মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মানসিক শান্তি

 প্রত্যেক টা মানুষ তার জীবন জুড়ে কামনা করেন মানুসিক শান্তি। শিশু কাল তারুণ্যের সময় বা যৌবনে বারধৈক্ষে ও এই চাওয়া থেকে কেউ বিরত থাকতে পারেন না। তবে বয়স অনুযায়ী সে মানুসিক শান্তির মধ্যে কিছু টা ব্যাতিক্রমতা আছে।শিশু কালে যেহেতু ভালো মন্দ কিছু বুজার ক্ষমতা আমাদের থাকে না তো সেই সময়ের মানুসিক শান্তি ব্যাপার টা ও একটা আলাদা ধরনের ভাব থাকে। 


 

তখন আমরা খেলা দুলা খাওয়া দাওয়া আর ঘুমের পাশাপাশি যে কোনো আবদার পুরন মানেই মানুসিক শান্তি। তবে না বুজার কারণে অন্যায় আবদার ও করি কিন্তু তা পুরন হয় না বলে ই কষ্ট পাই।সেই কস্ট পাওয়া হলো তখকার মানুসিক শান্তি না পাওয়া। কিন্তু বুজতে পারি না যে সেই অশান্তি টা কল্যাণের জন্য।  

তারুণ্যের সময় টা মানুসিক ভাবে শান্তি লাগে চারদিকে হই হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়ানো খেলাদুলা ভালো খাবার দাবার ঘুম আর অভিবাবক থেকে শাস্তি না শুধু স্নেহ ভালোবাসা পাওয়া। তবে তখন মানুসিক শান্তি কেড়ে নেয় স্কুলে জাওয়া আসা লেখা পড়া করা হোমওয়ার্ক আর অভিবাবকদের ধমক খাওয়া। তখন ও আমরা বুজি না যে আমাদের এই মানুসিক অশান্তি আমাদের ভবিষ্যত কল্যাণের জন্য। 

যৌবনের মানুসিক শান্তি খুঁজে ফিরি না না উপায়ে।তখন আমরা যে ধরনের পরিবেশে থাকি তার প্রভাব ই আমাদের মানুসিক শান্তি /অশান্তি কে ব্যাঘাত ঘটায়। হয়তো প্রেম করে প্রেমিকার থেকে মানুসিক শান্তি খুজি।আবার কেউ বাবার টাকা ব্যয় করে নানান অপকর্মে মানুসিক শান্তি খুঁজে বেড়াই।কেউ লেখা পড়া বাদ দিয়ে সংসারের হাল ধরে পরিবারের সবার মুখে হাসি দেখে মানুসিক শান্তি খুজি।

তবে এই সময় আমাদের কে মানুসিক ভাবে শান্ত থাকতে অনেক কষ্ট হয়।সব সময় অস্তিরতা অনুভব করি। কারো কথা শুনে চলতে ভালো লাগে না। নিজের কাছে সমাজ বদলে ফেলতে ইচ্ছে করে। চলমান সমাজ ব্যাবস্তাকে সুন্দর মনে হয় না। অথচ এই বদলে ফেলতে না পারা টা মানুসিক অশান্তি। কিন্তু সেই মানুসিক শান্তি না পাওয়ার প্রত্যেক বিষয় ই থাকে আমাদের জন্য কল্যানের।

এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আমরা চাই যেখানে মানুসিক শান্তি সেখানে না পাওয়া টা কল্যানের হয় কি করে? আমি উপরের লেখাতে বয়স ভিত্তিক ভাবে কি কি কারনে আমরা মানুসিক শান্তি পাইনা তার অল্প কিছু উল্লেখ করেছি। কিন্তু এর আলোচনা অনেক ভিস্তর।

মানুসিক শান্তির জন্য প্রথম শর্ত সন্তুষ্টি।

মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি আমার অল্প কিছু ভাবনা।

প্রত্যেক মানুষের জীবন জুড়ে যে কামনা সবচেয়ে বড়, তা হলো মানসিক শান্তি। শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য কিংবা বার্ধক্য — জীবনের প্রত্যেকটা পর্বেই মানুষ এই শান্তির খোঁজ করে। তবে বয়সভেদে মানসিক শান্তির ধরন ও প্রয়োজনের মাঝে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। শিশু অবস্থায় ভালো-মন্দের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় তাদের মানসিক শান্তি হয় নিঃশর্ত এবং সরল অনুভূতির। খেলাধুলা, ভালোবাসা, ও যত্ন-আত্তির মাঝেই শিশুরা শান্তি খুঁজে পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদা বাড়ে, জীবনের নানা ব্যস্ততা আর দুঃশ্চিন্তা মানসিক শান্তিকে প্রভাবিত করে। এই শান্তি অর্জনের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো সন্তুষ্টি। নিজের যা আছে, যা অর্জন হয়েছে — তাতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেই অন্তরের প্রশান্তি আসে। কারণ অতিরিক্ত প্রত্যাশা আর লোভ মানুষকে অশান্ত করে তোলে। তাই জীবনে সুখ ও মানসিক শান্তির প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো অন্তরের সন্তুষ্টি। যে ব্যক্তি নিজের বর্তমানকে মেনে নিয়ে, ছোট ছোট আনন্দ উপভোগ করতে জানে, সেই প্রকৃত অর্থে মানসিক শান্তি লাভ করে।

