সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সময়

 আমাদের জীবনের সব চেয়ে বেশি মুল্যবান বস্তু কি? উত্তর টা সবার ই জানা।তবে প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা চেতনা থেকে আলাদা উত্তর দিবে।কথা টা আমার ব্যাক্তিগত মত।আর এই টা ই ঠিক। বিশ্বাস না হলে আপনি কয়েক জনের কাছে প্রশ্ন করে মিলিয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর একটা ই হবে।বাকি সব ভুল। মানুষের জীবনের সব চেয়ে মুল্যবান বস্তু বা সম্পদ হচ্ছে সময়। আর এই সময় কে বিনা মূল্যে আপনার আমার সবাই আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা ফ্রী দান করেছেন।আবার তিনি ই এই সময়ের শপথ করে বলেছেন মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। আর যে বাক্যের আগে বলেছেন সে বাক্যটি ই হলো সময়ের কছম।

 এখন আমরা সাধারণ জ্ঞ্যানের আলোকে যদি চিন্তা করি।তা হলে ধরে নিতে হবে যে আমরা সকলে ই সময় নিয়ে ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। দুনিয়ার প্রত্যেক টা মানুষ কে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি সময় কে কি ভাবে ব্যাবহার করেন? উত্তরে কেউই পরিপূর্ণ ভাবে নিজের জীবনের সব গুলো সময় কে ব্যাবহার করতে পেরেছে এমন উত্তর আশা করি কেউ দিতে পারবে না। তথ্য প্রজুক্তি আর স্মার্ট ডিভাইস এর সাথে আমরা এখন যে ভাবে লেগে আছি তার জন্য তো সময়ের অপচয় এখন কি ভাবে যে করছি তা লিখে শেষ করা কঠিন। 

কিছু অভ্যাস এর কথা তুলে ধরছি। আপনি বা আমি যে কেউ যখন মোবাইল হাতে নেই তখন প্রথমে ই স্যোস্যাল নেটওয়ার্ক এর যে কোনো সাইটে প্রবেশ করি।তার পরে স্ক্রল করা শুরু হয়। কয়েক সেকেন্ড সময় এর মধ্যে ই যে কোনো একটা রিল/ভিডিও /স্ক্রিপ্ট কোনো একটার মধ্যে চোখ আটকে যায়। শুরু করি দেখা বা পড়া। এর সাথে সাথে ভুলে যাই মোবাইল টা হাতে নেওয়ার আগে আমি কি কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। আর সেই ভুলে যাওয়ায় মোবাইলের স্ক্রলিং চলতেই থাকে। কখন যে সাভাবিক অবস্তায় ফিরে আসা হয় তা সকলের ই থাকে অজানা। এই প্রেক্ষাপট আমাদের সবার কাছে ই পরিচিত। 



 সময়ের অপব্যবহার করে যে ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি তার সামান্য কিছু তুলে ধরছি। 

সময় মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কারণ হারিয়ে যাওয়া অর্থ, সম্পদ বা যেকোনো বস্তু হয়তো ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া সময় আর কখনোই ফিরে আসে না। এই মূল্যবান সময়কে সঠিকভাবে কাজে না লাগালে জীবনে সফলতা অর্জন করা অসম্ভব।

আজকাল অনেকেই অপ্রয়োজনীয় কাজে, অলসতায়, সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে, যার ফলে পড়াশোনা, কাজ কিংবা দায়িত্ব পালনে ঘাটতি পড়ে। সময়ের এমন অপব্যবহার ধীরে ধীরে মানুষকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দেয়।

একজন সচেতন মানুষ সবসময় নিজের সময়ের সঠিক ব্যবহার জানে। প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করে, অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে চলে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেয়।

সময়ের অপব্যবহার আমাদের ব্যক্তিগত জীবন, পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এখন থেকেই সময়ের মূল্য বুঝে সঠিক পরিকল্পনায় চলা উচিত। মনে রাখতে হবে — ‘সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না।’

যারা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগায়, তারাই ভবিষ্যতে সফলতার শিখরে পৌঁছায়। তাই সময়ের অপব্যবহার পরিহার করে জীবনকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...