মানুষকে শিখতে হয়, কিন্তু অন্যান্য প্রাণী শেখে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে
মানুষ একটি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী, যাকে তার জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে শেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জন্মের পর একটি শিশু হাঁটতে, কথা বলতে, খেতে, এমনকি টয়লেট ব্যবহার করতেও শিখে থাকে। এগুলো তার মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে থাকে না, বরং পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শেখে।
অন্যদিকে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রাণী জন্মগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারে, যেটা “প্রবৃত্তি” (instinct) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেমন:
উদাহরণ ১: হাঁসের ছানা
হাঁসের ছানা ডিম থেকে ফোটার পরপরই পানিতে সাঁতার কাটতে পারে। কেউ তাকে শেখায় না কিভাবে সাঁতার কাটতে হয়, এটি তার জেনেটিক্যালি প্রোগ্রাম করা আচরণ।
উদাহরণ ২: মুরগি
একটি মুরগির ছানা কীভাবে খাবার খুঁজে পেতে হয় বা কোথায় ঠুকতে হয়—এগুলো সে স্বভাবগতভাবে জানে। কোনো শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে শেখার দরকার হয় না।
উদাহরণ ৩: বিড়াল
একটি বাচ্চা বিড়াল জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কীভাবে দুধ খেতে হয়, কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয়, এসব আচরণ নিজেরাই করে থাকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন