আমার লিখতে অনেক ভালো লাগে তাই লিখি। আমার লেখা পড়ে কেউ বাহবাহ দিলো বা প্রসংসা করলো কি না তা নিয়ে ভেবে দেখা হয় নি। যে কোনু কাজের শেষ সেই কাজের জন্য মানুষ তার মুল্যায়ন চায়।সেই মুল্যায়নের পরে যদি তা ইতিবাচক হয় তা হলে সে কাজের জন্য যে কাজটা করলো সে আত্বতিপ্তি পায়।আর ও কিছু কাজের জন্য উৎসাহিত হয়। নেতিবাচক হলে কিছুটা খারাপ লাগে। মনের দিক থেকে ভেংগে পড়ে।
প্রশংসা এবং সমালোচনা—এই দুটি বিষয় মানুষের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। প্রত্যেকেই চায় তার কাজের স্বীকৃতি মিলুক, আর সেই স্বীকৃতি যখন প্রশংসা রূপে আসে, তখন তা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার উৎসাহ দেয়। অপরদিকে, সমালোচনা—যদি তা গঠনমূলক হয়—তাহলে তা একজন মানুষকে নিজের ভুল বুঝতে সাহায্য করে এবং নিজেকে উন্নত করার সুযোগ করে দেয়। তবে অযাচিত বা নেতিবাচক সমালোচনা অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রশংসা ও সমালোচনার মধ্যে ভারসাম্য থাকা জরুরি। একজন সচেতন ব্যক্তি প্রশংসায় অহংকারী না হয়ে বিনয়ী থাকে এবং সমালোচনায় ভেঙে না পড়ে শিক্ষাগ্রহণ করে। এই দুটি দিকই জীবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূল্যায়নের চাওয়া আর আত্মতৃপ্তির গল্প
আমি লিখতে ভালোবাসি। ভালো লাগা থেকেই লেখা শুরু—কোনো বাহবা বা প্রশংসার আশায় নয়। কখনো ভাবিনি আমার লেখায় কেউ মুগ্ধ হবে কি না, কিংবা প্রশংসার ফুল ঝরাবে কি না। শুধু মনের ভিতরের কথা, অনুভব, চিন্তা—সবই কলমে তুলে ধরি নিজের শান্তির জন্য।
তবে মানুষ তো সমাজবদ্ধ প্রাণী। কাজ শেষে কেউ যদি বলে, "ভালো করেছো", তখন একটা অদ্ভুত তৃপ্তি কাজ করে। মনে হয়, হ্যাঁ, কিছু একটা করেছি যার মূল্য আছে। সেই মূল্যায়ন যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে আত্মতৃপ্তির পাশাপাশি নতুন করে কিছু করার প্রেরণাও জাগে।
কিন্তু যদি মূল্যায়নটা নেতিবাচক হয়? তখন একটু খারাপ তো লাগেই। মনে হয়, এত কষ্ট করে যা করলাম, তা হয়তো ঠিক হয়নি। কিছুটা ভেঙে পড়ি, প্রশ্ন করি নিজেকেই—আমি কি তাহলে ভুল ছিলাম?
তবুও আবার কলম ধরি। কারণ আমি লিখি নিজের ভালো লাগার জন্য। মানুষের মত, অনুভব, ভালোলাগা বা খারাপ লাগা—সবই থাকে সেই লেখার ভিতর। প্রশংসা বা সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়েও যে ভালোবাসা নিয়ে লিখি, সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন