সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কি ভাবে হয়?

 আল্লাহ এক, রাসুল সাঃ এক , কুরআন এক, তা হলে মাওলানাদের প্রকারভেদ আলাদা হয় কি ভাবে?

জীলাপি হুজুর, মওদুদি হুজুর, এই কথা গুলো যে মানুসিকথায় প্রকাশ করা হয় সেই অনুযায়ী সবাই মুসলিম আছে কি?

জাতিকে বিব্রত করে যে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন তার উত্তর শেষ বিচারের দিন না দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন কি?

কিছু বলতে হলে লেখা পড়া করে বুজে শুনে তার পরে বলতে হয়। মাসে নব্বই টা মাহফিলে বক্তব্য করলে তা যে লেখা পড়া না  করে ই করছেন তাহাতে কোনু সন্দেহ আছে কি?

এক ই কুরআন এক ই হাদিস পড়ে ও কথা বলার ধরন সবার আলাদা আলাদা হয় কি করে?



ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও সহনশীলতা

বিষয়বস্তু:
ধর্ম একটি পবিত্র ও সংবেদনশীল বিষয়। এটি শুধু বিশ্বাসের জায়গা নয়, মানুষের আত্মিক উন্নতি, নৈতিকতা ও সামাজিক শান্তির শিক্ষা দেয়। তাই ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের উচিত সেই ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল দর্শন ভালোভাবে জানা।

অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ নিজ ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান ছাড়াই ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আবার, ভিন্নমতের বা ভিন্নধর্মের অনুসারীদের অবজ্ঞা করাকে ধর্মপ্রচার মনে করে। অথচ, প্রকৃত ধর্ম কখনো কারও প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ শেখায় না।

যে কোনো ধর্মপ্রচারক বা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহীদের সবার আগে প্রয়োজন নিজের ধর্ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ও সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মূল শিক্ষা ও দর্শন সম্পর্কেও ধারণা থাকা প্রয়োজন। এতে করে ধর্মীয় সংলাপ হবে গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ।

একজন প্রকৃত ধর্মপ্রচারক কখনোই মতবিরোধ সৃষ্টি করেন না। তিনি মানুষকে তাদের অবস্থান থেকে সঠিক পথে আহ্বান জানান, ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে। সব ধর্মেই শান্তি, মানবতা, ভালোবাসা, ও সহনশীলতার শিক্ষা রয়েছে।

অতএব, ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের উচিত:

  • নিজের ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা জানা।

  • ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে সম্মানজনক ধারণা রাখা।

  • অহংকার ও বিদ্বেষ পরিহার করা।

  • সহমর্মিতা ও বিনয় বজায় রেখে কথা বলা।

এভাবেই আমরা ধর্মের প্রকৃত সৌন্দর্য ও মানবিক মূল্যবোধকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...