বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

দেশপ্রেম ।

 দেশপ্রেম: উন্নয়নের মূল ভিত্তি

দেশপ্রেম মানে শুধুমাত্র নিজের দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরা নয়, বরং এটি এক গভীর দায়িত্ববোধ, আত্মত্যাগ ও মমতার প্রকাশ – যা দেশের মানুষের প্রতি, দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের প্রতি এক নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা।

🔹 দেশপ্রেম কী?

দেশপ্রেম হলো নিজের মাতৃভূমির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা। এটি এমন একটি অনুভব, যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করতে। দেশের প্রতিটি অর্জনে গর্ববোধ করা এবং দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোই সত্যিকার দেশপ্রেমিকের বৈশিষ্ট্য।



🔹 দেশপ্রেম থাকা কেন জরুরি?

১. দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলে: দেশপ্রেম মানুষকে সৎ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হতে শেখায়। তারা আইন মানে, কর দেয়, সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখে।

২. ভাগাভাগির রাজনীতি দুর্বল হয়: জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ কমে আসে, যখন মানুষের মধ্যে প্রধান পরিচয় হয় “আমি এই দেশের মানুষ”।

৩. স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে: দেশপ্রেমিকরা নিজের সুবিধার চেয়ে দেশের মঙ্গলকে বড় করে দেখে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, পরিবেশ রক্ষা করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে না।

🔹 দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে উন্নতি হয় কিভাবে?

  • শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় উৎসাহ বাড়ে: দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষতা দরকার – দেশপ্রেমিকরা সেই দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী হয়।

  • স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়: বিদেশি পণ্যের দিকে না ঝুঁকে, দেশি পণ্য ব্যবহার বাড়ে। এতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।

  • উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব তৈরি হয়: যারা দেশের উন্নতির স্বপ্ন দেখে, তারা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চায় – নতুন প্রযুক্তি, সামাজিক উদ্যোগ কিংবা নেতৃত্ব।

  • জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে: বিভাজন নয়, মিলনের মন্ত্রে সবাই কাজ করলে সামষ্টিক উন্নতি নিশ্চিত হয়।

🔹 শেষকথা:

দেশপ্রেম কেবল বিশেষ দিনে পতাকা ওড়ানো বা মিছিল করাই নয়; বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজেও তা প্রকাশ পায়—রাস্তা পরিষ্কার রাখা, একজন দরিদ্রকে সহায়তা করা, সরকারি সম্পদের যত্ন নেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। যখন প্রতিটি নাগরিক তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তখনই একটি দেশ প্রকৃত অর্থে উন্নতির পথে এগিয়ে যায়।

👉 তাই দেশকে ভালোবাসুন, দেশ গড়ায় অংশ নিন। আপনার সামান্য সৎ কাজটিও একদিন বড় পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। 🇧🇩


ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা।

🎯 সুন্দর জীবনের জন্য ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা

জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক — এটা প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলে বা ইচ্ছা করলেই তো জীবন সুন্দর হয় না। এর জন্য দরকার একটা সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারা। আর এই নিয়মের নামই ডিসিপ্লিন

📌 ডিসিপ্লিন কি?

ডিসিপ্লিন মানে নিজের সময়, কাজ, অভ্যাস, এবং জীবনযাপনে শৃঙ্খলা আনা। এমনভাবে চলা যাতে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করা যায় এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়।



📌 কেন জরুরি ডিসিপ্লিন?

১️⃣ সময় ব্যবস্থাপনায় সহায়ক:
ডিসিপ্লিন মানে সময়ের কাজ সময়ে করা। যার জীবনে সময়ের মূল্য নেই, তার জীবন অগোছালো ও সমস্যায় ভরা হয়ে যায়।

২️⃣ সফলতার মূল চাবিকাঠি:
বড় বড় সফল মানুষদের দিকে তাকালেই দেখা যাবে, তারা সবাই কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করেছেন। নিয়মিত পরিশ্রম, সময়মতো কাজ করা, এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাই তাদের সফলতার মূল রহস্য।

৩️⃣ দেহ ও মনের সুস্থতা বজায় রাখে:
সঠিক সময়ে ঘুম, সঠিক সময়ে খাওয়া, সময়মতো বিশ্রাম — এগুলো জীবনে ডিসিপ্লিনের মাধ্যমেই সম্ভব। এতে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আসে।

৪️⃣ সমাজে সম্মান বাড়ায়:
যে ব্যক্তি ডিসিপ্লিন মেনে চলে, সে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত হয়। কারণ তার কাজের উপর মানুষ ভরসা রাখতে পারে।

📌 ডিসিপ্লিন ছাড়া জীবনে কি হয়?

ডিসিপ্লিনহীন জীবন মানে এলোমেলো সময়, অপচয়, হতাশা আর অপ্রাপ্তিতে ভরা এক কঠিন বাস্তবতা। জীবনে কোন লক্ষ্য পূরণ করা যায় না। দিন শেষে শুধু আফসোস আর অনুশোচনা থেকে যায়।

📌 কিভাবে ডিসিপ্লিন গড়ে তুলবেন?

✅ নির্দিষ্ট রুটিন করুন
✅ সময়ের কাজ সময়ে করুন
✅ অপ্রয়োজনীয় কাজ, আড্ডা বা সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে দূরে থাকুন
✅ প্রতিদিন নিজের অগ্রগতি যাচাই করুন
✅ নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দিন

✨ উপসংহার

ডিসিপ্লিন শুধু কঠিন নিয়ম নয় — এটা একটা জীবনশৈলী। যারা জীবনে সফল ও শান্তিপূর্ণ হতে চান, তাদের জন্য ডিসিপ্লিনই সবচেয়ে বড় সঙ্গী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ডিসিপ্লিন ধরে রাখতে পারলে, জীবন হবে সুন্দর, সার্থক এবং সফল।


শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

মানুষকে শিখতে হয়

মানুষকে শিখতে হয়, কিন্তু অন্যান্য প্রাণী শেখে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে

মানুষ একটি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী, যাকে তার জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে শেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জন্মের পর একটি শিশু হাঁটতে, কথা বলতে, খেতে, এমনকি টয়লেট ব্যবহার করতেও শিখে থাকে। এগুলো তার মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে থাকে না, বরং পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শেখে।

অন্যদিকে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রাণী জন্মগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারে, যেটা “প্রবৃত্তি” (instinct) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।



 যেমন:

উদাহরণ ১: হাঁসের ছানা

হাঁসের ছানা ডিম থেকে ফোটার পরপরই পানিতে সাঁতার কাটতে পারে। কেউ তাকে শেখায় না কিভাবে সাঁতার কাটতে হয়, এটি তার জেনেটিক্যালি প্রোগ্রাম করা আচরণ।

উদাহরণ ২: মুরগি

একটি মুরগির ছানা কীভাবে খাবার খুঁজে পেতে হয় বা কোথায় ঠুকতে হয়—এগুলো সে স্বভাবগতভাবে জানে। কোনো শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে শেখার দরকার হয় না।

উদাহরণ ৩: বিড়াল

একটি বাচ্চা বিড়াল জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কীভাবে দুধ খেতে হয়, কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয়, এসব আচরণ নিজেরাই করে থাকে।

তাহলে পার্থক্য কোথায়?

মানুষের শিখন ক্ষমতা তাকে আরও জটিল কাজ যেমন ভাষা ব্যবহার, বিজ্ঞান আবিষ্কার, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নৈতিকতা বোঝা ইত্যাদি করতে সক্ষম করে। অন্যদিকে প্রাণীরা সাধারণত তাদের টিকে থাকার জন্য দরকারি সীমিত আচরণগত প্যাটার্ন নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়।

মানুষের শেখা ও জীবনের পথচলা

প্রকৃতির এক অদ্ভুত ও বিস্ময়কর নিয়ম হলো, অধিকাংশ প্রাণী জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনধারার প্রয়োজনীয় দিকগুলো স্বাভাবিকভাবেই শিখে নেয়। একটি হরিণ জন্মের কিছুক্ষণ পরই হাঁটতে শুরু করে, একটি পাখির ছানা ডানায় জোর পেলেই উড়তে শেখে। পশু-পাখিদের মধ্যে এই স্বতঃসিদ্ধ আচরণ প্রকৃতির মধ্যেই প্রোথিত থাকে।

কিন্তু মানুষ ভিন্ন। মানুষ পৃথিবীতে এসে কিছুই জানে না, কিছুই পারে না। তাকে শিখতে হয়— হাঁটা, কথা বলা, চিন্তা করা, ভালো-মন্দের পার্থক্য, আদব-কায়দা, এমনকি বেঁচে থাকার মৌলিক উপায়গুলোও। এই শেখার ধারাই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে।

মানুষের জীবন শুরু হয় শূন্যতা থেকে, আর শেখার মধ্য দিয়েই সে গড়ে তোলে তার ব্যক্তিত্ব, চিন্তা, বিশ্বাস ও জীবনধারা। এই কারণেই মানুষের জীবন একটি শিক্ষামূলক যাত্রা— যেখানে প্রতিটি ধাপে রয়েছে নতুন কিছু শেখার সুযোগ।

শুধু বেঁচে থাকা নয়, সঠিকভাবে বাঁচার জন্য মানুষকে শিক্ষা নিতে হয় পরিবার, সমাজ, বই, অভিজ্ঞতা ও সময় থেকে। আর এটাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ— যে সে শেখার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করে তুলতে পারে।

তাই বলা যায়, প্রকৃতির নিয়মে প্রাণীরা যেখানে নিজের জীবনযাত্রা সহজেই আয়ত্ত করে, সেখানে মানুষকে তার জীবন চালাতে হলে ধাপে ধাপে শিখে নিতে হয়। আর এই শেখাটাই তাকে সত্যিকার অর্থে মানুষ করে তোলে।

অসমাপ্ত,""""""""""

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

জুলাই ও সরকার

 বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট মাসের ৩৬ টি দিন। বই বা বক্তব্য অথবা গল্পের মাধ্যমে যে কোনু কিছু শুনা আর নিজ চোখে দেখার মধ্যে অনেক তফাত তা কম বেশি সবাই ই উপলদ্বি করতে পেরেছেন/পারেন। এই ব্লগে নিজের দেখা ও ফিল করা ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট বৈষম্য বিরুদি ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অভুত্যান ও রাজনৈতিক পালা বদল তার সাথে প্রফেসর ডঃ ইউনুস স্যার কে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশের অগ্রগতি না নিম্নগামি তা নিয়ে কিছু কথা লিখবো। 

পুরো লেখা জুড়ে  নিতান্ত ই নিজের দেখা ও ভাবনার প্রকাশ পাবে।কোনু রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত্য বা বিরুধের কিছু খোজে পেলে তা সত্য প্রকাশের কারনে উঠে এসেছে। আমাকে শত্রু ভাবার কোনু কারন নেই।কাকতালীয় বা ভুল মেসেজ মনে করে এড়িয়ে ও যেতে পারেন।যাই হোক আল্লার নামে শুরু করা যাক। 

বেশ লম্বা সময় প্রায় ২১ বছরের ও বেশি সময় জুড়ে ঢাকায় বসবাস এবং গত ৪ বছরের থেকে বেশি দেশের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থান নিজের কর্মস্থল হবার কারনে খুব কাছে থেকে এ দেশের অনেক জঠিল ও কঠিন বিষয় গুলো  দেখার সুযোগ হয়েছে।তাই যে লেখা টা পড়ছেন তা হয়তো মিডিয়ায় প্রচার বা অন্যান্য নিউজের সাথে সাংগরসিক মনে হতে পারে।তবে তা মিত্যা নয়।

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

মিত্যাচারের অপকারিতা এবং সত্যের সৌন্দর্য


ভূমিকা

মানব জীবনে সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। সভ্যতার আদিমকাল থেকেই মানুষ মিথ্যা কথা বলে আসছে এবং তার পরিণতিও ভোগ করেছে। মিত্যাচার বা মিথ্যা বলা হলো ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা বা সত্যকে বিকৃত করা। অন্যদিকে, সত্য বলার মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তি, আস্থা এবং নৈতিকতা বজায় থাকে। আজকের এই লেখায় আমরা মিত্যাচারের ক্ষতিকর দিক এবং সত্যের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করব।


 


মিত্যাচারের অপকারিতা

মিথ্যা বলা শুধুমাত্র একক কোনো ব্যক্তির ক্ষতি করে না, এটি সমগ্র সমাজব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। মিথ্যার ফলে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের ভাঙন ঘটে। কিছু অপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. মানসিক অস্থিরতা: মিথ্যা বলা ব্যক্তির মনে সর্বদা অপরাধবোধ ও ভয় কাজ করে। কখন মিথ্যার পর্দা সরে যাবে, সেই আশঙ্কায় মানসিক শান্তি নষ্ট হয়।

২. সমাজে বিশৃঙ্খলা: মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কোনো সমাজ কখনো টিকে থাকতে পারে না। এতে পারস্পরিক আস্থা ভেঙে যায় এবং অশান্তির সৃষ্টি হয়।

৩. সম্পর্কের ভাঙন: মিথ্যার কারণে পরিবারের মধ্যে, বন্ধুদের মধ্যে এবং সমাজের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।

৪. নৈতিক অধঃপতন: মিথ্যা বলা অভ্যাসে পরিণত হলে মানুষের নৈতিক চরিত্র ভেঙে পড়ে এবং সে আত্মসম্মান হারায়।

৫. পরিণতিতে বিপদ: অল্প সময়ের জন্য মিথ্যা সুবিধা দিলেও, দীর্ঘ মেয়াদে তা ধরা পড়ে এবং তখন তার ফল হয় ভয়াবহ।


সত্যের সৌন্দর্য

সত্য এমন এক গুণ যা মানুষকে মহৎ করে তোলে। সত্য বলার অভ্যাস মানুষের ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করে এবং সমাজে মর্যাদা এনে দেয়। সত্যের কিছু সৌন্দর্য হলো:

১. আত্মশান্তি: সত্যবাদী ব্যক্তি তার মনে শান্তি অনুভব করে। তাকে মিথ্যা আড়াল করতে হয় না বা কোনো অস্থিরতায় ভুগতে হয় না।

২. বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা অর্জন: সত্যবাদী মানুষের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকে এবং তার কথায় বিশ্বাস রাখে।

৩. সম্পর্কের দৃঢ়তা: সত্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৪. নৈতিক উন্নতি: সত্য বলার মাধ্যমে মানুষের চরিত্র গঠন হয় এবং সে নৈতিকভাবে উন্নত হয়।

৫. সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা: যখন সমাজে সবাই সত্য কথা বলে, তখন সেখানে পারস্পরিক আস্থা ও শান্তি বজায় থাকে। 


উপসংহার

মিথ্যা কখনো দীর্ঘস্থায়ী সুখ দিতে পারে না। এটি সাময়িকভাবে কিছু সুবিধা দিলেও, শেষ পর্যন্ত তার ফল হয় ভয়াবহ। অন্যদিকে, সত্যের পথ কঠিন হলেও, তা মানুষকে সম্মান, আস্থা ও শান্তির পথে নিয়ে যায়। তাই আমাদের জীবনে মিথ্যা পরিহার করে সত্যকে গ্রহণ করা উচিত। সত্যের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন।