সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আত্য সমালোচনা।

 সম্মানিত দর্শক ,আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন,আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি।

আজকে সারা দিন সবাই কি কাজ করলেন? সারা দিনের কাজের ব্যাপারে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন কি? আমরা কখনো নিজের কাজের জন্য নিজেকে প্রশ্ন করি না,আপনি কি জানেন কেন?যদি না জানেন তা হলে আজকের এই লেখা আপনার জন্য।

আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজের শেষে নিজেকে মুল্যায়ন করতে পারি না কারন আমারা কখনো নিজেকে অপরাধী মনে করতে পারি না।

আমরা কেউ ই ভুলের বাহিরে নই,অথচ আমাদের নিজের ভুল মেনে নিতে কেউ ই চাইনা,কারন আমরা আমাদের নিজের ভুল কে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে সব সময় পছন্দ করি।



আমরা যদি নিজের ভুল শিকার করতে পছন্দ করতাম,দিন শেষে নিজেকে মুল্যায়ন করতাম,পরের দিন সে ভুল থেকে নিজেকে বের করে আনার চেস্টা করতাম,তা হলে সমাজ টা আর ও সুন্দর হতো।

ভুল ত ভুল ই হয়,হোক সে নিজের বেলা।না হয় হোক সে আপনার আশেপাশে থাকা মানুষ টার। আজকের জন্য তাহাকে ক্ষমা করি।,দিন শেষে তার ভুল টা ধরিয়ে দেই,।আত্য সমালোচনার জন্য তাকে নিজেকে মনে করিয়ে নেই,রাতে ঘুমানোর আগে একটি বার বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করাই।

আইন,সমাজ বিচার ব্যাবস্তায় নিজের শাস্তির কথা কল্পনা করি,কি মনে হবে,খুবই বিশ্রি অবস্তা, তাই নয় কি?  আসুন সবাই নিজের বিচার নিজে করতে শিখি।

নিজেকে বদলাই,সমাজ বদলে যাবে, আমাদের নিজের বিচার করতে  শিখি, আত্যসমালোচনা টা নিজের এবং সমাজের কল্যানে খুব ই দরকারি।

আত্যসমালোচনা করার জন্য আমদের কে কি করতে হবে ? প্রথম যে কাজ টা করা খুব ই জরুরি তা হচ্ছে নিজের জন্য একান্ত কিছু সময় বের করা,প্রতিদিনের জন্য , তার পর সেই সময় জুড়ে শুধু মাত্র নিজের সারাদিনের কাজের পর্যালোচনা করা।

কোন টা ভুল ছিল আর কোন টা সঠিক তার হিসাব করা, অবশ্য ই সততার সাথে, এইবার ভুল কাজ গুলো না করলে কি হতো ? আর ভুলের জন্য কার কি ক্ষতি করেছেন তার বিশ্লেষণ করা, সঠিক কাজের জন্য নিজের ও সমাজের উপকারের বিশ্লেষণ টা ও করতে ভুলবেন না।

রেজাল্ট কি পাইছেন তা ভেবে দেখুন, হনেস্টলি চিন্তা করলে দেখবেন ভুলের জন্য নিজের বিবেকের কাছে অনুশোচনা আর সঠিক কাজের জন্য কতটা গর্ব হচ্ছে।

অনুশোচনার জন্য অশান্তি আর গর্বের জন্য প্রশান্তি, যে প্রশান্তির জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে সবাই, তা হলে কেন অশান্তি ডেকে আনবো জীবনে? প্রশান্তি যেখানে হাতের নাগালে, আমরা যেকোনো ভাল কাজের পরে মনের মধ্যে একটা আলাদা শান্তি অনুভব করি। আমার কাজ দিয়ে যদি অন্যের উপকার হয় তা হলে সেই শান্তির পরিধি আরেকটু বেশি। বরতমানে সমাজের অবস্তা খুব ই করুন, সবার উপকার হয়তো আমি করতে পারবো না।

কিন্তু সারাদিনে যদি আমার ইচ্ছে হয় ত নিজের কাজের ফাকে যে কোনু একটা উপকার কেউ বা কারো জন্য করতে পারবো, কি সেই ভালো কাজ ,কি ভাবে ভালো কাজ করা যায়? এই বিষয়ে আরেকটা লেখা নিয়ে আলোচনা করবো।

খুব ভাল লিখা লিখি করতে পারি তা নয়,তবে লিখতে খুব ভালো লাগে,আর সেই ভাল লাগা থেকে সামান্য প্রচেস্টা মাত্র,

যদি আমার এই লেখা কারো চোখে পড়ে আর একটু চোখ ভুলানো হয় ত একটা রিয়েক্ট করে জাবার অনুরুধ রইল,

তবেই ত অনুপ্রেরনা পাবো,সবাই ভালো থাকবেন। সেই প্রত্যাসায় আজকের মতো বিদায়।।আল্লাহ হাফিজ। 💚💚💚














মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...