২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও ইতিহাসের দায় আমাদের সকলের।
২০২৪ সালের ৩৬ টি দিন জুড়ে আন্দোলন সংগ্রাম পরবর্তী ৫ আগস্ট এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, আর সাধারণ জনতা বুকের রক্ত ঢেলে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল, তা কেবল একটি দিনের ঘটনা নয় — এটি ছিল শোষণ, দমন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুগ যুগের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রের বন্দিশৃঙ্খল ভেঙে, সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই দিনটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে/থাকবে।
কিন্তু সময়ের স্রোতে, ইতিহাসের সেই গৌরবময় অধ্যায় অনেকবার বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে, আর হয়তো আগামীতেও হবে। কখনো রাজনৈতিক স্বার্থে, কখনো ক্ষমতার হিসেব-নিকেশে ইতিহাসকে কাটাছেঁড়া করা হয়। কিন্তু ইতিহাস তো কারো একার সম্পত্তি নয়। এটি জনগণের — যারা সেই সময় রাস্তায় নেমেছিল, জীবন দিয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্রের।
আজকের প্রজন্মের জন্য একটি কথা খুব জরুরি — সময়ের বিবর্তনে কেউ হিরো হয়ে উঠতেই পারে। কারও অবদান ইতিহাসে বড় অক্ষরে লেখা হতেই পারে। তবে সেই হিরোও দেশপ্রেমের পরীক্ষায় ছাড় পাবেন না। দেশপ্রেম মানে শুধু মিছিল-মিটিং নয়, তা হলো জনগণের অধিকার রক্ষা, শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকা। সে যে-ই হোক, যত বড় নামই হোক, দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণের জায়গায় আপসের সুযোগ নেই। কারণ ইতিহাসের আসল নায়ক সেই মানুষগুলো, যাদের নাম আমরা জানি না, কিন্তু যারা জীবন দিয়ে দেশপ্রেমের আসল মানে দেখিয়ে গেছেন।
তাই ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা রুখে দিয়ে, সত্যকে সামনে আনা এবং হিরো হোক বা সাধারণ, দেশপ্রেমের নামে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়াই আজকের প্রয়োজন।
২৪ এর জুলাই আগস্ট অভুত্যানের সময় নিজের প্রাণ বিলিয়ে দেয়া প্রত্যেক টা মানুষ কে যেন আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা শহীদের মর্যাদা দান করেন।
আর সেই শহিদের রক্তের সাথে যেন কেউ বেঈমানী না করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন