সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেশপ্রেম ।

  দেশপ্রেম: উন্নয়নের মূল ভিত্তি দেশপ্রেম মানে শুধুমাত্র নিজের দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরা নয়, বরং এটি এক গভীর দায়িত্ববোধ, আত্মত্যাগ ও মমতার প্রকাশ – যা দেশের মানুষের প্রতি, দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের প্রতি এক নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা। 🔹 দেশপ্রেম কী? দেশপ্রেম হলো নিজের মাতৃভূমির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা। এটি এমন একটি অনুভব, যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করতে। দেশের প্রতিটি অর্জনে গর্ববোধ করা এবং দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোই সত্যিকার দেশপ্রেমিকের বৈশিষ্ট্য। 🔹 দেশপ্রেম থাকা কেন জরুরি? ১. দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলে: দেশপ্রেম মানুষকে সৎ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হতে শেখায়। তারা আইন মানে, কর দেয়, সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখে। ২. ভাগাভাগির রাজনীতি দুর্বল হয়: জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ কমে আসে, যখন মানুষের মধ্যে প্রধান পরিচয় হয় “আমি এই দেশের মানুষ”। ৩. স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে: দেশপ্রেমিকরা নিজের সুবিধার চেয়ে দেশের মঙ্গলকে বড় করে দেখে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, পরিবেশ রক্ষা করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে না। 🔹 দেশের প্রতি ভালো...

ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা।

🎯 সুন্দর জীবনের জন্য ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক — এটা প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলে বা ইচ্ছা করলেই তো জীবন সুন্দর হয় না। এর জন্য দরকার একটা সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারা। আর এই নিয়মের নামই ডিসিপ্লিন । 📌 ডিসিপ্লিন কি? ডিসিপ্লিন মানে নিজের সময়, কাজ, অভ্যাস, এবং জীবনযাপনে শৃঙ্খলা আনা। এমনভাবে চলা যাতে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করা যায় এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। 📌 কেন জরুরি ডিসিপ্লিন? ১️⃣ সময় ব্যবস্থাপনায় সহায়ক: ডিসিপ্লিন মানে সময়ের কাজ সময়ে করা। যার জীবনে সময়ের মূল্য নেই, তার জীবন অগোছালো ও সমস্যায় ভরা হয়ে যায়। ২️⃣ সফলতার মূল চাবিকাঠি: বড় বড় সফল মানুষদের দিকে তাকালেই দেখা যাবে, তারা সবাই কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করেছেন। নিয়মিত পরিশ্রম, সময়মতো কাজ করা, এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাই তাদের সফলতার মূল রহস্য। ৩️⃣ দেহ ও মনের সুস্থতা বজায় রাখে: সঠিক সময়ে ঘুম, সঠিক সময়ে খাওয়া, সময়মতো বিশ্রাম — এগুলো জীবনে ডিসিপ্লিনের মাধ্যমেই সম্ভব। এতে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আসে। ৪️⃣ সমাজে সম্মান বাড়ায়: যে ব্যক্তি ডিসিপ্লিন...

মানুষকে শিখতে হয়

মানুষকে শিখতে হয়, কিন্তু অন্যান্য প্রাণী শেখে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে মানুষ একটি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী, যাকে তার জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে শেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জন্মের পর একটি শিশু হাঁটতে, কথা বলতে, খেতে, এমনকি টয়লেট ব্যবহার করতেও শিখে থাকে। এগুলো তার মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে থাকে না, বরং পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শেখে। অন্যদিকে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রাণী জন্মগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারে, যেটা “প্রবৃত্তি” (instinct) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেমন: উদাহরণ ১: হাঁসের ছানা হাঁসের ছানা ডিম থেকে ফোটার পরপরই পানিতে সাঁতার কাটতে পারে। কেউ তাকে শেখায় না কিভাবে সাঁতার কাটতে হয়, এটি তার জেনেটিক্যালি প্রোগ্রাম করা আচরণ। উদাহরণ ২: মুরগি একটি মুরগির ছানা কীভাবে খাবার খুঁজে পেতে হয় বা কোথায় ঠুকতে হয়—এগুলো সে স্বভাবগতভাবে জানে। কোনো শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে শেখার দরকার হয় না। উদাহরণ ৩: বিড়াল একটি বাচ্চা বিড়াল জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কীভাবে দুধ খেতে হয়, কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয়, এসব আচরণ নিজেরাই কর...

জুলাই ও সরকার

 বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট মাসের ৩৬ টি দিন। বই বা বক্তব্য অথবা গল্পের মাধ্যমে যে কোনু কিছু শুনা আর নিজ চোখে দেখার মধ্যে অনেক তফাত তা কম বেশি সবাই ই উপলদ্বি করতে পেরেছেন/পারেন। এই ব্লগে নিজের দেখা ও ফিল করা ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট বৈষম্য বিরুদি ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অভুত্যান ও রাজনৈতিক পালা বদল তার সাথে প্রফেসর ডঃ ইউনুস স্যার কে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশের অগ্রগতি না নিম্নগামি তা নিয়ে কিছু কথা লিখবো।  পুরো লেখা জুড়ে  নিতান্ত ই নিজের দেখা ও ভাবনার প্রকাশ পাবে।কোনু রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত্য বা বিরুধের কিছু খোজে পেলে তা সত্য প্রকাশের কারনে উঠে এসেছে। আমাকে শত্রু ভাবার কোনু কারন নেই।কাকতালীয় বা ভুল মেসেজ মনে করে এড়িয়ে ও যেতে পারেন।যাই হোক আল্লার নামে শুরু করা যাক।  বেশ লম্বা সময় প্রায় ২১ বছরের ও বেশি সময় জুড়ে ঢাকায় বসবাস এবং গত ৪ বছরের থেকে বেশি দেশের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থান নিজের কর্মস্থল হবার কারনে খুব কাছে থেকে এ দেশের অনেক জঠিল ও কঠিন বিষয় গুলো  দেখার সুযোগ হয়েছে।তাই যে ল...

মিত্যাচারের অপকারিতা এবং সত্যের সৌন্দর্য

ভূমিকা মানব জীবনে সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। সভ্যতার আদিমকাল থেকেই মানুষ মিথ্যা কথা বলে আসছে এবং তার পরিণতিও ভোগ করেছে। মিত্যাচার বা মিথ্যা বলা হলো ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা বা সত্যকে বিকৃত করা। অন্যদিকে, সত্য বলার মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তি, আস্থা এবং নৈতিকতা বজায় থাকে। আজকের এই লেখায় আমরা মিত্যাচারের ক্ষতিকর দিক এবং সত্যের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করব।   মিত্যাচারের অপকারিতা মিথ্যা বলা শুধুমাত্র একক কোনো ব্যক্তির ক্ষতি করে না, এটি সমগ্র সমাজব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। মিথ্যার ফলে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের ভাঙন ঘটে। কিছু অপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো: ১. মানসিক অস্থিরতা: মিথ্যা বলা ব্যক্তির মনে সর্বদা অপরাধবোধ ও ভয় কাজ করে। কখন মিথ্যার পর্দা সরে যাবে, সেই আশঙ্কায় মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। ২. সমাজে বিশৃঙ্খলা: মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কোনো সমাজ কখনো টিকে থাকতে পারে না। এতে পারস্পরিক আস্থা ভেঙে যায় এবং অশান্তির সৃষ্টি হয়। ৩. সম্পর্কের ভাঙন: মিথ্যার কারণে পরিবারের মধ্যে, বন্ধুদের মধ্যে এবং সমাজের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়। ৪. নৈতিক অধঃপতন: মিথ্যা বলা অভ্যাসে পরিণত হলে মানুষে...