সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, বিস্তারিত।

আমার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছিলাম যে, ধারাবাহিকভাবে আমাদের আউটসোর্সিং সংগঠন ও আন্দোলনের বিস্তারিত তুলে ধরবো। তবে বিষয়টি অনেক বড় হয়ে যেতে পারে, এবং সে ধারাবাহিক ভাবে লিখা গুলো সবার পড়া না ও হতে পারে। তাই  সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরছি।

সারা বাংলাদেশের সরকারি আধা সরকারি ও সায়ত্বশাসিত প্রতিস্টান গুলোতে (আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮) এর আওতায় আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের নিয়ে গড়ে তুলা এই সংগঠনের মূল লক্ষ্ ছিল।

অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম

একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করাই হলো সভ্য সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান শর্ত। প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, সম্মান, ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা কেবল আইনের মাধ্যমে নয়, সচেতন ও সংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমেও অর্জন করা সম্ভব।

শ্রমজীবী মানুষের স্বীকৃতি পাওয়া তাদের ন্যায্য অধিকার। একজন শ্রমিক তার শ্রম, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সমাজের ও দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখে। অথচ আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের সকল ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। উপযুক্ত মজুরি, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা শ্রমিকদের প্রাপ্য, কিন্তু আমরা তা পাই না।

অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রতিটি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। ইতিহাস সাক্ষী, কোনো অধিকার স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাওয়া যায় না; তা অর্জন করে নিতে হয়। সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য, নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে নিরবতা মানেই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করা। তাই, আমাদের উচিত সাহসের সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা, প্রতিবাদ করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া।

সমাজ পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন মানুষ সচেতন হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত হবে এবং নিজেদের ন্যায্য দাবির জন্য লড়াই করবে। তাই  আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হই, এবং নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাই।

 [স্বাধিনতা আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যান পরিষদ] সংগঠনের নাম দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে। সবাই বিশ্বাস করি, একতাবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সচেতনতার মাধ্যমে আমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবো।

আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল [২০২০ সাল] থেকে, এবং তখন থেকেই সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিল।[একটা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়]। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও সবাই এগিয়ে চলেছে। কারণ সবার  সাথে ছিল আপনাদের মতো সচেতন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষ। 

আগামী দিনে সবার লক্ষ্য ছিল [আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ বাতিল করে ঠিকাদার বাদ দিয়ে, স্ব স্ব প্রতিস্টানে বয়স শীতিল করে চাকরির নিরাপত্তা মাতৃত্বকালিন ছুটি সহ শ্রমআইনের সকল সুবিদা নিশ্চিত করা ]। সকলের চাওয়া ছিল, আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সমর্থন আমাদের এই যাত্রাকে আরও শক্তিশালী হবে।

সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে একসাথে এগিয়ে চলার শুরু। ✊

শুরুতে সময় টা বেশ কঠিন ছিল। রাজনৈতিক আমলাতান্ত্রিক আইনি এবং সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করাটা বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল।

প্রতিস্টালগ্নে যে সকল ভাই বোনের মেধা শ্রম অর্থ সময় ব্যায়ের মাধ্যমে আজকের এই বিশাল আউটসোর্সিং কর্মচারী জনবলের পরিবার তাদের প্রতি আমাদের সকলের ই কৃতজ্ঞতা শ্রদ্বা ভালোবাসা সব সময়। 

তাদের মধ্যে অন্যতম"""""

মুকুল চন্দ্র দেবনাথ/মোঃ জীবন/এস এম শিশির/মাহবুবুর রহমান আনিস/আল ইমরান মুন্না/মোঃ খলিল হাওলাদার/ জিল্লুর রহমান/মুজিবুর রহমান/ রমজান আলি টিটু/ নুরুন্নাহার/হাবিব সোহেল/জহুরুল ইসলাম/রাজু/মোঃ সেলিম,""""""সহ আর ও অনেক শ্রদ্বাভাজন ব্যক্তিত্ব। সবার নাম আমার জানা নেই বলে লেখতে পারছি না। তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। 

২০২৪ জুলাই/আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলন ও গনুঅভুত্যান পরবর্তী ১৭ আগস্টের আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম যা এখন ও চলমান আছে। এবং রফিকুল ইসলামের নাম না লিখার কারন হচ্ছে প্রতিস্টা লগ্নে তিনি ছিলেন না। এবং ১৯ অক্টোবর পরবর্তী আমাদের আন্দোলনের গতিবিধির লক্ষ্যব্রস্টের কারনে তার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে ,শাহাদাত ভাই/ আজাদ হীরা / উত্তম দাদা / সোহেল রানা / সাফিউল ইসলাম উজ্জ্বল এবং আমি সহ অনেকে ই নানান ভাবে চেস্টা চালাই। 

সে চেস্টার ফলশ্রুতিতে চলমান আন্দোলন গতি ফিরে পায়।কল্যান পরিষদের ব্যানারে করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হতে হয় আমাদের সহজোদ্বাদের থেকে। শ্রমসংস্কার কমিশনের সাথে আমরা কল্যান পরিষদের  ব্যানারে ই মতবিনিময় সভা করি। একটা মানব বন্দ্বন করতে গিয়ে আমাদেরকে থানায় জিডির মোকাবিলা করতে হয়। এর বাহিরের অনেক গল্প সারাদেশের সকল আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের জানা থাকার কথা।

শেষ পর্যন্ত উপায়ন্তর না দেখে কাউকে প্রতিপক্ষ চিন্তা না করে ২০২৫ ইংরেজী জানুয়ারির প্রথমে ই, বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নামে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করি। এই সংগঠনের কোনু পদ কেউ চেয়ে নিতে পারেন নি। প্রত্যেকে তার যোগ্যতা ও জনসমর্থনের ভিত্তিতে ই নেত্রিত্ব পেয়েছেন। তার আলোকে ই আমরা কমিটি গঠন করি।

বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কোনু সংগঠনের প্রতিপক্ষ নয়।সারাদেশের সকল আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের দাবীর পক্ষে ই কাজ করবে।অন্য যে কোনো সংগঠন আমাদের দাবীর স্ব পক্ষে প্রোগ্রাম আয়োজনে সমর্থন ও অংশগ্রহণ থাকবে।রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্তের মধ্যে আমরা কোনু ভুল খুজে পাই নি। আর আমাদের দাবীর স্ব পক্ষে তার জোরালো অবস্থান লক্ষ করছি।

স্বাধিনতা আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাথে রফিকুল ইসলামের সম্পর্ক ত্যাগ পরিশ্রম ব্যায় এবং বিগত দিনের যে কোনু প্রোগ্রাম সফলের ক্ষেত্রে লোকবল সহ উপস্থিতির কথা প্রতিস্টালগ্নের থেকে সম্পৃক্ত সিনিয়র ভাইয়েদের বিভেকের কাছে ছেড়ে দিলাম।

আপনারা ই নিজ দায়িত্বে সত্য টা প্রচার করবেন আশা করছি। আর আমার এই পুরো লেখা টা কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আর পুরোটা না পড়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে অনুরুধ করছি। 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...