শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

বনি ইসরাইল।

 পবিত্র আল কুরআন,হুজুর শায়েখদের কথায়,ইসলামের ইতিহাসে বেশি বেশি শুনা যায় একটি জাতির কথা। আর সেই জাতি হচ্ছে বনি ইসরাইল। আর সেই জাতির পরিচয় এতদিনে ওয়াজ নসিহত ইসলামের ইতিহাস বা আল কুরআন পড়ে থাকলে সবার জেনে যাবার কথা। তার পরেও সংকিপ্ত আকারে আলোচনা করি। হজরত ইব্রাহিম আঃ এর ২ সন্তানের একজন ইসহাক আর এক জনের নাম ইসমাইল। এই দুই জনের থেকে আলাদা গোত্রে ভাগ হয়ে বনি ইসরাইল আর বনি ইসমাইল হীসাবে এখনো আমরা এই দুনিয়ায় বসবাস করছি।

এই বনি ইসরাইল যে কারা আর বনি ইসমাইল কারা তা হুজুর শায়েখের বক্তব্যে ভাগ করে দিলে ও আমি সন্দিহান তাদের বলা কথায়। ব্যাপার টা খুলে না বললে জঠিল লাগবে। তার জন্য একটু খুলে বলতে চেস্টা করি।  ইসহাক আঃ এর গোত্র ধরে অনেক নবি রাসুল আগমন করলে ও ইসমাইল আঃ এর গোত্রে শেষ নবি আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ ছাড়া আর কোনু নবি আগমন করেন নাই।

ইতিহাস আর ওয়াজ নসিহত থেকে বুজতে পারলাম আমরা মুসলিম মানে বনি ইসমাইল।আর অমুসলিম মানে বনি ইসরাইল। তবে আমার মতে বনি ইসরাইল ও বনি ইসমাইল দুই গোত্রের লোক জন ই মুসলিম আর অমুসলিম দুই জাতির ভিতরে ই আছে। তবে আল্লাহ ই ভালো জানেন। আমি কেন বলছি যে মুসলমানের ভিতরে ও বনি ইসরাইল গোত্রের মানুষ আছে তার আলোচনা করা যাক। 

আমাদের নবী ইসলাম প্রচারের সময় শুধু কি তার গোত্রের কাছে দাওয়াত দিয়েছিলেন? উত্তর হবে না। তার মানে নবীজি কোনু গোত্র বিশেষ নয় সারা দুনিয়ার সব গোত্র ততা সকল জাতির কাছে আল্লাহর বানি পৌঁছিয়েছেন। তার দাওয়াতের কল্যানে সব জাতির লোক জন থেকে ই মুসলিম হয়েছে। তার জন্য বলছি যে আমরা মুসলিম রা ও কেউ কেউ বনি ইসরাইল গোত্রের বংশধর। সে আমি আপনি যে কেউ হতে পারি।

বনি ইসরাইলের চরিত্রের একটা উল্লেখ যোগ্য দিক হল তারা অহেতুক প্রশ্ন করতো। সুরা বাকারার বাছুর নিয়ে আলোচনার অংশ ঠুক পড়লে তা অনুমান করা যায়। আর এখন আমাদের মুসলমানের চরিত্রের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে আমরা ও ঠিক সেই কাজ গুলো ই করছি। ইসলামিক যে কোনু প্রশ্ন উত্তর পর্ব দেখলে পড়লে পরে আপনি ও লক্ষ্য করেছেন অবশ্য ই।

বনি ইসরাইল হই আর বনি ইসমাইল হই তা আমাদের জন্য দোষের কিছু নয়।তবে অহেতুক প্রশ্ন করা জতেস্ট পরিমানে দোষের এবং আমাদের সবার জন্য অকল্যানের। কারন বনি ইসরাইলি রা অহেতুক প্রশ্ন করে করে ই তাদের জীবন পরিচালনাকে কঠিন করে নিয়েছিল। আমরা মুসলিম রা ও শায়েখ হুজুর আর মাওলানাদের কে নানান রকমের প্রশ্ন করে আমাদের জীবন কে কঠিন করে নিতেছি।

আপনি জর্দা খাইলে পরে রোগে আক্রান্ত হয়ে মরবেন তার জন্য ডাক্তারি পড়ে জানা লাগবে না। তা হলে জর্দা হালাল না হারাম তা জেনে কি করবেন? আল্লাহ বলেছেন মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকো ভালো কাজ করতে। আল কুরআন হচ্ছে আমাদের গাইড লাইন।আর নবিজির চরিত্র হচ্ছে আল কুরআন। তা হলে হজরত মোহাম্মদ সাঃ কবে থেকে নবী তার উত্তরে আপনার কাজ কি?




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন