সম্মানিত পাঠক,আসসালামু আলাইকুম ও রহমতুল্লাহ,গত কিছু দিন ধরে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্তা পাঠ্য বই,এই সব নিয়ে নানান ধরনের মন্তব্য বক্তব্য লেখা লেখি ,দেখা ও শুনা যাচ্ছে।
আর এই সব কিছুর মধ্যে ই বলে বুজানো হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্তা ধংশের দিকে দাবিত হচ্ছে এই বই গুলো থেকে আমাদের বাচ্ছারা যা শিক্ষা পাবে তা সমাজের পরিবারের জন্য ক্ষতিকর,জাহারা এই নিয়ে কথা বারতা বলছেন তাদের বেশির ভাগ মানুষ ই সমাজের বেশ গ্রহন যোগ্য ব্যাক্তিত্ত।
আর সমাজের গ্রহন যোগ্যতা তো কারো এমনি এমনি আসে না,তাদের অথিতের ভালো কিছু কাজ কামের জন্য ই তাদের কে আমরা সম্মানের চোখে দেখি ,আর তার জন্য ই তারা সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য ,
তাদের কথায় যেহেতু শিক্ষা ব্যাবস্তার সমালোচনা শুনছি তাহলে নিশ্চয় ই এখানে কিন্তু আছে,আর সেই কিন্তুকে হালকা ভাবে না নিয়ে একটু গভির ভাবে চিন্তা করুন,
আপনি আমি আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান সু শিক্ষায় শিক্ষিত হোক।সমাজের সম্মানিত মানুষ হয়ে বেচে থাকুক।তাদের সম্মানে আমাদের গর্ব হোক,
কিন্তু শিক্ষা ব্যাবস্তার যে অবস্তা আর কু চক্র মহলের যে পরিকল্পনা তাহাতে কি আমাদের সপ্নের সু শিক্ষা আর গর্ব করার পথ বন্দ হয়ে যাচ্ছে না?
এই দেশ কে আমরা সবাই অনেক ভালবাসি,৩০ লক্ষ্য শহিদের রক্ত আর আমাদের আর ও কয়েক লক্ষ্য মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অরজিত আমাদের এই স্বাধীনতা কে আগলে রাখার দায়িত্ত আমাদের সকলের,
৭১ এ মুক্তি বাহিনি হিসাবে সংগ্রাম করেছে আমাদের প্রত্যেকের ই পূর্ব পুরুশ,সে কথা আমি মনে প্রানে বিশসাস করি,অল্প কিছু মানুষ ভিন্ন পথে হাটলে ও তাদের শাস্তি/ক্ষমার পরে আর এ দেশে রাজাকার বা দেশ দ্রোহি আছে তা আমি মানতে পারছি না।
তা হলে ২০ কোটি মুক্তি যোদ্ধা নিয়ে আমাদের এই স্বাধীন সোনার বাংলায় কোনো কু চক্র প্রতিস্টা হতে পারেনা,হতে দিতে পারিনা,
ইতি পুরবে আমাদের যে শিক্ষা ব্যাবস্তা ছিল তাহাতে শরিফ শরিফার গল্প ছিল না,তখন তো আমরা হিজড়া সম্প্রদায় কে তাড়িয়ে দেই নাই,মাদ্রাসার বইয়ে হারমোনিয়ামের ছবি ছিল না তবু ও মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত অনেক প্রতিবাবান জনগোস্টি গড়ে উটেছে।
এই রকম অনেক কিছু ই আছে জা উদ্দ্যেশ্য মুলক উপস্তাপন করা হয়েছে,না করলে ও আমরা পিছিয়ে পড়বো না,
আমাদের কে সামনের দিকে এগুতে হবে,তা হলে এমনিতেই পিছিয়ে পড়া রোধ করা হয়ে যাবে,
দেশের শিক্ষা ব্যাবস্তার উচ্ছ মহলের সবার দিষ্টি আকরশন করছি ,আমাদের সামনে এগুনোর জন্য শরিফ শরিফার গল্প ,হারমনোনিয়ামের ছবি,এই রকম বস্তু নয় আরেক টু চিন্তা করেন,
আল্লাহর বানী গুলো কে,নবিজির জীবনির থেকে নেয়া ঘটনা গুলোকে ,সুন্দর ভাবে ব্যাখা করে উপস্তাপন করেন,সামনে এগুনোর জন্য এই সব ই আমাদের জন্য জতেস্ট হবে, সকল ধর্ম গ্রন্ত গুলো ই শিক্ষার ব্যাবস্তায় শ্রেনি ভেদে পড়ানোর জন্য ব্যাবস্তা করতে পারেন,
শিক্ষা কারিকুলাম: সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ।
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আর এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে শিক্ষা কারিকুলাম। তাই কারিকুলাম প্রণয়নে জাতীয় সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় আচার-অনুশাসনকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
কারিকুলাম এমনভাবে গঠন করা উচিত, যা একজন শিক্ষার্থীকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে, একই সঙ্গে তার নৈতিক চরিত্র, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তুলবে। শুধুমাত্র আধুনিক ও বিদেশি ভাবধারার ভিত্তিতে কারিকুলাম তৈরি করলে তা সমাজে বিভ্রান্তি, মতবিরোধ এবং বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
শিক্ষা কারিকুলাম তৈরিতে বিচক্ষণ ও জ্ঞানীগুণীদের অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সমাজের চালচিত্র, ধর্মীয় অনুভূতি এবং জাতীয় ঐতিহ্যের বিষয়গুলো জানেন, তারাই সময়োপযোগী ও ভারসাম্যপূর্ণ কারিকুলাম প্রণয়ন করতে সক্ষম। এতে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং একটি সুশৃঙ্খল, শিক্ষিত ও নৈতিক মানুষ গড়ে উঠবে।
অতএব, শিক্ষা কারিকুলাম শুধুমাত্র বইয়ের গণ্ডিতে নয়, বরং সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সাথে নিয়েই গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে সঠিক পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন