শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতি

 বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেকে কখনো জড়াতে পারিনি। কেন পারিনি? তার উত্তর খুজতে গেলে অনেক কথা লিখতে হয়।চেষ্টা করি সল্প লিখনিতে বাংলাদেশের রাজনীতি আর তার সাথে নিজেকে কখনো ই জড়াতে না পারার কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমি নিজে  জানি যে আমি কোনো রাজনীতির সাথে জড়িয়ে নেই।কিন্তু আমার আশেপাশের মানুষ বা সমাজের চোখে প্রত্যেকেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছি।এই টা ই এ দেশের মানুষের চিন্তা চেতনা সবার বেলায় হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে রাজনীতি যে বা যাহারা করেন তাদের চরিত্রের মধ্যে আমি আমার দৃষ্টিতে যে ভাবে দেখি তা সাধারনত খুবই রহস্যময়। ভেতর বাহির সমাজ দেশ নিজের দলের ব্যাপারে অন্য দলের ব্যাপারে আলাদা আলাদা ভাবে আচরন করেন।আর সে আলাদা আচরনের মধ্যে নেতিবাচক চালচলন বেশি লক্ষ্য করা যায়। তার কিছু আলোচনা করা যাক।



বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল হলেও বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। রাজনীতি আসলে জনগণের সেবা, ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা ও দেশ উন্নয়নের মহান দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে অনেক সময় রাজনীতি ক্ষমতা, প্রভাব ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হয়ে গেছে।

কিছু রাজনীতিবিদ নীতি-আদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে দলীয় স্বার্থ ও ব্যক্তিগত লাভকে অগ্রাধিকার দেন। জনগণের কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে অনেকেই সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। ফলে দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব, অযোগ্য লোককে প্রাধান্য দেওয়া—এসব প্রবণতা সমাজে অবিচার ও হতাশা সৃষ্টি করে।

তবে সব রাজনীতিবিদ একই রকম নন। দেশে এখনো এমন অনেক নেতাও আছেন যারা সততা, ত্যাগ ও দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। কিন্তু সংখ্যায় তারা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন ধীরগতিতে হয়।

যদি রাজনীতিবিদরা ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে আগে রাখেন, সততা ও জবাবদিহিতা মেনে চলেন, তবে রাজনীতি আবার মানুষের আস্থার জায়গায় ফিরে আসতে পারে। নীতি, সততা ও সেবার মানসিকতা ছাড়া প্রকৃত অর্থে রাজনীতি সফল হয় না।কিন্তু এখন ও সে পরিবর্তন রাজনীতিতে লক্ষ্যনিয় নয়।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের চরিত্রে ভিন্ন দল বা মতের প্রতি আচরণ অনেক সময়ই গণতান্ত্রিক আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় না। রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে স্বাস্থ্যকর বিতর্ক বা গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পরিবর্তে অনেক নেতাই তা ব্যক্তিগত শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর্যায়ে নিয়ে যান। ফলে ভিন্ন মতের প্রতি সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে না।

অনেক সময় দেখা যায়, বিরোধী দলের ভালো উদ্যোগকেও শুধু দলীয় স্বার্থের কারণে বিরোধিতা করা হয়, যেন অন্যের সাফল্য মানে নিজের ক্ষতি। সংসদ, মিডিয়া বা জনসভায় তীব্র ভাষা, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রায়ই রাজনৈতিক আচার-আচরণের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। এতে জনগণের মধ্যে বিভক্তি বাড়ে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ হয় বিষাক্ত।

আসলে গণতন্ত্রে ভিন্ন দল বা মতের প্রতি সহনশীলতা, যুক্তিপূর্ণ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, দলীয় একচ্ছত্রতা ও ক্ষমতার লোভের কারণে এই সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতাদের মানসিকতা পরিবর্তন, গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার করা এবং ভিন্নমতের প্রতি ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলা।কিন্তু বাংলাদেশের রাজনূতিবিদের মধ্যে কখনো ই ভিন্ন দল/মতের প্রতি শ্রদ্বাবোধ লক্ষ্য করা যায় না।

মেধাবী মানুষের বাংলাদেশের রাজনীতিতে না আসার কয়েকটি কারন তুলে ধরা যাক। 

 বাংলাদেশে মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতে অনীহা থাকার পেছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে—

* নোংরা ও সহিংস রাজনীতির পরিবেশ
রাজনীতিকে জনসেবার পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষমতা দখল ও প্রতিপক্ষ দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সহিংসতা, দমন-পীড়ন, অপমানের আশঙ্কা মেধাবীদের নিরুৎসাহিত করে।

* আদর্শ ও নীতির অভাব
অনেক রাজনৈতিক দলেই যোগ্যতার চেয়ে আনুগত্য, স্বজনপ্রীতি ও অর্থবলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নীতি-আদর্শকে প্রাধান্য না দেওয়ায় সৎ ও যোগ্য মানুষ টিকে থাকতে পারেন না।

* দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সংস্কৃতি
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে নিজের নিরাপত্তা, সম্মান ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়ার ভয় থাকে। মেধাবীরা সাধারণত নিজের মর্যাদা ও সততা রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেন।

* স্থিতিশীল ও নিরাপদ ক্যারিয়ারের প্রতি ঝোঁক
প্রতিভাবান তরুণরা পড়াশোনা শেষে ভালো পেশায় যুক্ত হতে চান—যেখানে সম্মান, স্থিতিশীলতা ও উন্নতির সুযোগ বেশি। রাজনীতিতে এসব নিশ্চিত নয়।

* রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা
প্রায়ই হরতাল, অবরোধ, গ্রেপ্তার, মামলা—এসব ঝুঁকি মেধাবীদের দূরে রাখে। পরিবার থেকেও রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

* স্বচ্ছ নেতৃত্বের অভাব

মেধাবীরা এমন নেতৃত্ব চান, যেখানে সৎ উদ্দেশ্য, ন্যায্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ভাবনা থাকবে। কিন্তু অনেক সময় নেতৃত্বে সেই অনুপ্রেরণা না থাকায় তারা আগ্রহ হারান।

* সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
অনেকের চোখে রাজনীতি মানেই ‘খারাপ লোকের কাজ’। এই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও শিক্ষিত, যোগ্য ও নীতিবান মানুষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

অসমাপ্ত""""""""""""


শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

চাহিদা যত কম শান্তি তত বেশি,

জীবন নিয়ে যত আকাঙ্ক্ষা কম, সে জীবনে শান্তি তত বেশি

আমরা সবাই জীবনে সুখ খুঁজি। কেউ খোঁজে ধন-সম্পদে, কেউ খ্যাতিতে, কেউ ভালোবাসায়। কিন্তু শান্তি—সেই অন্তরের প্রশান্তি, যেটা সব কিছুর ওপরে—তা আমরা খুঁজে ফিরি ভুল পথে। আসলে, যতক্ষণ না আমরা বুঝতে পারি যে অধিক চাওয়াই অধিক অশান্তির মূল, ততক্ষণ আমরা শান্তি খুঁজেও পাই না।

আকাঙ্ক্ষা—এটা স্বাভাবিক, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু এই আকাঙ্ক্ষা যখন সীমাহীন হয়, তখন তা পরিণত হয় এক অনন্ত অসন্তুষ্টিতে। আমরা একটি অর্জন করেই পরের দিকে দৌড়াই। নতুন বাড়ি, নতুন গাড়ি, বড় পদ, বেশি টাকা—সব কিছুর পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা হারিয়ে ফেলি নিজের অস্তিত্ব, নিজের সময়, এমনকি নিজের মানুষগুলোকেও।

এমন নয় যে স্বপ্ন দেখা বা উন্নতির ইচ্ছে খারাপ। কিন্তু সেই ইচ্ছেগুলো যখন আমাদের শান্তি হরণ করে, তখনই তা বিপদ ডেকে আনে। জীবন তখন হয়ে ওঠে প্রতিযোগিতার ময়দান, যেখানে কেউই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয় না। কারণ আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই।

সীমিত চাওয়া মানেই সংযম। আর সংযমেই শান্তি। যাকে আমরা “Minimalism” বলি—কম নিয়ে বাঁচা, কিন্তু গভীরভাবে বাঁচা। সহজ জীবন, সহজ চাহিদা—এই হল প্রকৃত সুখের চাবিকাঠি।

কোনো এক দার্শনিক বলেছিলেন, “সবচেয়ে ধনী সেই ব্যক্তি, যার চাওয়ার পরিমাণ সবচেয়ে কম।” কারণ সে ব্যক্তি যা পেয়েছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে শেখে। সে জানে—শান্তি বাইরে নয়, নিজের ভেতরে।

তাই আজ একটু থামুন। নিজের জীবনকে দেখুন। সত্যিই কি যা চাইছি, তার সবটাই দরকার? নাকি কিছু ছাড় দিলেই মিলবে অনেক বেশী মানসিক প্রশান্তি?

জীবন নিয়ে যত আকাঙ্ক্ষা কম, সে জীবনে শান্তি তত বেশি—এটা শুধু একটা লাইন নয়, এটা একটা জীবনদর্শন।



তাই আবার ও বলছি

জীবন নিয়ে যত আকাঙ্ক্ষা কম, সে জীবনে শান্তি তত বেশি।

! নিচে সল্প চাহিদার (কম চাহিদার) উপকারিতা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা দেওয়া হলো:

সল্প চাহিদার উপকারিতা

মানুষের জীবনে চাহিদা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে চাহিদা যদি সীমিত ও সল্প হয়, তা মানুষের জীবনকে আরও সহজ, শান্তিপূর্ণ ও সুখময় করে তোলে। সল্প চাহিদার মূল উপকারিতা হলো মানসিক শান্তি ও আত্মতৃপ্তি। যখন আমাদের চাহিদা কম থাকে, তখন আমরা যা পাই তাতেই সন্তুষ্ট থাকি, ফলে হতাশা ও দুঃখবোধ আমাদের মাঝে কম থাকে।

সল্প চাহিদা মানুষকে অপচয় থেকে বিরত রাখে। কম চাহিদা থাকলে আমরা প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত কিছু কেনার প্রবণতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি, যা অর্থ সাশ্রয়ে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে, কারণ অপ্রয়োজনীয় ভোগবিলাস কম হলে প্রকৃতির ওপর চাপ কম পড়ে।

এছাড়াও, সল্প চাহিদা জীবনের প্রতি এক ধরণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। এতে করে ব্যক্তি সহজেই খুশি থাকতে শেখে এবং ছোট ছোট আনন্দকে উপভোগ করতে পারে। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।

সব মিলিয়ে, সল্প চাহিদা শুধু ব্যক্তি নয়, সমাজ ও পরিবেশের জন্যও উপকারী। তাই জীবনকে সহজ ও সুন্দর করতে হলে আমাদের চাহিদাকে সীমিত রাখা উচিত।

নিচে “অতিরিক্ত চাহিদায় মানুষ তার জীবনের শান্তি হারিয়ে ফেলে” বিষয়টি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা দেওয়া হলো:

অতিরিক্ত চাহিদায় মানুষ তার জীবনের শান্তি হারিয়ে ফেলে

মানুষের জীবনে চাহিদা থাকা স্বাভাবিক। বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক চাহিদাগুলোর যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন, তেমনি উন্নতির জন্য কিছু অতিরিক্ত চাহিদাও গড়ে ওঠে। কিন্তু যখন এই অতিরিক্ত চাহিদা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ে, তখন তা মানুষের জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অতিরিক্ত চাহিদা মানুষকে কখনোই সন্তুষ্ট হতে দেয় না। আজ যে জিনিসটি চাই, কাল তা পেলে নতুন আরেকটি চাওয়া মাথা তুলে দাঁড়ায়। ফলে মানুষ এক ধরনের অসন্তুষ্টির বৃত্তে আটকে যায়। এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ দৌড়ায় দিনরাত, সময় পায় না নিজের জন্য, পরিবার বা প্রিয়জনদের জন্য। মানসিক চাপ, ক্লান্তি, প্রতিযোগিতার ভীড় — সব মিলে জীবনের শান্তি কোথায় হারিয়ে যায়, তা মানুষ নিজেই বুঝতে পারে না।

চাহিদা সীমিত হলে জীবন সহজ হয়, সময় থাকে প্রকৃতি উপভোগ করার, সম্পর্ক রক্ষা করার, নিজের আত্মিক উন্নয়নের। অতিরিক্ত চাহিদা যখন লোভে রূপ নেয়, তখন তা শুধু নিজের শান্তিই কেড়ে নেয় না, সমাজেও অস্থিরতা সৃষ্টি করে।

অতএব, জীবনে শান্তি চাইলে আমাদের উচিত প্রয়োজন আর লোভের পার্থক্য বোঝা এবং সীমিত চাহিদায় সন্তুষ্ট থাকা। তাতেই মিলবে প্রকৃত সুখ ও মানসিক প্রশান্তি।

জীবন নিয়ে যত আকাঙ্ক্ষা কম, সে জীবনে শান্তি তত বেশি—এটা শুধু একটা লাইন নয়, এটা একটা জীবনদর্শন।



শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

ভালো লাগে তাই লিখি,

আমার লিখতে অনেক ভালো লাগে তাই লিখি। আমার লেখা পড়ে কেউ বাহবাহ দিলো বা প্রসংসা করলো কি না তা নিয়ে ভেবে দেখা হয় নি। যে কোনু কাজের শেষ সেই কাজের জন্য মানুষ তার মুল্যায়ন চায়।সেই মুল্যায়নের পরে যদি তা ইতিবাচক হয় তা হলে সে কাজের জন্য যে কাজটা করলো সে আত্বতিপ্তি পায়।আর ও কিছু কাজের জন্য উৎসাহিত হয়। নেতিবাচক হলে কিছুটা খারাপ  লাগে। মনের দিক থেকে ভেংগে পড়ে। 

প্রশংসা এবং সমালোচনা—এই দুটি বিষয় মানুষের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। প্রত্যেকেই চায় তার কাজের স্বীকৃতি মিলুক, আর সেই স্বীকৃতি যখন প্রশংসা রূপে আসে, তখন তা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার উৎসাহ দেয়। অপরদিকে, সমালোচনা—যদি তা গঠনমূলক হয়—তাহলে তা একজন মানুষকে নিজের ভুল বুঝতে সাহায্য করে এবং নিজেকে উন্নত করার সুযোগ করে দেয়। তবে অযাচিত বা নেতিবাচক সমালোচনা অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রশংসা ও সমালোচনার মধ্যে ভারসাম্য থাকা জরুরি। একজন সচেতন ব্যক্তি প্রশংসায় অহংকারী না হয়ে বিনয়ী থাকে এবং সমালোচনায় ভেঙে না পড়ে শিক্ষাগ্রহণ করে। এই দুটি দিকই জীবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।



মূল্যায়নের চাওয়া আর আত্মতৃপ্তির গল্প

আমি লিখতে ভালোবাসি। ভালো লাগা থেকেই লেখা শুরু—কোনো বাহবা বা প্রশংসার আশায় নয়। কখনো ভাবিনি আমার লেখায় কেউ মুগ্ধ হবে কি না, কিংবা প্রশংসার ফুল ঝরাবে কি না। শুধু মনের ভিতরের কথা, অনুভব, চিন্তা—সবই কলমে তুলে ধরি নিজের শান্তির জন্য।

তবে মানুষ তো সমাজবদ্ধ প্রাণী। কাজ শেষে কেউ যদি বলে, "ভালো করেছো", তখন একটা অদ্ভুত তৃপ্তি কাজ করে। মনে হয়, হ্যাঁ, কিছু একটা করেছি যার মূল্য আছে। সেই মূল্যায়ন যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে আত্মতৃপ্তির পাশাপাশি নতুন করে কিছু করার প্রেরণাও জাগে।

কিন্তু যদি মূল্যায়নটা নেতিবাচক হয়? তখন একটু খারাপ তো লাগেই। মনে হয়, এত কষ্ট করে যা করলাম, তা হয়তো ঠিক হয়নি। কিছুটা ভেঙে পড়ি, প্রশ্ন করি নিজেকেই—আমি কি তাহলে ভুল ছিলাম?

তবুও আবার কলম ধরি। কারণ আমি লিখি নিজের ভালো লাগার জন্য। মানুষের মত, অনুভব, ভালোলাগা বা খারাপ লাগা—সবই থাকে সেই লেখার ভিতর। প্রশংসা বা সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়েও যে ভালোবাসা নিয়ে লিখি, সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে টিকে থাকতে সাহায্য করে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

দেশপ্রেম ।

 দেশপ্রেম: উন্নয়নের মূল ভিত্তি

দেশপ্রেম মানে শুধুমাত্র নিজের দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরা নয়, বরং এটি এক গভীর দায়িত্ববোধ, আত্মত্যাগ ও মমতার প্রকাশ – যা দেশের মানুষের প্রতি, দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের প্রতি এক নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা।

🔹 দেশপ্রেম কী?

দেশপ্রেম হলো নিজের মাতৃভূমির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা। এটি এমন একটি অনুভব, যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করতে। দেশের প্রতিটি অর্জনে গর্ববোধ করা এবং দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোই সত্যিকার দেশপ্রেমিকের বৈশিষ্ট্য।



🔹 দেশপ্রেম থাকা কেন জরুরি?

১. দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলে: দেশপ্রেম মানুষকে সৎ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হতে শেখায়। তারা আইন মানে, কর দেয়, সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখে।

২. ভাগাভাগির রাজনীতি দুর্বল হয়: জাতিগত, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ কমে আসে, যখন মানুষের মধ্যে প্রধান পরিচয় হয় “আমি এই দেশের মানুষ”।

৩. স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে: দেশপ্রেমিকরা নিজের সুবিধার চেয়ে দেশের মঙ্গলকে বড় করে দেখে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, পরিবেশ রক্ষা করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে না।

🔹 দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে উন্নতি হয় কিভাবে?

  • শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় উৎসাহ বাড়ে: দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষতা দরকার – দেশপ্রেমিকরা সেই দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী হয়।

  • স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়: বিদেশি পণ্যের দিকে না ঝুঁকে, দেশি পণ্য ব্যবহার বাড়ে। এতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।

  • উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব তৈরি হয়: যারা দেশের উন্নতির স্বপ্ন দেখে, তারা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চায় – নতুন প্রযুক্তি, সামাজিক উদ্যোগ কিংবা নেতৃত্ব।

  • জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে: বিভাজন নয়, মিলনের মন্ত্রে সবাই কাজ করলে সামষ্টিক উন্নতি নিশ্চিত হয়।

🔹 শেষকথা:

দেশপ্রেম কেবল বিশেষ দিনে পতাকা ওড়ানো বা মিছিল করাই নয়; বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজেও তা প্রকাশ পায়—রাস্তা পরিষ্কার রাখা, একজন দরিদ্রকে সহায়তা করা, সরকারি সম্পদের যত্ন নেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। যখন প্রতিটি নাগরিক তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তখনই একটি দেশ প্রকৃত অর্থে উন্নতির পথে এগিয়ে যায়।

👉 তাই দেশকে ভালোবাসুন, দেশ গড়ায় অংশ নিন। আপনার সামান্য সৎ কাজটিও একদিন বড় পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। 🇧🇩


ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা।

🎯 সুন্দর জীবনের জন্য ডিসিপ্লিনের প্রয়োজনীয়তা

জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক — এটা প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলে বা ইচ্ছা করলেই তো জীবন সুন্দর হয় না। এর জন্য দরকার একটা সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারা। আর এই নিয়মের নামই ডিসিপ্লিন

📌 ডিসিপ্লিন কি?

ডিসিপ্লিন মানে নিজের সময়, কাজ, অভ্যাস, এবং জীবনযাপনে শৃঙ্খলা আনা। এমনভাবে চলা যাতে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করা যায় এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়।



📌 কেন জরুরি ডিসিপ্লিন?

১️⃣ সময় ব্যবস্থাপনায় সহায়ক:
ডিসিপ্লিন মানে সময়ের কাজ সময়ে করা। যার জীবনে সময়ের মূল্য নেই, তার জীবন অগোছালো ও সমস্যায় ভরা হয়ে যায়।

২️⃣ সফলতার মূল চাবিকাঠি:
বড় বড় সফল মানুষদের দিকে তাকালেই দেখা যাবে, তারা সবাই কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করেছেন। নিয়মিত পরিশ্রম, সময়মতো কাজ করা, এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাই তাদের সফলতার মূল রহস্য।

৩️⃣ দেহ ও মনের সুস্থতা বজায় রাখে:
সঠিক সময়ে ঘুম, সঠিক সময়ে খাওয়া, সময়মতো বিশ্রাম — এগুলো জীবনে ডিসিপ্লিনের মাধ্যমেই সম্ভব। এতে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আসে।

৪️⃣ সমাজে সম্মান বাড়ায়:
যে ব্যক্তি ডিসিপ্লিন মেনে চলে, সে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত হয়। কারণ তার কাজের উপর মানুষ ভরসা রাখতে পারে।

📌 ডিসিপ্লিন ছাড়া জীবনে কি হয়?

ডিসিপ্লিনহীন জীবন মানে এলোমেলো সময়, অপচয়, হতাশা আর অপ্রাপ্তিতে ভরা এক কঠিন বাস্তবতা। জীবনে কোন লক্ষ্য পূরণ করা যায় না। দিন শেষে শুধু আফসোস আর অনুশোচনা থেকে যায়।

📌 কিভাবে ডিসিপ্লিন গড়ে তুলবেন?

✅ নির্দিষ্ট রুটিন করুন
✅ সময়ের কাজ সময়ে করুন
✅ অপ্রয়োজনীয় কাজ, আড্ডা বা সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে দূরে থাকুন
✅ প্রতিদিন নিজের অগ্রগতি যাচাই করুন
✅ নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দিন

✨ উপসংহার

ডিসিপ্লিন শুধু কঠিন নিয়ম নয় — এটা একটা জীবনশৈলী। যারা জীবনে সফল ও শান্তিপূর্ণ হতে চান, তাদের জন্য ডিসিপ্লিনই সবচেয়ে বড় সঙ্গী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ডিসিপ্লিন ধরে রাখতে পারলে, জীবন হবে সুন্দর, সার্থক এবং সফল।


শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

মানুষকে শিখতে হয়

মানুষকে শিখতে হয়, কিন্তু অন্যান্য প্রাণী শেখে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে

মানুষ একটি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী, যাকে তার জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করতে শেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জন্মের পর একটি শিশু হাঁটতে, কথা বলতে, খেতে, এমনকি টয়লেট ব্যবহার করতেও শিখে থাকে। এগুলো তার মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে থাকে না, বরং পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শেখে।

অন্যদিকে, প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রাণী জন্মগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারে, যেটা “প্রবৃত্তি” (instinct) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।



 যেমন:

উদাহরণ ১: হাঁসের ছানা

হাঁসের ছানা ডিম থেকে ফোটার পরপরই পানিতে সাঁতার কাটতে পারে। কেউ তাকে শেখায় না কিভাবে সাঁতার কাটতে হয়, এটি তার জেনেটিক্যালি প্রোগ্রাম করা আচরণ।

উদাহরণ ২: মুরগি

একটি মুরগির ছানা কীভাবে খাবার খুঁজে পেতে হয় বা কোথায় ঠুকতে হয়—এগুলো সে স্বভাবগতভাবে জানে। কোনো শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে শেখার দরকার হয় না।

উদাহরণ ৩: বিড়াল

একটি বাচ্চা বিড়াল জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কীভাবে দুধ খেতে হয়, কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয়, এসব আচরণ নিজেরাই করে থাকে।

তাহলে পার্থক্য কোথায়?

মানুষের শিখন ক্ষমতা তাকে আরও জটিল কাজ যেমন ভাষা ব্যবহার, বিজ্ঞান আবিষ্কার, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নৈতিকতা বোঝা ইত্যাদি করতে সক্ষম করে। অন্যদিকে প্রাণীরা সাধারণত তাদের টিকে থাকার জন্য দরকারি সীমিত আচরণগত প্যাটার্ন নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়।

মানুষের শেখা ও জীবনের পথচলা

প্রকৃতির এক অদ্ভুত ও বিস্ময়কর নিয়ম হলো, অধিকাংশ প্রাণী জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনধারার প্রয়োজনীয় দিকগুলো স্বাভাবিকভাবেই শিখে নেয়। একটি হরিণ জন্মের কিছুক্ষণ পরই হাঁটতে শুরু করে, একটি পাখির ছানা ডানায় জোর পেলেই উড়তে শেখে। পশু-পাখিদের মধ্যে এই স্বতঃসিদ্ধ আচরণ প্রকৃতির মধ্যেই প্রোথিত থাকে।

কিন্তু মানুষ ভিন্ন। মানুষ পৃথিবীতে এসে কিছুই জানে না, কিছুই পারে না। তাকে শিখতে হয়— হাঁটা, কথা বলা, চিন্তা করা, ভালো-মন্দের পার্থক্য, আদব-কায়দা, এমনকি বেঁচে থাকার মৌলিক উপায়গুলোও। এই শেখার ধারাই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে।

মানুষের জীবন শুরু হয় শূন্যতা থেকে, আর শেখার মধ্য দিয়েই সে গড়ে তোলে তার ব্যক্তিত্ব, চিন্তা, বিশ্বাস ও জীবনধারা। এই কারণেই মানুষের জীবন একটি শিক্ষামূলক যাত্রা— যেখানে প্রতিটি ধাপে রয়েছে নতুন কিছু শেখার সুযোগ।

শুধু বেঁচে থাকা নয়, সঠিকভাবে বাঁচার জন্য মানুষকে শিক্ষা নিতে হয় পরিবার, সমাজ, বই, অভিজ্ঞতা ও সময় থেকে। আর এটাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ— যে সে শেখার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করে তুলতে পারে।

তাই বলা যায়, প্রকৃতির নিয়মে প্রাণীরা যেখানে নিজের জীবনযাত্রা সহজেই আয়ত্ত করে, সেখানে মানুষকে তার জীবন চালাতে হলে ধাপে ধাপে শিখে নিতে হয়। আর এই শেখাটাই তাকে সত্যিকার অর্থে মানুষ করে তোলে।

অসমাপ্ত,""""""""""

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

জুলাই ও সরকার

 বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট মাসের ৩৬ টি দিন। বই বা বক্তব্য অথবা গল্পের মাধ্যমে যে কোনু কিছু শুনা আর নিজ চোখে দেখার মধ্যে অনেক তফাত তা কম বেশি সবাই ই উপলদ্বি করতে পেরেছেন/পারেন। এই ব্লগে নিজের দেখা ও ফিল করা ২০২৪ ইংরেজী সনের জুলাই আগস্ট বৈষম্য বিরুদি ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অভুত্যান ও রাজনৈতিক পালা বদল তার সাথে প্রফেসর ডঃ ইউনুস স্যার কে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশের অগ্রগতি না নিম্নগামি তা নিয়ে কিছু কথা লিখবো। 

পুরো লেখা জুড়ে  নিতান্ত ই নিজের দেখা ও ভাবনার প্রকাশ পাবে।কোনু রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত্য বা বিরুধের কিছু খোজে পেলে তা সত্য প্রকাশের কারনে উঠে এসেছে। আমাকে শত্রু ভাবার কোনু কারন নেই।কাকতালীয় বা ভুল মেসেজ মনে করে এড়িয়ে ও যেতে পারেন।যাই হোক আল্লার নামে শুরু করা যাক। 

বেশ লম্বা সময় প্রায় ২১ বছরের ও বেশি সময় জুড়ে ঢাকায় বসবাস এবং গত ৪ বছরের থেকে বেশি দেশের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থান নিজের কর্মস্থল হবার কারনে খুব কাছে থেকে এ দেশের অনেক জঠিল ও কঠিন বিষয় গুলো  দেখার সুযোগ হয়েছে।তাই যে লেখা টা পড়ছেন তা হয়তো মিডিয়ায় প্রচার বা অন্যান্য নিউজের সাথে সাংগরসিক মনে হতে পারে।তবে তা মিত্যা নয়।