 

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪

আগেকার দিন গুলো।

 আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ইহাতে কোনো সন্দেহ নেই। বরতমান আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমাদের হাতের নাগালে সকল তত্য উপাত্য। সত্যি মিত্যা নির্বাচন করতে আমাদের কে এখন আর খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। যে কোনো কিছু কে জানার প্রয়োজন হলে আমরা গুগলে সার্চ করি আর পেয়ে জাই। 

কিন্তু আগেকার দিনে যে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে অনেক জামেলা পোহাতে হতো। অনেক জ্ঞানী গুনি মানুষ খুঁজে তাদের মতামত নিয়ে পরে সেই জামেলার সমাধানে পোউছাইতে হইত। তার পরে ও সঠিক সমাধান হইতো কি না মনে সন্দেহ থেকে যেতো। 

আজকের দিনে উন্নত জোগাজোগ ব্যাবস্থা আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কিছু কে ই সহজে সমাধান করে ফেলি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক ডেভোলেপ হয়েছে।ফেসবুক ইউটিউব দেখলে মনে হয় আমাদের সবার জ্ঞ্যানের পরিধি বিশাল। সবার কাছে লোকায়িত হাজার রকমের প্রতিবা।



কিন্তু এত এত প্রতিবা জ্ঞ্যানের ছড়াছড়ি থাকার পরে ও আগেকার দিনের কষ্টে অর্জন করা তথ্য উপাত্যের যে আনন্দ তা আর খুঁজে পাই না। শুধু মাত্র আনন্দের অনুভূতি ই না আরও কিছু আছে।এখন ফেসবুক আর ইউটিউবের রিল দেখার জন্য  তথ্য কাছে থাকার পরে ও তা মনে রাখি না।

আগের দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমাদের চারপাশে অপ্রয়োজনীয় অনেক আজগুবি মিত্যা গল্প ছিল। সেই গল্পের প্রতি ও আমাদের বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাসের কারণে আমদের মনে কিছু ভয় ছিল। সেই ভয়ের জন্য আমাদের অন্তর কে পাপাচার থেকে দূরে থাকতে নানান ভাবে সাহায্য করতো।

কিন্তু এখনকার পৃথিবীতে আমরা আর আগের দিনের মতো সেই আজগুবি মিত্যা গল্পের প্রতি বিশ্বাস রাখি না। আর সেই না রাখার ফলাফল হিসাবে অনেক পাপ কে আমারা পাপ ই মনে করি না। এমন কি চাল চলন সব কিছুতেই রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া।আর এই আধুনিকতা আমাদের কে সুরা ফাতেহায় পাঠ করে কামনা করা আমাদের সরল পথ দেখাও কথাটির থেকে ও দূরে ঠেলে দিচ্ছে। 

যদিও আমরা সত্য কে জানতে আর মিত্যাকে পরিহার করতে শিখেছি তবে সেই সত্য টা আর সত্যের মতো করে কাজে লাগাতে পারছি না। এর কারণ হলো আমাদের আগের দিনের গল্পের মধ্যে যে ধরনের উপস্তাপন ছিল তা ছিল জ্ঞ্যানি মানুষের মাঠে ঘাটে চলাচলের পরে তা একটা কাল্পনিক চিত্র হিসাবে তুলে ধরা।

সেই উপস্থাপন ছিল  মনোমুগ্ধকর ।তাদের বলা কথা গুলো আমাদের রিদয় ছুয়ে যেতো। 

আগের দিনে কুরআনের অর্থ সহজে পাইতাম না।তবে হুজুর দের কথা আর ব্যাখ্যা শুনে আমরা তা পালন করতাম। যদিও সেই গুলো অকপটে মেনে নিতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের হাতে মোবাইল আছে।ইন্টারনেট আছে তাই কেউ কোনো কথা বলার সাথে সাথে মিলিয়ে দেখি। সেখানে আবার আমি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে চেস্টা করে হুজুরের ভুল ধরি।এই সবের জন্য আজকে আমরা ধংশ।

কারণ আপনি কুরআন হাদিস পড়ে ই সব কিছু নিজে থেকে বুজে নিতে পারবেন না। আল্লাহ যে কথা গুলো আমাদের কে বলেছেন তা অতি সহজ হবার পরে ও ভাবতে বলেছেন।দুনিয়ায় বিচরণ করতে বলেছেন। এই রকম বই পড়ে আমাদের আগেরকার জনগোষ্ঠী গোমরা হয়েছে তা ও বলেছেন। তার মানে আপনি কুরআন পড়ার পাশাপাশি ভাবনা আর দুনিয়ায় বিচরন করে নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও প্রকৃতি না দেখে মনগড়া ব্যাখ্যা করলে পরে গোমরা হতে পারেন। 

ভালো মন্দ বুজার মতো জ্ঞ্যান সবার কাছে ই আছে।আপনি কখনো ই কোনু উচু বিল্ডিং থেকে লাফ দিবেন না।জলন্ত কয়লা হাতে নিবেন না।চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়বেন না।এই না করার কারন আপনি মরে যাবেন না হয় পুড়ে জাবেন।হাত পা ভেঙ্গে জাবে।দুনিয়ায় বিপদ নিশ্চিত জানলে সেই পথে আমরা পা বাড়াই না। কিন্তু মরবেন আর মরার পরে একটা শেষ বিচার দিবস আছে সে দিন দুনিয়ার সব কাজ করমের জবাবদিহি করা লাগবে তা হয়তো শতভাগ বিশসাস করতে পারছেন না।তা পারলে ই আপনি সফল।

আমার দেখা কিছু কথা তুলে ধরছি  


 

৯০ দশকের দিনগুলো

সে সময়ের সকালটা ছিলো রেডিওর খবর আর সাদা-কালো টিভির 'ছোটদের আসর' দিয়ে শুরু। গ্রামের বাড়িতে বা শহরের পাড়ায় পাড়ায় তখনো বিকেলে ক্রিকেট খেলা হতো হাতে বাঁশের স্টাম্প আর টেনিস বল দিয়ে। হঠাৎ সন্ধ্যায় কারেন্ট চলে গেলে, সবাই মোমবাতি জ্বেলে গল্প করত, ভূতের গল্প থেকে শুরু করে গ্রামের পুরোনো দিনের কাহিনি।

স্কুল থেকে ফিরেই ডানা মেলে দিতাম পাড়ার মাঠে। 'চোর-পুলিশ', 'বাঁশ কেটে নৌকা বানাবো', 'গুটি দাড়া' — কত রকম খেলা!

বাড়ির ভেতর তখন সবার প্রিয় ছিলো 'ক্লান্ত দুপুরের' বই পড়া। 'বটতলা প্রেস'-এর উপন্যাস থেকে শুরু করে 'সন্দেশ' আর 'আনন্দমেলা' পত্রিকা — ছেলেমেয়েরা রীতিমতো লাইন দিত পড়ার জন্য।

সন্ধ্যায় একসাথে বসে 'বাকের ভাই', 'নক্ষত্রের রাত', 'কোথাও কেউ নেই' দেখতে দেখতে চোখের কোণে জল আসতো।

৯০ দশকের বাজার মানেই হাট থেকে বাবার হাতে করে আনা চটের ব্যাগ ভর্তি শাক-সবজি। ঈদের দিনে নতুন জামার গন্ধ, পাড়া-মহল্লায় ফ্রিজে রাখা বরফের ঠান্ডা শরবত আর চুনাপাথর মিশ্রিত পানা খাওয়া।

আর ছিলো চিঠি। সাদা খাম আর গোলাপি পোস্টকার্ডে আবেগ লেখা থাকতো, মাইলের পর মাইল পেরিয়ে পৌঁছে যেত প্রিয়জনের কাছে। মোবাইল তখনো কল্পনাতেই।

ও দিনগুলো এখন স্মৃতির পাতায়। তবু আজও হঠাৎ কোনো পুরোনো গান, বা পুরোনো সাদা-কালো ছবি দেখলে মনে হয় — আহা, ফিরে যাই যদি সেই ৯০ দশকে!

অসমাপ্ত""""""""

 




মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইন্ডিয়া আউট।

 গত বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের চারপাশে ইন্ডিয়া আউট নামে বেশ জোরে শোরে একটা করমসুচি চলমান আছে।শুরু টা পিনাকি দাদার ইউটিউব এর ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে। তিনি বেশ বড় মাপের একজন মানুষ। তার প্রত্যেক টা ভিডিও বেশ তথ্যবহুল। তা ছাড়া তার জনপ্রিয়তা ও নেহাৎ কম নয়।কারণ তিনি যে কোনো ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে লক্ষাধিক ভিউ হয়ে যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে। 

এখন আমার বক্তব্য হলো এই ইন্ডিয়া আউট করমসুচি টা তিনি শুধু রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যাবহার করে আসলেও এই টা আমার মতে আমাদের জাতিগত ইস্যু। প্রত্যেক টা মানুষ তার দেশ কে ভালবাসা করতব্য এখানে কোনো দ্বিমত নেই। যদি কেউ দেশের প্রতি বিদ্রোহ কিছু করে তা হলে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া করতব্য।কিন্তু সেই দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক বলে পিনাকী দাদা বরতমান সরকার কে শতভাগ দাবি করে আসছেন। 

এখন আমার মনে প্রশ্ন যে যদি সরকার সত্যিই ইন্ডিয়ার দালাল বা সহজোগি হিসাবে কাজ করে থাকে তা হলে তো এই ১৬/১৭ বছরের ক্ষমতা দিয়ে দেশ বিক্রি করে দেয়ার কথা। তা কেন করতে পারে নি?

আপনি যে সকল তত্য তুলে ধরেছেন তাঁর জন্য সত্যিই মনে অনেক কিছু নাড়া দিয়ে গেছে। আমাদের দেশে আলু পিয়াজের উৎপাদন এর পরিমাণ চাহিদা আর ব্যাবসায়ীদের কার সাজি চোখে পড়ার মতো। তা ছাড়া ও এই দেশের অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে ও বহু কিছু সামনে এনেছেন। আপনার এই গুলো জানার আগে থেকে ই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ইন্ডিয়ান কিছু পছন্দ করি না এবং খুব জরুরি না হলে তাদের কোনো পন্য কিনি ও না।

আমার কাছে সব সময় নিজের দেশের পন্যের প্রতি অগ্রাধিকার থাকে। 

তবে আপনার এই আলোচনা কে দেশের জাতিয় পরজায়ের নেতা নেত্রীর চিন্তিত হয়ে কথা বলতে দেখে অবাক হচ্ছি আর ভাবছি,,

ডাল মে কুচ কালা হে,,,

এক বিন্দু ও মিত্যা নয়।

 *মৃত্যুর স্বাদ তুমাকে গ্রহণ করতেই হবে।  *তুমার আমার রিজিক নিরদারিত একটু ও বেশি বা কম গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারবে না। *মৃত্যুর পরে তুমার জীবনের প্রত্যেক কাজের জন্য জবাব দিতে হবে। *গায়েব জানেন শুধু মাত্র আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা। *হিংসা মনে পুশলে ধংশ্ব তুমার জন্য অনিবার্য। *সত্যি কে মিত্যা দিয়ে ডেকে দিয়ে কখনো মনে শান্তি পাওয়া যাবে না। 

*পর উপকার সব সময় মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। *মা বাবার দোয়া থাকলে কোনো বিপদ আপদ ক্ষতির মুখে পড়বে না। *ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা আর ন্যায় সংগত চেস্টা থাকলে সফলতা আসবে ই। *দানে কখনো ধন কমে না। *তুমার চরিত্র ই আজকে তুমাকে এখানে দাড় করিয়েছে। *চাহিদার চেয়ে সন্তুষ্টি লাভ করতে পারলে অশান্তি কখনো গ্রাস করতে পারবে না। 

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

বই নিয়ে গবেষণা,

দুনিয়ার শুরু থেকে আজকের এই সময় পরজন্ত যত প্রকার গবেষণা হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বার গবেষণা করা হয়েছে একটি বই নিয়ে। আপনি জানেন কি সেই বইয়ের নাম কি? আপনার আমার সবার কাছে এই বইয়ের নাম আর গুনাগুন সম্বন্দে কথা শুনেছি।আবার নিজে না পড়ে সেই বইয়ের প্রতি আমাদের সকলের অগাদ বিশ্বাস ও আছে। দুনিয়ার কিছু মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস হলে পরে সে যদি সেই বই কে মনোযোগ দিয়ে বুজে পড়ার চেস্টা করেছে তা হলে তার জীবন ই পাল্টে গেছে।
আমি এতক্ষন ধরে যে বইয়ের কথা বলছি তা আশা করি সবাই বুজতে পারছেন। জি মহা গ্রন্ত আল কুরআন এর কথা ই বলছি। সবাই দিদাহিন ভাবে মেনে নিয়েছেন।কিন্তু তা মনে হয় ঠিক করছেন না।আর কেন ঠিক করছেন না তার ব্যাখ্যা করি।

 
কুরআন নিরভুল গ্রন্থ আমাদের সবার জীবনের জন্য গাইডেন্স এর মতো আর কিছু হবে না। এর একটি আয়াত ও আমরা কেউ তৈরি করে দেখাতে পারবো না। তা ছাড়া ও শুনে আসছি যে সমস্যা থাকে যদি জীবনে মরনে চলে আসো খুলে দেখো সমাধান পেয়ে যাবে পবিত্র কুরআনে।
আমাদের সবার কাছে এই শুনে ই মেনে নেয়া।পড়ে দেখে নয়। কিন্তু পড়ে বুজে দেখলে এই দুনিয়া সমাজ ব্যাবস্থা সব কিছু একেবারে ই আলাদা আর প্রশান্তিময় হতে পারতো। 
আমার কথায় হয়তো কেউ পড়তে বসে যাবেন না। পড়লে ও আপনার আগের হিসাব অনুযায়ী শুধু মাত্র সওয়াব প্রাপ্তির আশায় মাঝে মাঝে পড়বেন। কিন্তু সওয়াব প্রাপ্তির পাশাপাশি দুনিয়ার জন্য ও প্রাপ্তি যদি আশা করেন তা হলে বুজে পড়ার চেষ্টা করেন। 

📖 বই নিয়ে গবেষণা ও তার আলোকে পবিত্র আল কুরআন

ভূমিকা:

মানুষের জ্ঞান অর্জন ও বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো বই। যুগে যুগে, সমাজ-সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য কিংবা ধর্মীয় বিধান — সব কিছুই লিপিবদ্ধ হয়েছে বইয়ের পাতায়। তবে বইয়ের প্রকৃত মর্যাদা ও তাৎপর্য আমরা অনুধাবন করতে পারি যখন আমরা তা কুরআনের আলোকে বিচার করি। কেননা, পবিত্র আল কুরআন নিজেই একটি মহাগ্রন্থ, যা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ও শ্রেষ্ঠ বই।

বই নিয়ে গবেষণা:

বিশ্বব্যাপী বই নিয়ে নানাবিধ গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, এবং শিক্ষাবিদরা বইয়ের প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের মতে:

  • বই মানুষের চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ ও আচরণে প্রভাব ফেলে।

  • একটি ভালো বই মানুষের মননশীলতা ও চরিত্র গঠন করে।

  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে বই অপরিহার্য।

  • বই হলো ইতিহাসের ধারক ও বাহক।

বইয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে যখন আমরা গবেষণা করি, তখন দেখা যায় — যুগে যুগে মানবজাতির উন্নতির পেছনে বইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ধর্মগ্রন্থসমূহ মানবজীবনকে আলোর পথ দেখিয়েছে।

আল কুরআনের আলোকে বইয়ের গুরুত্ব:

পবিত্র আল কুরআনে ‘কিতাব’ শব্দটি বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। ‘কিতাব’ অর্থ বই। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন:

ذَٰلِكَ ٱلۡكِتَٰبُ لَا رَيۡبَۛ فِيهِۛ هُدٗى لِّلۡمُتَّقِينَ
“এটি সেই কিতাব (বই), এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক।”
— (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালার নিকট কিতাব তথা বইয়ের মর্যাদা কত উঁচু। কুরআন শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়; বরং এটি জীবনবিধান, মানবতা, নৈতিকতা, সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।

কুরআন কেন শ্রেষ্ঠ বই:

গবেষণা অনুযায়ী, একটি বই শ্রেষ্ঠ তখনই হয়, যখন তা মানুষের চিন্তাধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনে এবং মানবকল্যাণে সহায়ক হয়। এই দিক দিয়ে কুরআন:

  • মানবজাতিকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দের পার্থক্য শেখায়।

  • নৈতিক চরিত্র গঠন করে।

  • সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করে।

  • আত্মশুদ্ধি ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখায়।

  • বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের ইঙ্গিত প্রদান করে।

উপসংহার:

বই নিয়ে গবেষণা আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, একটি বই কিভাবে একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ বই হলো পবিত্র আল কুরআন। এই মহাগ্রন্থের আলোকে চললে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সুতরাং, আমাদের উচিত — বই পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং আল কুরআনকে জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করা।

 

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্ম নিয়ে কথা।

 অনেক জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে আপনার আমার কারোই ধর্ম নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে কথা বলা উচিৎ নয়।তবুও বলছি আর মানুষ ও তা শুনছে। আর এই বলা আর শুনার মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে।দলাদলি আর গ্রুপিংয়ের উত্তাপে ধর্মের সঠিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা থামছি না।


 

সোস্যাল নেটওয়ার্ক অতি প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিক জীবনে। ফেসবুক ইউটিউব টিকটক ছাড়া ও আরো যে সকল সোস্যাল প্লাটফর্ম আছে তার সব গুলোতে প্রতি দিন বেহিসাবি সময় ব্যয় করি। আর তা করতে গিয়ে যে ওয়াজ নসিহত তাফসির আর ফতোয়া চোখে পড়ে তার সংখ্যা বা পারসেন্ট যে কত তা আমার অজানা। 

ওয়াজ নসিহত ভালো জিনিস তবে তা যদি হয় কুরআন সুন্নার আলোকে। তা ছাড়া বাকি সব বাকওয়াছ। এখন কোন টা ভালো আর কোন টা বাকওয়াছ তা বুজবো কি ভাবে? যে সকল বক্তব্য পাই তার কোনো কথা ই ত যুক্তিতে নিজেকে সহিহ আর নিরভেজাল বলে আমাদের মানতে হবে বলে দেয়া হয়।শুধু যে মানবেন বলে ই শেষ করে দেয়া হয় তা না, না মানলে আপনি নিশ্চিত জাহান্নামি তা ও বলে দেয়া হয়।

আর জান্নাতের ফেরিওয়ালা হিসেবে সবার বিজ্ঞাপনের সাথে সাথে কোয়ালিটির শোরুমে তালা জুলার উপক্রম হয়েছে। আমার লেখা এই পরজন্ত পড়ে হয়তো কেউ মনে মনে বকা দিয়ে পন্ডিত বলে বাকিটা না পড়ে থেমে যেতে পারেন। কারণ রিলিজিয়ন নিয়ে কথা লেখা বা বলা সামনে আসলে শুধু খণ্ডাংশ পড়ে আর শুনে অভ্যস্ত হয়ে আপনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। 

সাইদি /যুক্তিবাদী /আজহারি/আনসারি/আফসারি/মাদানি /সাইফি/তাহেরি,,,,,ইত্যাদি। এই গুলো ছাড়া আর ও যে নাম না জানা শায়েখ মাশায়েখ আছেন তা সবার ই ভালো ভাবে জানা আছে। 

আমরা সবাই এই সবের মধ্যে ই কারো না কারো বক্ত।আর তা প্রকাশের জন্য মাজে মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট বা কমেন্টে বলে আসি যে হুজুর আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি। আর যে জাহার বক্ত সে শুধু তার ভিডিও রিল খুজে ফিরি। বাকিদের পোস্ট না পড়ে /দেখে বাজে কমেন্ট করে বেরিয়ে আসি।

ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এখন পরজন্ত একজন শায়েখের কাছে ও বলতে শুনি নাই যে তুমাদের কাছে আমার বলা বা লেখা এই কয়েক লাইন ই জতেস্ট এর বাহিরে কোথাও যেতে হবে না। অথচ তা বলা এই সকল মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখের সবার জন্য জরুরি বলে আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যানে মনে করি।

আর এই মনে করার একটা কারণ ও আছে। তা হচ্ছে যদি সবাই কয়েক লাইনে সীমাবদ্ধ থেকে নিজের থেকে নসিহত করতে চায় তো সবার কাছ থেকে এক ই ধরনের কথা বেরিয়ে আসবে।আর তা হলে আমাদের এই মতানৈক্য দলাদলি কিছু ই থাকার কথা নয়। কারণ সবাই কিন্তু আল্লাহ আর তার রাসুলের কথার নিরজাস বের করে কথা বলতে বাধ্য।

আমি ও বলে দিতে পারি মাত্র একটা হাদিস বা কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাখ্যায় আমাদের জন্য সব কিছু সমাধানের পথ খোলা আছে।কিন্তু বলছি না কারণ প্রথম লাইনে ই লিখেছি যে অনেক জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে ধর্ম নিয়ে কথা বলা উচিৎ নয়।তবে আমার বিশ্বাস যে মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখ মশহায়েখের প্রত্যেকের কাছে দুই চার লাইনে আল্লাহ ও তার রাসুল সা: এর কথার সারমর্ম তুলে ধরার মতো জতেস্ট জ্ঞ্যানের পরিধি আছে।

আর সেই জ্ঞ্যানের আলোকে আপনারা সবাই যে জার জায়গা থেকে একটু সচেতনতা আর বিবেকের কাট গড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে একটু সহজ সরল ভাবে ধরমের কথা বলতে চেস্টা করুন। আল্লাহ এক আর তার আদেশ নিশেধ ও এক ই। আর তার মেসেঞ্জার ও সবার শেষ জন জিনি ছিলেন তার কথা ও আল্লাহর কথা।তিনি ও অল্প তে বুজিয়াছেন।

তাহলে আমরা এই অল্পকে বেশি করে নিজেদের জন্য বুজা বড় করবো? সকল মিলিয়ন ফলোয়ার শায়েখদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা জা বেশি করে বলেন তা নিজেরা মানেন তো? যদি না মানেন তা হলে বলা থেকে বিরত থাকুন। 

জ্ঞ্যানের পরিধি ছাড়া ধর্মীয় কথা বলা অনুচিত কেন

ধর্ম এমন এক বিষয়, যা মানুষের জীবনবোধ, নৈতিকতা, আচরণ এবং পরকাল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় নয়, বরং সমাজ ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তাই ধর্ম নিয়ে কথা বলা, উপদেশ দেওয়া কিংবা লেকচার দেওয়া খুবই দায়িত্বশীল একটি কাজ। এই কাজ করার জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, গভীর পড়াশোনা এবং সব দিক বিবেচনায় নেওয়ার ক্ষমতা।

অনেক সময় দেখা যায়, কেউ সামান্য কিছু শুনে কিংবা একটু-আধটু জানার পরেই ধর্মের নামে উপদেশ দেওয়া শুরু করে দেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ, অল্প জানায় ভুলের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ধর্মের কথা মানুষের মন ও জীবনের গভীরে পৌঁছে যায়, তাই তা ভুল হলে মানুষের জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম সম্পর্কে কথা বলার আগে প্রয়োজন ধর্মগ্রন্থ, ইতিহাস, তাফসীর বা ব্যাখ্যা, এবং সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গগুলো সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মত ও বিশ্লেষণ জানাও জরুরি। কেবল আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি, প্রমাণ এবং পরিপূর্ণ বোধ নিয়ে কথা বললে তবেই তা মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়।

শুধু ধর্মীয় বক্তা নয়, যেকোনো বিষয়েই কথা বলার আগে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। কারণ, অজ্ঞতার উপর ভর করে উপদেশ দেওয়া নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলার আগে দীর্ঘ অধ্যয়ন, গবেষণা এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

একজন জ্ঞানী মানুষ কখনোই নিজেকে সর্বজ্ঞানী মনে করেন না, বরং আজীবন শিখতে থাকেন। আর ধর্মীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে এই মানসিকতা আরও বেশি জরুরি। এতে সমাজে সত্য, ন্যায় ও সঠিক দিকনির্দেশনা ছড়িয়ে পড়বে।


 


রম্যরচনা

 ১: মফিজ তার বউয়ের সাথে গল্প করছিলো সে ও মফিজের কথা মনজোগ দিয়ে শুনছিলো, মফিজ তার বউয়ের কাছে হাসতে হাসতে বলে যে আমি কত বোকা তুমি কি জান? বউ বলে কেন কি হয়েছে? তখন মফিজ বলে যে আজ সকালে জখন কারেন্ট চলে গেছিলো তখন আমি আমার মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালাইয়া মোবাইল খুজছিলাম। মফিজের বউ তার কথা শুনে জিজ্ঞেস করে পরে কি মোবাইল পাইছিলেন? 



২:বাসায় কারেন্ট নেই দেখে রবিন বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে জিজ্ঞেস করে যে লোডশেডিং হচ্ছে না আপনারা মজা করে বন্দ করছেন? তখন বিদ্যুৎ অফিসের থেকে বলা হয় যে মশাই আমরা মজা করতে যাবো কেন? লোডশেডিং হচ্ছে। রবিন তখন বলে তা হলে ঠিক আছে। আমি মজা করা মোটেই পছন্দ করি না। 

৩:বউয়ের সাথে ঝগড়া করে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে শরিফ। দরজার বাহির থেকে শরিফের বউ ডাকছে শরিফ কে,ও গো শুনছো দরজা খোল দেখ আমি বলছি যে এখন থেকে তুমি জা বলবে তা ই হবে। আমার কথা তুমার শুনতে হবে না। তখনই শরিফ দরজা খুলে বেরিয়ে আসে আর বলে যে ঠিক আছে তা হলে আমি আগে রান্না করতে গেলাম পরে কাপড় ধোয়া শেষ করে নিজে ও গোসল টা করে নিব।

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

পড়ার উপকার

 প্রতিদিন অনেক ইস্যু নিয়ে ফেসবুক ইউটিউব টিকটক সহ অনেক গুলো সোস্যাল প্লাটফর্মে প্রায় লক্ষাধিক ভিডিও আপলোড হয়। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ ও হয়।জানা না জানা ইতিহাস তত্য জানতে পারি। আবার অনেক আজগুভি কথা ও শুনি, ফেসবুক ইউটিউব এর ব্যাবহার থেকে অনেকের জীবন পাল্টে গেছে এমন গল্পের সংখ্যা কম নয়।

সব ঘটনার সত্যি মিত্যা জাছাই করা সম্ভব না হলে ও গভীর ভাবে চিন্তা করলে আপনি এতদিন ধরে যে অনলাইনে একটিভ থেকে কি ক্ষতি নিজের জন্য করেছেন তা উপলব্ধি করতে পারবেন? আর যদি চিন্তা করে বের করা কষ্ট মনে হয় তা হলে এই লেখা শেষ করে বুঝতে চেস্টা করতে পারেন। 

 


ফেসবুক ইউটিউব টিকটক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে যে শিক্ষনীয় বিষয় আপনি জা পাচ্ছেন বা পাবেন তার সব কিছু ই আপনি বইয়ের পাতায় পাবেন। আর বইয়ের পাতা থেকে তা গ্রহণ করলে বিনোদন এর পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্কের উপকারিতা কতটা প্রখর হতে পারে তা অনুমান করতে পারবেন না। 

বলতে পারেন যে বইয়ের পাতা থেকে নিতে হলে ত বই খরিদ করা লাগবে তার জন্য পয়সা লাগবে। কিন্তু আমার মতে আপনার হাতের মোবাইল আর মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাক কিনতে এই পরজন্ত জত গুলো টাকা খরচ করে ফেলেছেন তার থেকে অনেক কম টাকার বই থেকে বেশি বিনোদন আর উপকারিতা পেতে পারতেন আর পেতেন ক্ষতি থেকে মুক্তি। 

মোবাইল আর ইন্টারনেট দিয়ে সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে কি কি ক্ষতি করেছেন তার লিস্ট জানেন?  না জানলে শুনুন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন সময়ের অপচয় করে। তার পরে করেছেন চোখের। আর করেছেন নিজের বিবেকের অবক্ষয়। সাথে আছে কল্পনাতিত পাপাচার। এই গুলো ই শেষ নয় আরো অনেক কিছু ই আছে।

উপকার যে কিছু হয় নাই তা নয়।তবে তা নিতান্ত ই সামান্য কিছু মাত্র।এই উপকারের উদাহরণ হিসেবে যে জা পেয়েছেন তা সে নিজের থেকে ভালো বলতে পারবেন। আমি এতদিন ধরে একটা মাত্র উপকার ই পাইছি আর তা হচ্ছে যে আমাকে প্রচুর পরিমাণ বই পড়তে হবে। তবে ই আমি নিজের এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো। 

এখন এই কথা গুলো পড়ে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে মোবাইল ব্যাবহার কারি সবাই তো আর শিক্ষিত নয় বা সবাই তো পড়তে পছন্দ করে না। তাদের জন্য কি বলবেন? দেখুন যে লেখা পড়া জানেনা তার মোবাইলের ব্যাবহার ও সীমিত। আর জাহার পড়তে ভালো লাগে না তার জন্য সলিউশন অডিও বুক।

বই পড়ার উপকারিতা নিয়ে সামান্য কিছু লিখেছি পড়ে দেখুন। 


📚 বই পড়ার উপকারিতা

বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। এটি শুধু আমাদের মেধা ও চিন্তাশক্তিকে প্রসারিত করে না, বরং জীবনের নানা দিক সম্পর্কে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের গুরুত্ব কমে যায়নি। বরং সঠিক জ্ঞানের জন্য বইয়ের বিকল্প নেই।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বই পড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:

📝 মানসিক বিকাশ

বই পড়া মানুষের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করে। নতুন নতুন বিষয় জানার মাধ্যমে আমাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। এটি মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো কাজ করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়ায়।

📝 শব্দভাণ্ডার ও ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি

নিয়মিত বই পড়ার ফলে নতুন নতুন শব্দ শিখতে পারি। ফলে নিজের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি দক্ষতা বাড়ে।

📝 মানসিক চাপ কমানো

বই পড়া এক ধরণের মানসিক প্রশান্তি দেয়। এটি স্ট্রেস কমাতে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ভালো একটি গল্প বা প্রেরণাদায়ক বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়।

📝 স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য

বই পড়ার সময় গল্পের চরিত্র, ঘটনা ও বিশদ বিবরণ মনে রাখতে হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

📝 জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা

বই পড়া আমাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন — সব কিছু সম্পর্কে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।

📝 সৃজনশীলতা বাড়ায়

বই পড়ার অভ্যাস সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। নতুন চিন্তা, ভাবনা ও আইডিয়া তৈরি হয়।


📌 উপসংহার

বই শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক, সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে সফলতা অর্জন করা সহজ হয়। তাই সময় পেলেই বই পড়ুন এবং নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করুন।


 📖✨

 

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

রমজান/রোজা

 আরবি মাসের নবম মাসের নাম হচ্ছে রমজান। এই মাসের গুরুত্ব ফজিলত আর কিছু কথা।পবিত্র এই মাস নিয়ে লক্ষাধিক বক্তব্য আলোচনা বইয়ের পাতা আর ইন্টারনেট জুড়ে ই আছে।নতুন করে হয়তো আমার এই লেখা একেবারে ই গুরুত্বহিন।যদি কেউ পড়তে ভালো বাসেন তো পুরো পুরি শেষ করে দেখতে পারেন। আর অনর্থক মনে হলে এড়িয়ে ও যেতে পারেন। 

রিলিজিয়াস ব্যাপার টা একান্ত আপনার অনুভূতির। এই কাজে কাউকে বুজিয়ে বলতে পারবেন না। যদিও আমাদের চারপাশে ধরম/করম নিয়ে মোটিভেট করতে থাকা আলেম উলামা ছাড়া ও অনেক জনকে ই পাবেন। কিন্তু তা থেকে আপনি ধরমের প্রতি আক্রিস্ট হবেন না যতক্ষণ না আপনার অন্তরে নাড়া না দিবে।

রমজান মাসে দিনের বেলা না খেয়ে থাকতে বলা হয়েছে না তার সাথে আরও কিছু আছে?উত্তর অবশ্য ই শুধু না খেয়ে থাকতে বলা হয় নাই সাথে আর ও কিছু আছে।এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল কুরআন কে মনজোগের সাথে বুজে পড়া। আর এই কাজ করে যদি আপনার রমজান পার করে দিতে পারেন তা হলে আপনি সফল। 

কুরআন কেন মনজোগ দিয়ে বুজে পড়বেন? প্রথমে ই বলে নেই যে বরতমানে আমাদের কাছে একটা মাত্র নিরভুল আর দরকারী বস্তু আছে আর তা হচ্ছে পবিত্র কুরআন মজিদ। এই কুরআন কে যদি নিজের গাইডেন্স করে নিতে পারেন ত আপনি সফল। 

সবার কাছে এতদিন  শুনে আসছেন যে যদি কোনো সমস্যা আর বিপদ আপদ আপনার চারপাশে আকড়ে ধরে তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেই তবে আপনি সে বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারেন। তবে তা হতে হবে বিশ্বাসের সাথে। আর সেই বিশ্বাসের নমুনা পাইতে হলে আপনি কোরআন কে অনুসরণ করতে হবে। তা করতে হলে আপনাকে কোরআন পড়তে হবে।