সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভাল কাজ।

 কখন কি ভাবে কি কাজ করলে পরে তা ভাল কাজ হয়? কোন ভাল কাজ না করা ই ভাল? আর ভাল কাজের সংজ্ঞা কি? এই সব প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে না জানা থাকলে মানবতার ফেরিওয়ালা হতে বিরত থাকুন।একজন অন্দ রাস্তার  পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে ই তাহাকে রাস্তা পার করে দিতে হবে না।আগে জিজ্ঞেস করে জানুন তার সাথে আর কেউ আছে কি না? রাস্তা পার হওয়া তার তখন দরকার কি না? যদি তার উত্তর হা হয় তবে ই তাহাকে রাস্তা পার করতে সাহায্য করুন।

ক্ষুধার্ত কাউকে খাবার দিবেন ভালো কথা তার আগে তার জন্য ক্ষতিকর কোনু খাবার তুলে দিলে ভালো কাজ হয় না। অভাবে থাকা কাউকে রিন দেয়ার নাম উপকার নয়। অল্প বুজতে পারা কাউকে জঠিল কথায় বুজানোর থেকে না বুজানো ই ভাল। এমন কিছু চিন্তার যায়গা থেকে কিছু লিখতে চেষ্টা করলাম।

যা পড়লে মানুষের মনে প্রশ্নও জাগবে, আবার চিন্তার খোরাকও পাবে। নিচে পুরোটা দিলাম:


 


ভাল কাজ, সময় আর মানবতার ফেরিওয়ালারা — কয়েকটা জরুরি কথা

আমরা প্রায়ই শুনি, ভাল কাজ করো, মানবতার পাশে দাঁড়াও, মানবতার ফেরিওয়ালা হও। কিন্তু কখন কি কাজ করলে সেটাকে ভাল কাজ বলা যাবে? সব সময় কি ভাল কাজ করা উচিত? আর ভাল কাজের সংজ্ঞাটাই বা কি? এই প্রশ্নগুলোর জবাব না জেনে, না বুঝে শুধু কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে যদি কেউ মানবতার ফেরিওয়ালা হতে চায় — সেটা কি ঠিক?

চলুন একবার ভেবে দেখি।


ভাল কাজের সংজ্ঞা কি?

ভাল কাজ মানে এমন কিছু কাজ, যা অন্যের উপকারে আসে — কারও ক্ষতি না করে। আবার শুধু উপকার করলেই সেটা ভাল কাজ নয়। কাজটা করতে হবে সঠিক সময়, সঠিক পদ্ধতিতে। যেমন:

  • কারও ক্ষুধা মিটানো ভাল কাজ।

  • কিন্তু রাত তিনটায় দরজায় কড়া নেড়ে খাবার দিতে গেলে সে হয়তো ভয় পেয়ে যাবে। তখন সেটা আর ভাল কাজ থাকে না।

ভাল কাজ মানে মানবিকতা, বিবেকের আহ্বানে সাড়া দেওয়া। তবে সেটা সময়-পরিস্থিতি বুঝে।


কখন, কীভাবে, কি কাজ করলে পরে ভাল হয়?

সময় আর পদ্ধতি — এই দুইয়ের মিলন হলেই একটা কাজ ভাল হয়।

উদাহরণ:
একজন অসুস্থ মানুষকে সাহায্য করতে হবে।

  • রোগী শুয়ে আছে, তখন উপদেশ না দিয়ে পানি এগিয়ে দিন।

  • প্রয়োজন হলে তার ডাক্তার ডেকে দিন।

  • বিপদের সময় পাশে দাঁড়ান।
    এটাই ভাল কাজ।

তবে কেউ বিপদের সময় পাশে না থেকে পরে বড় বড় কথা বললে সেটা লোক দেখানো হয়ে যায়।


সবসময় কি ভাল কাজ করা উচিত?

না। সব সময় ভাল কাজ করা উচিত নয়। কারণ:

  • সব পরিস্থিতি ভাল কাজ করার উপযুক্ত না।

  • কারও ভালো করতে গিয়ে কারও ক্ষতি হলে সেটা আর ভাল কাজ থাকে না।

  • নিজের সামর্থ্য, সময়, পরিস্থিতি বুঝে ভাল কাজ করতে হয়।

উদাহরণ:
পড়ার সময় পাশের বন্ধুকে পড়া না পড়িয়ে আড্ডা দেওয়া 'ভাল বন্ধুত্ব' হতে পারে, কিন্তু নিজের পড়া নষ্ট করে দেওয়া ভাল কাজ নয়


ভাল কাজের সংজ্ঞা না জেনে ফেরিওয়ালা হওয়া ঠিক নয়

ভাল কাজ কি, কখন করতে হয়, কিভাবে করতে হয় — এই জ্ঞান ছাড়া কেউ যদি শুধু ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামে ঘুরে বেড়ায়, সেটা আত্মপ্রচার ছাড়া কিছুই না।

মানবতার ফেরিওয়ালা হতে হলে:

  • মানবতা বুঝতে হবে।

  • দয়া, সহানুভূতি আর বাস্তবতা জানতে হবে।

  • মানুষের প্রয়োজন বুঝতে হবে।

  • নিজের স্বার্থ ও অহংকার দূরে রেখে নিঃস্বার্থ হতে হবে।


শেষ কথা 

 

মানবতার ফেরিওয়ালা হওয়া সম্মানের। তবে সেটার জন্য আগে জানতে হবে কখন, কি ভাবে, কি করলে সেটা ভাল কাজ হয়। ভাল কাজের সঠিক সংজ্ঞা বোঝা জরুরি। নয়তো সেটা লোক দেখানো বা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না।

ভাল কাজ করার আগে ভাল কাজ সম্পর্কে জানুন। তারপর সাহস নিয়ে এগিয়ে যান। তখনই আপনি সত্যিকারের মানবতার ফেরিওয়ালা হতে পারবেন।

 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...