সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঈমানের মাপকাঠি

বন্ধু গন। আমরা নষ্ট হয়ে গেছি। এটা শেষ জামানা তো। একটা মাছের পচন শুরু হয় তার মাথা থেকে। একটা জাতির অধ:পতন শুরু হয় তার নেত্বিত্বের মাথা থেকে। আমরা বরতমানে দুই ধরনের নেতার অনুসারী। একটা রাজনৈতিক নেতা আরেকটা ধরমিয় নেতা।

 সাহাবিদের আমলে নেতা একটা ই ছিল। জিনি ছিলেন রাজনৈতিক নেতা তিনি ই ছিলেন ধরমিয় নেতা তিনি ই মুফতি। একই আসন থেকে ফতোয়া আসতো রাজনৈতিক ব্যাপারে ধরমিয় ব্যাপারে। এইটা আজকে পালটে গেছে  এটা যে মারাত্মক বেদাত তা বেদাত নিয়ে যাদের এলারজি তারা ও বলে না। 

তারা শুধু বলে হাত এখানে বাধলে না ওখানে বাধলে।মোনাজাত করলে কি করলে না। নিয়ত করলে না পড়লে। এই গুলো নিয়ে ই তাদের মাথাব্যথা। কিন্তু এই গুলোর সুচনা  কোথাথেকে এসেছে?  দুনিয়া আখেরাতের ব্যাপারে ফায়সালা এসেছে একই আসন/চেয়ার থেকে। মসজিদে নববির ইমাম জিনি তিনি মদিনা রাস্ট্রের ইমাম। তিনি অরধেক  টা দুনিয়ার খলিফা।তিনি সাড়ে বার লক্ষ্য মাইল এর প্রেসিডেন্ট হজরত মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

এক জায়গা থেকে সব হয়েছে। আমাদের এখন দি মুখি নিতি। আর দি মুখি নিতি যখন হয় তখন আমরা বিপরীত মুখি দুই নৌকার যাত্রি। আমরা জনগণেরা আজকে এই বিপরীত মুখি দুই নৌকার যাত্রি হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। এর পরিনাম কি হবে? 

আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি যার আরেক নাম সলিলসমাধি। আর এই আইন গত মুসলমানেরা ইসলামের জন্য কোনো কাজ করে নাই। এরা শুধু ইসলাম ভোগ করেছে। আর যারা আল্লাহর জন্য ইবাদত বন্দেগি করেছে তারা ই  ইসলামের ইতিহাস স্রিস্টি করেছে। ঐ মুসলমান ই ইসলামের কল্যাণের জন্য চাই।

 বাকিরা শুধু দল ভারি করেছে অরা নামেই শুধু মুসলমান এরা জনসংখ্যা আদম সুমারীর মুসলমান। বন্ধু গন আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আজকে আমরা নেত্রিত্তে যারা আছেন তারা ও আমাদের বিভ্রান্ত করে। খাদ্য বশ্র শিক্ষা চিকিৎসা বাসস্থান এই পাচটি মৌলিক চাহিদার জন্য কিছু নেতার দিকে তাকিয়ে থাকি।সেই ক্ষমতায় এলে আমরা এগুলো পাবো। আবার ধরমিয় দিক থেকে আমরা তাকিয়ে থাকি এই হুজুর যে টা বলবেন। তিনি দোয়া করে দিলে আমরা জান্নাতে চলে যাবো। আল্লাহর কোনো উপায় ই নেই আমাদের জান্নাতে না দিয়ে।

এই ভাবে ই ত আমরা ধরি একেকজন কে। বন্ধু গন আজকে আমি কথা বলবো ইসলামের একটি মান দন্ড নিয়ে। জা দিয়ে আপনি জাকে ধরে চলছেন বা অনুসরণ করছেন তিনি পীর হতে পারেন শায়েখ হতে পারেন হুজুর মুফতি আল্লামা ইমাম যে ই হোন না কেন আপনি কি করবেন? আজকে সবারই ঢোল বাজছে বিশ্বময়, এ বলছে আমার এখানে আসেন তো সে বলছে আমার ওখানে আসেন। যাবেন তবে শিখার নিয়তে যাইয়েন, শিখতে অসুবিধা কোথায়? তবে ঈমান আনতে যাইয়েন না।

মানুষের মধ্যে শুধু নবিদের প্রতি ই ঈমান আনতে হবে।আপনি জত ঠকেছেন ঈমান এনে ই ত ঠকেছেন? আপনি একজন কে ধার দিছিলেন সে আপনার টাকা মেরে দিয়েছে আপনি ঠকলেন কেন? আপনি তাকে বিশ্বাস করেছেন বলে ই ত ঠকেছেন। এই বিশ্বাসের নাম ঈমান। আমাদের জন্য ঈমানের কয়েকটি মৌলিক বিষয় আছে তার মধ্যে একটা হলো শুধু মাত্র নবীদের প্রতি ই ঈমান আনতে হবে। কোনো হুজুর মুফতি আল্লামা ইমাম পীর শায়েখ ওলি নেতা বাবার প্রতি ঈমান আনতে বলা হয় নাই। কিন্তু আমরা ঈমান এনেছি আর এই ভাবে ঠকেছি। 

এখান থেকে ঠকার শুরু এবং ঠকার শেষ। এখন আমরা কি করবো? কারো না কারো তো অনুসরণ করতে ই হয়।আমি এখন ধরা না ধরা জায়েজ না জায়েজের ফতোয়া দিচ্ছি না। আপনি একজন পীর ধরলেন একজন হুজুর কে বিশ্বাস করলেন। আপনি তাহাকে মেনে চলতে চান।আপনি তখন কি করবেন দেখেন। আদর্শ মুল মৌলিক মাপকাঠি হচ্ছেন মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ। তিনি হচ্ছেন মান দন্ড। এখন আপনি একটা সাধারণ জ্ঞ্যান কাজে লাগান।

মনে করেন আপনি বাজারে গেলেন গ্রামের বাজার সেখানে আপনি পটল কিনবেন। গ্রামের গরিব চাষি তার কাছ থেকে পটল নিচ্ছেন তখন দেখলে তার পাল্লার ভাটখারা ইটের তৈরি আপনি তখন কি করবেন? আসেপাশে কোনো দোকান থেকে কোম্পানির তৈরি ভাটখারা এনে সঠিক মাপের নিশ্চয়তা দেখে নিবেন। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ও সাল্লাম ই হচ্ছেন একমাত্র কোম্পানির  ভাটখারা।আর হুজুর হোক পীর হোক ওলি হোক উনারা হচ্ছেন ইট। তাই যদি কোম্পানির ভাটখারার সাথে সে ইটের ওজন মিলে তবে ই তাদের অনুসরন করবেন। না হলে কোনো ভাবে ই নয়। আর আল্লাহর দেয়া আদেশ নিশেধ এর নির্ভুল বর্ণনা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে। শুধু মাত্র পীরের দিকে না তাকিয়ে নিজে থেকে কিছু জানার এবং পড়ে বুজার চেষ্টা করেন।

আজকের এই স্মাট দুনিয়ায় কোরআন হাদিস নবির জীবনি সব আপনার হাতের নাগালে।সব ভাষায় সহজ লভ্য। তাই নিজে থেকে বুজে পড়লে আর নিজের জ্ঞ্যান কাজে লাগালে ইমানের নিরভুল মাপকাঠি বুজতে আর মানতে মোটেই কষ্ট হবার কথা নয়।আল্লাহ পাক রাব্বুল আল আমিন আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ দান করুন।,'''''''আমিন।💚💚💚💚💚💚💚💚

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কার্য বিবরনির সার সংকেপ।

  ✊ বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ: আদর্শ ও কার্য বিবরণী বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপামর আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অপ্রতিষ্ঠানিক এবং কল্যাণমুখী সংগঠন। আমাদের মূল আদর্শ হলো সকলের কল্যাণে কাজ করা । ব্যক্তিস্বার্থ নয় — বরং আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্প খাতে কর্মরত সকল সহকর্মীর ন্যায্য দাবী আদায় এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। 🎯 আমাদের কার্য বিবরণী: দাবী বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখা। যেকোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও সাহায্য নেওয়া , যাতে আমাদের আন্দোলন আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। শ্রমিকদের পেশাগত মর্যাদা, ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং চাকরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী পেশ করা। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিস্টানের কর্মচারী হ...

সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন

সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরত প্রত্যেকে ই নানান ধরনের বৈষম্য চাকরির নিরাপত্তাহীনতা ও শোষণের স্বীকার হয়েছেন। তবে যে বা যারা এই চাকরি করতে গিয়ে অনেক বেশি  সমস্যায় পড়েছেন,চাকরি হারিয়েছেন,বেতন বকেয়া আছে,টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের উচিত একসঙ্গে সামনে থেকে এগিয়ে আসা। যে কোনো আন্দোলন এবং দাবির বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন ভুক্তভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। কেননা, যে ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেই সবচেয়ে বেশি তার সমাধানের পথ খুঁজতে আগ্রহী ও মরিয়া থাকে। শুধু মাত্র একটি সংগঠন যদি এককভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে তা হয়তো সাময়িক সমাধান দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু একতাবদ্ধ হলে, প্রতিবাদি কণ্ঠ শক্তিশালী হবে, দাবি আদায়ের পথ সুগম হবে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তাই দেরি না করে, যারা এই চাকরির বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তারা সামনে আসুন। সকলে মিলে একসঙ্গে নিজেদের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হতে পারেন। একসঙ্গে প...

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ:

সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ: সমাজ গঠনের অপরিহার্য উপাদান সহনশীল আচরণ আর ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষা করে চলা নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎকর্ম, তা বোঝা যায় যখন আমরা একত্রে কোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটি। ব্যক্তি বা সমাজ — উভয়ের উন্নতির জন্য এই গুণদ্বয় অপরিহার্য। সহনশীলতা মানে শুধু অন্যের ভুলত্রুটি সহ্য করা নয়, বরং ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থানকে সম্মান করা। প্রতিটি মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা। অন্যদিকে, ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে। এটি মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহানুভূতির বন্ধন গড়ে তোলে। যখন আমরা কোনো লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রে কাজ করতে চাই, তখন এই ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের একতাবদ্ধ রাখে এবং যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সাহস যোগায়। আজকের সমাজে মতপার্থক্য, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবেই। এসব পার্থক্যের মাঝেও সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে এই গুণ অর্জন করতে পারলে তা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে শান্তি,...