সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মৌলিক

আপনার আমার কাছে একটি ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কি? তার উত্তরে অবশ্য ই বলবেন খুটি দেয়াল দরজা এবং জানালা।তার পরে অন্য আসবাবপত্র তাই নয় কি? 

জীবনে মৌলিক প্রয়োজন এবং বাড়াবাড়ির ফাঁদ

জীবন চলার পথে আমাদের কিছু মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রয়োজনগুলো পূরণ না হলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। সাধারণত খাবার, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা — এই পাঁচটিকে মৌলিক প্রয়োজন বলা হয়ে থাকে। এগুলো আমাদের জীবন টিকিয়ে রাখে, সুস্থ রাখে এবং সমাজে সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ করে দেয়।

যখন এই মৌলিক বিষয়গুলো মিটে যায়, তখন মানুষ নানা অতিরিক্ত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছুটতে শুরু করে। ভালো থাকা আর বিলাসিতার মধ্যে যে একটা সীমারেখা আছে, তা অনেকেই ভুলে যায়। অতি বাড়াবাড়ি করা কখনো কারো জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। বরং এতে অশান্তি বাড়ে, প্রতিযোগিতা বাড়ে, এবং মনের ভেতরে অপূর্ণতার যন্ত্রণা বাসা বাঁধে।



বুদ্ধিমানের কাজ হলো, মৌলিক প্রয়োজনগুলো মিটে গেলে জীবনের অতিরিক্ত ছোটখাটো চাহিদাগুলো নিয়ে অতি চিন্তা না করা। নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে সুখী থাকা এবং পরিমিতিতে অভ্যস্ত হওয়া। কারণ সুখ আসলে বড় কিছু পাওয়ার মধ্যে নয়, বরং ছোট্ট ভালো থাকা, তৃপ্তি আর শান্তির ভেতরেই লুকিয়ে থাকে।

বিলাসিতা আর বাড়াবাড়ির এই দৌড়ে পড়ে নিজের জীবনটা অসন্তোষে ভরে তোলা কোনো কাজের কথা নয়। বরং সময়, মেধা আর শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের মৌলিক প্রয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জীবনের সহজ-সরল সৌন্দর্য উপভোগ করাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

শেষ কথা

জীবন বড়ই অল্প দিনের। তাই বড় বড় ইচ্ছা, বাড়াবাড়ি বা অপ্রয়োজনীয় চাওয়া-পাওয়ার পেছনে সময় নষ্ট না করে, প্রয়োজন মেটার পর পরিমিত জীবন যাপন করাই প্রকৃত জ্ঞানের পরিচয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...