনায় নেওয়ার ক্ষমতা।
অনেক সময় দেখা যায়, কেউ সামান্য কিছু শুনে কিংবা একটু-আধটু জানার পরেই ধর্মের নামে উপদেশ দেওয়া শুরু করে দেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ, অল্প জানায় ভুলের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ধর্মের কথা মানুষের মন ও জীবনের গভীরে পৌঁছে যায়, তাই তা ভুল হলে মানুষের জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম সম্পর্কে কথা বলার আগে প্রয়োজন ধর্মগ্রন্থ, ইতিহাস, তাফসীর বা ব্যাখ্যা, এবং সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গগুলো সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মত ও বিশ্লেষণ জানাও জরুরি। কেবল আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি, প্রমাণ এবং পরিপূর্ণ বোধ নিয়ে কথা বললে তবেই তা মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়।
শুধু ধর্মীয় বক্তা নয়, যেকোনো বিষয়েই কথা বলার আগে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। কারণ, অজ্ঞতার উপর ভর করে উপদেশ দেওয়া নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলার আগে দীর্ঘ অধ্যয়ন, গবেষণা এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
একজন জ্ঞানী মানুষ কখনোই নিজেকে সর্বজ্ঞানী মনে করেন না, বরং আজীবন শিখতে থাকেন। আর ধর্মীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে এই মানসিকতা আরও বেশি জরুরি। এতে সমাজে সত্য, ন্যায় ও সঠিক দিকনির্দেশনা ছড়িয়ে পড়বে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন