আসসালামু আলাইকুম ও রহমতুল্লাহ।অন লাইনের এই যুগে সুন্নি আহলে হাদিস চরমোনাই সালাফি হানাফি সাফিয়িই হাম্বলি জামাত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ছাড়া ও আর কত কি দলের নাম যে শুনতে পাই তার কোনু হিসাব নেই।একেক বার মনে হয় নবিজির বলা কথা আমার উম্মত ৭২ দলে বিবক্ত হবে কথার মনে হয় ষোল কলা পুরন হয়ে আর ও বাড়ছে।না জানা আর অল্প জানা আমরা যে সকল মুসলিম রয়েছি তাদের যে কি হবে সে উত্তর এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ই জানেনা।
কে সঠিক আর কে বেঠিক তার ব্যাখা করার মতো জ্ঞ্যানি আমি নই।আবার এই অনেক দলের মধ্যে থেকে কোনু এক দলে সহজে ভিড়ে জাবার মতো সহজ সরল মানুষ ও আমি নই। আমি নাস্তিক নই।আল্লাহ এক হযরত মোহাম্মদ সাঃ আল্লার শেষ নবি। দুনিয়া ধংশ হবে।কিয়ামত ও শেষ বিচার দিবস আছে। এই কথা গুলো শত ভাগ বিশসাস করি। আল্লাহ ও তার রাসুল কে নিজের থেকে ও বেশি ভালবাসি এবং বাকিটা জীবন ও ভালবাসতে চাই।কিন্তু এই দলাদলির ভিড়ে আমরা তা পারছি কি?
অল্প জ্ঞ্যানের পরিধি থেকে সকল হুজুর শায়েখ পীর মাশায়েখ দের প্রতি অনুরুধ একটু থামুন।আমরা না জানা আর অল্প জানা মুসলিমের সংখ্যা আপনাদের থেকে বেশি।আমরা আল্লাহ কে ভয় করি নবিজিকে ভালবাসি।তাদের দেখানো পথ অনুশরন করতে চাই। আর সেই সত্য টা মনে হয় খুজে বের করে আপনাদের বলে দেয়া টা খুব কঠিন কোনু কাজ নয়। আর যদি কঠিন মনে করেন তা হলে অন্যের টা বেঠিক আর আমি সঠিক তা বলা থেকে বিরত থাকুন।
দলাদলি বাদ দিয়ে সবাই এক কাতারে আসুন না হয় দল বানানো বাদ দিয়ে একাই চলুন।আমরা সাধারন মুসলিম কে বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন।নিয়ত করলাম না পড়লাম।হাত বুকে না নাভির নিচে বাধলাম।নামাজের পরে দোয়া করলাম কি না।রফাদায়িন করলাম কি না।আমিন জুরে না আস্তে বললাম এর কোনু কিছুর জবাব দিহি করতে হবে তা আল্লাহ ও তার রাসুল কখনো আমাদের বলেন নি। মিলাদ কিয়াম করে জান্নাতে চলে যাবার কথা ও কোথাও লেখা আছে তা আমার জানা নেই।
চুরি করা যাবেনা।অন্যের সম্পদ লুট করা যাবেনা।নিজের যে ঠুক আছে তা থেকে ই দান করা লাগবে।ইনসাফ ভিত্তিক জীবন চালাতে হবে।মিত্যা বলা যাবে না।আত্বিয় সজনের সাথে সু সম্পর্ক রেখে চলতে হবে।হিংসা করা যাবে না।অহংকার থাকা যাবেনা।নামাজ কায়েম করা লাগবে।অশ্লিলতা থেকে দূরে থাকতে হবে।শালিনতার সাথে পোশাক পরে চলতে হবে।এই গুলো ই তো আমাদের চরিত্রের মুল বিষয়াধি।এর বাহিরে খুব বেশি কিছু আছে কি?
আর এই মুলের ভিতরে কারো কোণূ মতবিরোধ আছে কি? নেই বলে ই আমি জানি।মতবিরোধ আছে শুধু মাত্র এই সবের ব্যাখা আর বিশ্লেশন নিয়ে।দয়া করে ব্যাখা বিশ্নলেশন নয় আল্লাহ বলেছেন তার কথা আর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে তা করুন। মানুষ কে ভালো কাজের আদেশ করতে গিয়ে নিয়ম না বলে তার মতো করে ই ভাল কাজ করতে বলুন।দেখবেন নামাজি বাড়বে।দান ও করবে।চুরি ও ছাড়বে। আল্লাহ বলেছেন তার আদেশ জানিয়ে দিতে হেদায়েত তিনি ই দিবেন আপনি নয়।
কেউ গরিব ত কেউ ধনি।কারো বসবাস দালানে ত কারো বসবাস রাস্তায়।কেউ আছে কুড়ে ঘরে।প্রত্যেকে তার অবস্তান থেকে চিন্তা করে উপরে উঠার।আল্লাহ বলেছেন যা আছে তা থেকে ব্যয় করতে।না পাওয়ার অভিযোগ নয় শুকরিয়া আদায় করতে বলা হয়েছে। প্রজ্ঞ্যা প্রশান্তি এই সব আসে আল্লাহর নিকঠ থেকে। টাকা বা সম্পদ দিয়ে প্রশান্তি কিনতে পাবেন না।আর শুধু লেখা পড়া করে ই জ্ঞ্যানি হবেন তা ও হবে না যদি আল্লাহর নিকঠ থেকে রহমত না আসে।
আর আল্লাহর কাছ থেকে হেদায়েত প্রজ্ঞ্যা রহমত পেতে হলে সব শায়েখ আর আলেম উলামাদের কে দলাদলি না করে শুধু মাত্র আল্লাহ আর তার রাসুল যা বলেছেন তা প্রচার করলে ই চলবে।ব্যাখা করে নিজের মতো করে বাড়িয়ে বলার দরকার নেই। ব্যাখা ছাড়া ই আল কুরআনের কথা গুলো কত সুন্দর তা পড়ে চিন্তা করে নবিজি যে ভাবে বলেছেন সেই ভাবে উপস্তাপন করতে চেস্টা করুন। হেদায়েত আল্লাহ ই করে দিতে পারেন।
আমি কি করলাম বা করছি তার জবাব আপনাকে দিতে হবে না শেষ বিচার দিবসে।আবার আপনা কাজ কর্মের হিসাব ও আমার কাছে চাওয়া হবে না। কিন্তু আপনি আমাকে আর আমি আপনাকে যদি কিছু বলে তা অনুশরন করাই তা হলে তার জন্য অবশ্যই তার জবাব দেয়া লাগবে।তাই কাউকে আপনার দলে ভিড়ানোর আগে ভেবে দেখুন।আল্লাহকে ভয় করুন।গভির জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে কিছু ব্যাখা করে তা অনুশরন করতে কাউকে বলা থেকে বিরত থাকুন।
আমি যদি কোরআন হাদিস ইসলামের ইতিহাস পড়ে আমার মতো করে বুজে চলি তার জন্য আপনি আমাকে ভুল বলে আখ্যা দিতে পারেন না।আমার জ্ঞ্যান যে ঠূক আছে তা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। শেষ বিচার দিনে আমার কাছে জবাব চাওয়া হলে আমি বলতে পারি যে আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা আপনার দেয়া পবিত্র গ্রন্ত আল কুরআন পড়ে আমি এই ভাবে বুজে তা পালন করেছি।কিন্তু আপনি আমাকে ব্যাখা করে বুজিয়ে তা যদি ভুল প্রমান হয় তা হলে ?
জ্ঞ্যানের আলো সবার কাছে থাকে না। আল কোরআনের হাফেজ বা শায়খুল হাদিস মানে ই আপনি জ্ঞ্যানের আলোতে আলোকিত নয়।জ্ঞ্যানের নুর আসে আল্লাহর কাছ থেকে।আপনি ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কখনো জ্ঞ্যানের গভিরতায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মৌলিক বিষয় গুলো বাধ দিয়ে ছোট ছোট আমলের প্রতি মতবিরোধ করে নিজেকে সাথে অন্যকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিয়েন না। সবার সাথে মিলে চলতে না পারলে একা চলুন।অন্যরা কি বলছে তা নিয়ে সমালোচনা করার আগে তা নিয়ে চিন্তা করুন।
আল্লাহ ও তার রাসুলের সব গুলো কথা কে নিয়ে আবার চিন্তা করুন।তার পরে মিলিয়ে দেখেন আপনার প্রতিবাদ বা একাত্ততা করার কোনু দরকার আছে কি নেই।না থাকলে তবে চুপ থাকুন।আর প্রতিবাদের মতো থাকলে পরে গঠন মুলক আলোচনার মাধ্যমে তা করুন।নবির কথা বলার সুন্না অনুশরন করুন। আমরা মানুষ প্রত্যেকেই ভাই ভাই।দুনয়াবি সমাজ ব্যাবস্তা আর শয়তানের দোকা নফসের খিয়ানতের কারনে আজকে আলাদা হয়ে কেউ আল্লাহর প্রিয় হতে পারছি না।
আমাদের প্রিয় নবি হযরত মোহাম্মদ সা: এর জীবনি দলাদলি না করে কয়েক জনের আলাদা লেখা বইটি পড়ুন। আল কুরআন বুজে পড়ার পাশাপাশি চিন্তা করে দেখুন। সুরা ফাতেহার সারাংশ সারমর্ম বুজতে পারলে ই ত আপনি বুজে ফেলার কথা আল্লাহর কাছে কি চাইতে হবে আর কি চাওয়া থেকে বিরত থাকা লাগবে।
আসুন সবাই শুধু আল্লাহর রশি গলায় লাগাই।দলাদলি না করে অন্যের মমতামত কে সম্মান করি।যদি কারো কোথায় বুজ শিরিক পরজন্ত না পোউছায় তা হলে অযথা কলহ জগড়া না করি।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ দান করুন,,, আমিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন