বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আল করআন,পাঠ ১

 আল কুরআন এর প্রথম সুরা ,ফাতেহা।আমরা কি কখনো উপলদ্ধি করতে পেরেছি যে যদি শুধু মাত্র সুরা ফাতেহা পাঠ  আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাইত তবে আমাদের জীবনে আর কোনু কিছুর অভাব থাকতো না,আল্লাহর শিখিয়ে দেয়া এই পবিত্র বানির যে কতটা তাৎপর্য তা আমি ক্ষুদ্র মানুষ টা আপনাদের কে কি ভাবে লিখে বুঝাবো তা বোধগম্য নয়,

শুধু মাত্র আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যান আর ভিবিন্ন আলেম উলামাদের থেকে শুনা কথা থেকে আলোচনা করবো,আমার এই লেখা পড়ে আপনি যদি ভাবেন।আশা করি আপনি একমত হবেন,হতে বাধ্য। সুরা ফাতেহার বাংলা হচ্ছে,''''''ধন্যবাদ তোমাকে আল্লাহ,তুমি মহান দয়ালু,তুমি বিচার দিনের মালিক,আমরা শুধু মাত্র তুমার ই ইবাদত করি,আমাদের সহজ সরল পথ দেখাও,সেই পথ যে পথে তুমি কল্যান করছো ,যাদের তুমি ধংশ করেছো তাদের পথ নয়,আমাদের কথা গুলো গ্রহন কর,বা কবুল কর।



এই অল্প কয়েক টি বাক্যের  মধ্যে কত যে বিস্তর আলোচনা আছে তা লিখে শেষ করার মতো নয়, যে কয়জন ইসলামিক স্কলার এই ফাতেহা নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের ব্যাখা শুনলে আর তাফসির কারকদের তাফসির পড়লে আমরা পড়তে আর শুনতে ই থাকবো,কিন্তু শেষ হবে না,আর যত শুনবেন মনে হবে যে নতুন শুনছি, যদিও প্রত্যেকের বলার ধরন আলাদা আলাদা,তবুও সবার কথার মানে কিন্তু এক ই,আর আমি আপনি যে ভাবে বুজতে পেরেছি ,

আমাদের জীবনের চাওয়া কি? অবশ্য ই যার যেই টা অভাব,আমাদের কিশের অভাব?কারো টাকা পয়সা,কারো সুখ শান্তি,আবার কারো সন্তান সন্তনি,মোটা মোটি এই সব কিছু ই আমাদের চাহিদা,

কিন্তু এই সুরা ফাতেহা তে আল্লাহর কাছে কি চাইতে বলছেন?টাকা পয়সা সুখ শান্তি সন্তান তার কিছু ই তো নেই,তাহলে সুরা ফাতেহা কবুল হলে পরে আমাদের সব কিছু পূরণ হয়ে যায় কি ভাবে?

কিন্তু আমি বলছি হয়ে জাবে,আর আপনি ও যদি সুরার কথা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন আপনি ও তা ভাবতে বাধ্য, আসেন সুরার প্রথম বাক্য আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলআমিন, যে কথা টা বলা হয়েছে তার যে মহত্য তা নিয়ে কথা বলে কয়েক টা বই লেখা হয়ে জাবে,তবুও বাক্যের বরননা শেষ হবে না,অল্প কিছু বলি।

এখানে আমরা আল্লাহকে বলছি যে তুমার প্রতি কৃতজ্ঞ, ধন্যবাদ তুমাকে আল্লাহ,এই কথা টা আপনি আমি এমন কি এই জাহানের প্রত্যেক টা প্রানি বলতে বাধ্য,আর কেন বাধ্য তা কত ভাবে বলবো? প্রথমতো আপনি যে বেচে আছেন,এই মুহুরতে যে শাস গ্রহন করলেন,এতদিন জা কিছু ভোগ করে আসছেন,আর জীবনের আর যে ঠুক সময় বাচবেন তার প্রতি টা মিলি সেকেন্ড এর জন্য আল্লাহর করুনা আমাদের সবার দরকার,তাই আল্লাহর প্রতি ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা না দেখানোর কোনু কারন নেই,

আল্লাহর তো প্রশংসা ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা,কোনো টা ই দরকার নেই,তবুও আমাদের কে কেন প্রথমে ই এই বাক্য শিখিয়ে দিলেন,নিত্য পাটনিয় প্রথম কথা কেন তাহাকে ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করালেন/?

আপনি যদি কখনো কাউকে কিছু দিয়ে সাহায্য করেন তখন তার কাছ থেকে বিনিময়ে কি আশা করেন?নুন্যতম হলে ও কৃতজ্ঞতা টা আপনার প্রাপ্য তা আশা করতে ই পারেন,সুতরাং আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালার এত এত নিয়ামত গ্রহনে আপনার আমার এই কৃতজ্ঞতা দেখাতে কোনু কৃপনতা দেখানোর সুযোগ নেই, চলবে""""""""

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন