সময়ের কাছে আমরা সবাই অসহায় তবু ও সময় কে ব্যয় করে যাচ্ছি অবলিলায়। সময়ের অনেক গুরুত্ত থাকলে ও আমরা সেই গুরুত্ত্ব দিচ্ছি না। কেন যে দিচ্ছি না সেই কারন ও কেউ উপলদ্ধি করতে পারছি না। আমাদের চার পাশে এখন দেখি সবাই স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতেছি। সেই ঘন্টার পর ঘন্টা কি দেখে পার করেছি তা ও জানি না। না শিখছি না শিখাচ্ছি শুধু কারন ছাড়া সময়ের অপচয় করছি।
এই ভাবে আর কত? কবে শেষ হবে এই মোবাইল দেখা? কোনু দিন কি আর মোবাইল ছাড়া একটা দিন পার করতে পারবো? ইলেক্ট্রিক গেজেট বিহিন একটা দিনের জন্য নিজেকে কল্পনা করতে পারবো কি? কেমন ছিল আগের দিন গুলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজার চেস্টা করি।
মনে করি আমাদের কাছে কোনু মোবাইল নেই।বিদ্যুত নেই।গাড়ি দিয়ে যোগাযোগ করার ও কোনু ব্যাবস্তা নেই। এক কথায় কয়েক শ বছর আগের দুনিয়ায় বসবাস করছি। এমন একটি সকাল থেকে রাত অবদি যদি নিজেকে কল্পনা করি তা হলে কেমন হবে আমাদের দিন টা?
আশির দশকে আমার জন্ম হবার কারনে বই পুস্তকের গল্প ইতিহাস এর সহযোগিতা ছাড়া ত আর বাস্তবিক জীবন এর কথা বলা সম্ভব না।তার পরে ও নিজের অনুমান থেকে একটা দিনের কথা আলোচনা করি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধোয়ে পান্তা ভাত খেয়ে হয়তো কাজে বের হতাম। যেহেতু হেঁটে কাজে যাওয়া লাগবে তার জন্য প্রথমে ই আমাকে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠতে হতো। কাজের শেষে আবার হেঁটে বাড়ি ফিরতে হতো। এই যুগের সাথে মিলালে ও আমরা কাজ করতে সাধারনত ৮/১০ কিলোমিটার দূরে কোথাও গিয়ে কাজ করতে হইতো। তা হলে সকাল বিকাল আমাদের প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার হাটতে হইতো।
সারাদিনের কাজের পরিশ্রম আর ২০ কিলোমিটার হাটার পরে এসে বাড়িতে খাবার দাবার শেষ করার পরে কোনু প্রকার বিনোদনের জন্য মনে সায় দিতো না।আমরা তখন ঘুমিয়ে পড়তাম। তা হলে তো এক দিনের জীবন নিয়ে কথা বলে এখনকার আর আগের দিনের মধ্যে কি ব্যাবদান তা অনুমান করা যাবে না।তাই আগের দিনের এক বছর আর একটা আধুনিক পরিবার এই রকম একটা গল্প আকারে লিখি । তার পরে দুই সময়ের উপকার আর অপকার নিয়ে আলোচনা করে দেখি কোন সময় টা বেশি ভাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন