মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মতপার্থক্য

 সবার কথা ই যে মেনে চলা সম্ভব তা হবার নয়,জীবন পরিচালনা করতে হলে কাউকে না কাউকে তো মেনে চলা প্রয়োজন,কিন্তু সেই প্রয়োজন পুরন করবো কি ভাবে? আশেপাশে যা শুনি আর দেখি তার মধ্যে শুধু মতপার্থক্য,আর এই মতের পার্থক্য,থেকে আমরা বিব্রত । যে আসল  সত্য কি?

আমাদের সবার চাওয়া আমরা সত্যের পথে চলবো,২/১ জন ব্যাতিক্রম ও আছে,কিন্তু সত্য সুন্দর মসৃণ পথে চলার ইচ্ছে সবার ই হয়,চুর হোক বা ডাকাত,দিনমজুর বা অফিসার সবার মধ্যে ই আবেগ বিবেক লোকায়িত,আবেগের কন্ট্রোল আর বিবেকের উপলদ্ধি যদি সব সময় সঠিক ভাবে কাজ না করে তো পথ চলতে বড় কঠিন হয়ে যায়।


 

ছোট বেলা থেকে আমরা যে পরিবেশে বেড়ে উঠি তা আমাদের জীবনে গুরুত্ত পূর্ণ প্রভাব ফেলে,আর সেই প্রভাব থেকে বেরোনুর চেস্টা না করে চললে আমাদের জন্য কঠিন হয়,কারন আমাদের ছোট বেলার কোমল মতি মনের মধ্যে যে সপ্টওয়ার ইন্সট্যাল হয় তা খুব ই গুরুত্ত পূর্ণ,

কিন্তু আমাদের পরিবার আর সমাজের আশেপাশের মানুষের কাছে থেকে জা শুনে আমরা বড় হয়েছি তা ঠিক এই রকম যে কিছু অদৃশ্য গল্প কথা,কিন্তু সেই অদৃশ্য কে মেনে নিতে আমার কাছে কষ্ট কর বটে, 

তবে আমি আমার নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে জা খুঁজে পেয়েছি তার আলোচনা করি,ছোট বেলায় না দেখা কিছু গল্প আমাদেরকে শুনানো হয়, যেমন কেউ আকাশে উড়তে পারতেন বা কেউ পানিতে হাটতে পারতেন, কেউ জঙ্গলে গুপ্ত ধন পেয়েছেন বা কেউ হোছট খেয়ে পড়ে আঘাত পেয়ে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের সম্পদ হারিয়ে ফকির হয়ে গেছেন,

এই কাল্পনিক গল্পের আলোচনা অনেক ভাবে সাজিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে,তার আবার ২ টা দিক ও রয়েছে,নেগেটিভ ও প্রজেটিভ,আমরা ছোট বেলায় এই গল্প শুনে তার সাথে আমাদের জীবিনের সাথে মিলাতে চেস্টা করি।কল্পনা আর বাস্তবতা দুই টা আলাদা জিনিস। আপনি যখন বাস্তবতার সম্মুখিন হবেন তখন এই কাল্পনিক গল্প কে বিশ্বাস করতে পারবেন না। 

কিন্তু সে জন্য আপনি এই অবিশ্বাসের জন্য ঈমান হারাতে পারেন তা কি কখনো ভেবেছেন? এর মধ্যে হয়তো ঈমান হারিয়েছেন বহু বার।তা কি ভাবে হতে পারে দেখেন। আমাদের ঈমানের স্তম্ভ কালেমা নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত ছাড়া ও যে গুরুত্ব পূর্ণ কিছু এক টা আছে তা কেউ বলেন না। (কুলহু আল্লাহু আহাদ) আমানতু বিল্লাহি মালাইকাতু ও কুতুবিহি ও রাসুলিহি।এই গুলো কে বাদ দিয়ে আপনি পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবেন না।


মতপার্থক্য, গ্রহণযোগ্যতা আর আসল সত্য

এই পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, আর বিশ্বাস আলাদা। কারো কাছে যা সঠিক, অন্যের কাছে তা ভুল হতে পারে। কারো কথা মেনে চলা মানেই যে আপনি ভুল করছেন, তাও নয়। আবার, সবাইকে খুশি করতে গিয়েও নিজের পথ হারিয়ে ফেলা ঠিক নয়।

জীবনে চলার পথে আমরা প্রতিনিয়ত আশেপাশের মানুষের মতামত, উপদেশ, আর সমালোচনার মুখোমুখি হই। কেউ বলে এভাবে করো, কেউ বলে অন্যভাবে। একেকজনের একেক মত, একেক চিন্তা। এই মতপার্থক্য থেকেই জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব, বিব্রতবোধ আর সংশয়।

তাহলে করণীয় কী?

প্রথমেই বুঝতে হবে — সবাইকে খুশি করা যায় না। আর সবার কথাও মেনে চলা সম্ভব নয়। জীবনে চলার জন্য প্রয়োজন এমন কিছু মানুষের কথা শোনা, যারা আপনার মঙ্গল চায়, যারা আপনার ভালোটাই ভাবে। তবে সবশেষে, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ দিন শেষে আপনার জীবন, আপনার সিদ্ধান্ত।

আসল সত্য কী?

আসল সত্য হলো — সত্য একটাই, কিন্তু তাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি অনেকগুলো। একেকজন একেকভাবে দেখবে, বুঝবে, বলবে। তাই মানুষের মতের ভিন্নতা থাকবেই। এই ভিন্নতাকেই সম্মান করতে শিখতে হবে।

নিজের অবস্থান থেকে, নিজের বিবেক আর উপলব্ধি দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে কোনটা গ্রহণযোগ্য, কোনটা নয়। কারো কথায় নিজের আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না।

শেষ কথা

জীবন পরিচালনার জন্য কাউকে না কাউকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হয়। সেটা হতে পারে কোনও অভিজ্ঞজন, কোনো আদর্শ, বা নিজের নীতিবোধ। তবে সেই অনুসরণ যেন বিবেকবোধের সঙ্গে সমন্বয়পূর্ণ হয়।

মতপার্থক্য থাকবে, তবু সম্মান জানিয়ে নিজের পথ খুঁজে নিতে হবে। আর সত্যকে উপলব্ধি করতে হলে শোনার পাশাপাশি ভাবতে জানতে হবে।

সবার কথা শোনো, প্রয়োজন মতো গ্রহণ করো, তবে নিজের বিবেককে বন্ধু বানাও। তাহলেই জীবন হবে সহজ আর স্বচ্ছ।


 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন