সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানসিক শান্তি

 প্রত্যেক টা মানুষ তার জীবন জুড়ে কামনা করেন মানুসিক শান্তি। শিশু কাল তারুণ্যের সময় বা যৌবনে বারধৈক্ষে ও এই চাওয়া থেকে কেউ বিরত থাকতে পারেন না। তবে বয়স অনুযায়ী সে মানুসিক শান্তির মধ্যে কিছু টা ব্যাতিক্রমতা আছে।শিশু কালে যেহেতু ভালো মন্দ কিছু বুজার ক্ষমতা আমাদের থাকে না তো সেই সময়ের মানুসিক শান্তি ব্যাপার টা ও একটা আলাদা ধরনের ভাব থাকে।    তখন আমরা খেলা দুলা খাওয়া দাওয়া আর ঘুমের পাশাপাশি যে কোনো আবদার পুরন মানেই মানুসিক শান্তি। তবে না বুজার কারণে অন্যায় আবদার ও করি কিন্তু তা পুরন হয় না বলে ই কষ্ট পাই।সেই কস্ট পাওয়া হলো তখকার মানুসিক শান্তি না পাওয়া। কিন্তু বুজতে পারি না যে সেই অশান্তি টা কল্যাণের জন্য।   তারুণ্যের সময় টা মানুসিক ভাবে শান্তি লাগে চারদিকে হই হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়ানো খেলাদুলা ভালো খাবার দাবার ঘুম আর অভিবাবক থেকে শাস্তি না শুধু স্নেহ ভালোবাসা পাওয়া। তবে তখন মানুসিক শান্তি কেড়ে নেয় স্কুলে জাওয়া আসা লেখা পড়া করা হোমওয়ার্ক আর অভিবাবকদের ধমক খাওয়া। তখন ও আমরা বুজি না যে আমাদের এই মানুসিক অশান্তি আমাদের ভবিষ্যত কল্যাণের জন্য।  যৌবনের মানুসিক শান্তি খু...

আগেকার দিন গুলো।

 আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ইহাতে কোনো সন্দেহ নেই। বরতমান আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমাদের হাতের নাগালে সকল তত্য উপাত্য। সত্যি মিত্যা নির্বাচন করতে আমাদের কে এখন আর খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। যে কোনো কিছু কে জানার প্রয়োজন হলে আমরা গুগলে সার্চ করি আর পেয়ে জাই।  কিন্তু আগেকার দিনে যে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে অনেক জামেলা পোহাতে হতো। অনেক জ্ঞানী গুনি মানুষ খুঁজে তাদের মতামত নিয়ে পরে সেই জামেলার সমাধানে পোউছাইতে হইত। তার পরে ও সঠিক সমাধান হইতো কি না মনে সন্দেহ থেকে যেতো।  আজকের দিনে উন্নত জোগাজোগ ব্যাবস্থা আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কিছু কে ই সহজে সমাধান করে ফেলি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক ডেভোলেপ হয়েছে।ফেসবুক ইউটিউব দেখলে মনে হয় আমাদের সবার জ্ঞ্যানের পরিধি বিশাল। সবার কাছে লোকায়িত হাজার রকমের প্রতিবা। কিন্তু এত এত প্রতিবা জ্ঞ্যানের ছড়াছড়ি থাকার পরে ও আগেকার দিনের কষ্টে অর্জন করা তথ্য উপাত্যের যে আনন্দ তা আর খুঁজে পাই না। শুধু মাত্র আনন্দের অনুভূতি ই না আরও কিছু আছে।এখন ফেসবুক আর ইউটিউবের রিল দেখার জন্য  তথ্য কাছে থাকার পরে ও তা মনে র...

ইন্ডিয়া আউট।

 গত বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের চারপাশে ইন্ডিয়া আউট নামে বেশ জোরে শোরে একটা করমসুচি চলমান আছে।শুরু টা পিনাকি দাদার ইউটিউব এর ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে। তিনি বেশ বড় মাপের একজন মানুষ। তার প্রত্যেক টা ভিডিও বেশ তথ্যবহুল। তা ছাড়া তার জনপ্রিয়তা ও নেহাৎ কম নয়।কারণ তিনি যে কোনো ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে লক্ষাধিক ভিউ হয়ে যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে।  এখন আমার বক্তব্য হলো এই ইন্ডিয়া আউট করমসুচি টা তিনি শুধু রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যাবহার করে আসলেও এই টা আমার মতে আমাদের জাতিগত ইস্যু। প্রত্যেক টা মানুষ তার দেশ কে ভালবাসা করতব্য এখানে কোনো দ্বিমত নেই। যদি কেউ দেশের প্রতি বিদ্রোহ কিছু করে তা হলে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া করতব্য।কিন্তু সেই দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক বলে পিনাকী দাদা বরতমান সরকার কে শতভাগ দাবি করে আসছেন।  এখন আমার মনে প্রশ্ন যে যদি সরকার সত্যিই ইন্ডিয়ার দালাল বা সহজোগি হিসাবে কাজ করে থাকে তা হলে তো এই ১৬/১৭ বছরের ক্ষমতা দিয়ে দেশ বিক্রি করে দেয়ার কথা। তা কেন করতে পারে নি? আপনি যে সকল তত্য তুলে ধরেছেন তাঁর জন্য সত্যিই মনে অনেক কিছু নাড়া দিয়ে গেছে। আমাদের দেশে আলু পিয়াজের উৎপাদন এর পরিমাণ চ...

এক বিন্দু ও মিত্যা নয়।

 *মৃত্যুর স্বাদ তুমাকে গ্রহণ করতেই হবে।  *তুমার আমার রিজিক নিরদারিত একটু ও বেশি বা কম গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারবে না। *মৃত্যুর পরে তুমার জীবনের প্রত্যেক কাজের জন্য জবাব দিতে হবে। *গায়েব জানেন শুধু মাত্র আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা। *হিংসা মনে পুশলে ধংশ্ব তুমার জন্য অনিবার্য। *সত্যি কে মিত্যা দিয়ে ডেকে দিয়ে কখনো মনে শান্তি পাওয়া যাবে না।  *পর উপকার সব সময় মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। *মা বাবার দোয়া থাকলে কোনো বিপদ আপদ ক্ষতির মুখে পড়বে না। *ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা আর ন্যায় সংগত চেস্টা থাকলে সফলতা আসবে ই। *দানে কখনো ধন কমে না। *তুমার চরিত্র ই আজকে তুমাকে এখানে দাড় করিয়েছে। *চাহিদার চেয়ে সন্তুষ্টি লাভ করতে পারলে অশান্তি কখনো গ্রাস করতে পারবে না। 

বই নিয়ে গবেষণা,

দুনিয়ার শুরু থেকে আজকের এই সময় পরজন্ত যত প্রকার গবেষণা হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বার গবেষণা করা হয়েছে একটি বই নিয়ে। আপনি জানেন কি সেই বইয়ের নাম কি? আপনার আমার সবার কাছে এই বইয়ের নাম আর গুনাগুন সম্বন্দে কথা শুনেছি।আবার নিজে না পড়ে সেই বইয়ের প্রতি আমাদের সকলের অগাদ বিশ্বাস ও আছে। দুনিয়ার কিছু মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস হলে পরে সে যদি সেই বই কে মনোযোগ দিয়ে বুজে পড়ার চেস্টা করেছে তা হলে তার জীবন ই পাল্টে গেছে। আমি এতক্ষন ধরে যে বইয়ের কথা বলছি তা আশা করি সবাই বুজতে পারছেন। জি মহা গ্রন্ত আল কুরআন এর কথা ই বলছি। সবাই দিদাহিন ভাবে মেনে নিয়েছেন।কিন্তু তা মনে হয় ঠিক করছেন না।আর কেন ঠিক করছেন না তার ব্যাখ্যা করি।   কুরআন নিরভুল গ্রন্থ আমাদের সবার জীবনের জন্য গাইডেন্স এর মতো আর কিছু হবে না। এর একটি আয়াত ও আমরা কেউ তৈরি করে দেখাতে পারবো না। তা ছাড়া ও শুনে আসছি যে সমস্যা থাকে যদি জীবনে মরনে চলে আসো খুলে দেখো সমাধান পেয়ে যাবে পবিত্র কুরআনে। আমাদের সবার কাছে এই শুনে ই মেনে নেয়া।পড়ে দেখে নয়। কিন্তু পড়ে বুজে দেখলে এই দুনিয়া সমাজ ব্যাবস্থা সব কিছু একেবারে ই আলাদা আর প্রশান্তিময় হতে পারতো।  আমার ক...

ধর্ম নিয়ে কথা।

 অনেক জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে আপনার আমার কারোই ধর্ম নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে কথা বলা উচিৎ নয়।তবুও বলছি আর মানুষ ও তা শুনছে। আর এই বলা আর শুনার মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে।দলাদলি আর গ্রুপিংয়ের উত্তাপে ধর্মের সঠিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা থামছি না।   সোস্যাল নেটওয়ার্ক অতি প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিক জীবনে। ফেসবুক ইউটিউব টিকটক ছাড়া ও আরো যে সকল সোস্যাল প্লাটফর্ম আছে তার সব গুলোতে প্রতি দিন বেহিসাবি সময় ব্যয় করি। আর তা করতে গিয়ে যে ওয়াজ নসিহত তাফসির আর ফতোয়া চোখে পড়ে তার সংখ্যা বা পারসেন্ট যে কত তা আমার অজানা।  ওয়াজ নসিহত ভালো জিনিস তবে তা যদি হয় কুরআন সুন্নার আলোকে। তা ছাড়া বাকি সব বাকওয়াছ। এখন কোন টা ভালো আর কোন টা বাকওয়াছ তা বুজবো কি ভাবে? যে সকল বক্তব্য পাই তার কোনো কথা ই ত যুক্তিতে নিজেকে সহিহ আর নিরভেজাল বলে আমাদের মানতে হবে বলে দেয়া হয়।শুধু যে মানবেন বলে ই শেষ করে দেয়া হয় তা না, না মানলে আপনি নিশ্চিত জাহান্নামি তা ও বলে দেয়া হয়। আর জান্নাতের ফেরিওয়ালা হিসেবে সবার বিজ্ঞাপনের সাথে সাথে কোয়ালিটির শোরুমে তালা জুলার উপক্রম হয়েছে। আমার লেখা এই পরজন্ত পড়ে হ...

রম্যরচনা

 ১: মফিজ তার বউয়ের সাথে গল্প করছিলো সে ও মফিজের কথা মনজোগ দিয়ে শুনছিলো, মফিজ তার বউয়ের কাছে হাসতে হাসতে বলে যে আমি কত বোকা তুমি কি জান? বউ বলে কেন কি হয়েছে? তখন মফিজ বলে যে আজ সকালে জখন কারেন্ট চলে গেছিলো তখন আমি আমার মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালাইয়া মোবাইল খুজছিলাম। মফিজের বউ তার কথা শুনে জিজ্ঞেস করে পরে কি মোবাইল পাইছিলেন?  ২:বাসায় কারেন্ট নেই দেখে রবিন বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে জিজ্ঞেস করে যে লোডশেডিং হচ্ছে না আপনারা মজা করে বন্দ করছেন? তখন বিদ্যুৎ অফিসের থেকে বলা হয় যে মশাই আমরা মজা করতে যাবো কেন? লোডশেডিং হচ্ছে। রবিন তখন বলে তা হলে ঠিক আছে। আমি মজা করা মোটেই পছন্দ করি না।  ৩:বউয়ের সাথে ঝগড়া করে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে শরিফ। দরজার বাহির থেকে শরিফের বউ ডাকছে শরিফ কে,ও গো শুনছো দরজা খোল দেখ আমি বলছি যে এখন থেকে তুমি জা বলবে তা ই হবে। আমার কথা তুমার শুনতে হবে না। তখনই শরিফ দরজা খুলে বেরিয়ে আসে আর বলে যে ঠিক আছে তা হলে আমি আগে রান্না করতে গেলাম পরে কাপড় ধোয়া শেষ করে নিজে ও গোসল টা করে নিব।

পড়ার উপকার

 প্রতিদিন অনেক ইস্যু নিয়ে ফেসবুক ইউটিউব টিকটক সহ অনেক গুলো সোস্যাল প্লাটফর্মে প্রায় লক্ষাধিক ভিডিও আপলোড হয়। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ ও হয়।জানা না জানা ইতিহাস তত্য জানতে পারি। আবার অনেক আজগুভি কথা ও শুনি, ফেসবুক ইউটিউব এর ব্যাবহার থেকে অনেকের জীবন পাল্টে গেছে এমন গল্পের সংখ্যা কম নয়। সব ঘটনার সত্যি মিত্যা জাছাই করা সম্ভব না হলে ও গভীর ভাবে চিন্তা করলে আপনি এতদিন ধরে যে অনলাইনে একটিভ থেকে কি ক্ষতি নিজের জন্য করেছেন তা উপলব্ধি করতে পারবেন? আর যদি চিন্তা করে বের করা কষ্ট মনে হয় তা হলে এই লেখা শেষ করে বুঝতে চেস্টা করতে পারেন।    ফেসবুক ইউটিউব টিকটক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে যে শিক্ষনীয় বিষয় আপনি জা পাচ্ছেন বা পাবেন তার সব কিছু ই আপনি বইয়ের পাতায় পাবেন। আর বইয়ের পাতা থেকে তা গ্রহণ করলে বিনোদন এর পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্কের উপকারিতা কতটা প্রখর হতে পারে তা অনুমান করতে পারবেন না।  বলতে পারেন যে বইয়ের পাতা থেকে নিতে হলে ত বই খরিদ করা লাগবে তার জন্য পয়সা লাগবে। কিন্তু আমার মতে আপনার হাতের মোবাইল আর মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাক কিনতে এই পরজন্ত জত গুলো টাকা খরচ করে ফেলেছেন তার থেকে অনেক...

রমজান/রোজা

 আরবি মাসের নবম মাসের নাম হচ্ছে রমজান। এই মাসের গুরুত্ব ফজিলত আর কিছু কথা।পবিত্র এই মাস নিয়ে লক্ষাধিক বক্তব্য আলোচনা বইয়ের পাতা আর ইন্টারনেট জুড়ে ই আছে।নতুন করে হয়তো আমার এই লেখা একেবারে ই গুরুত্বহিন।যদি কেউ পড়তে ভালো বাসেন তো পুরো পুরি শেষ করে দেখতে পারেন। আর অনর্থক মনে হলে এড়িয়ে ও যেতে পারেন।  রিলিজিয়াস ব্যাপার টা একান্ত আপনার অনুভূতির। এই কাজে কাউকে বুজিয়ে বলতে পারবেন না। যদিও আমাদের চারপাশে ধরম/করম নিয়ে মোটিভেট করতে থাকা আলেম উলামা ছাড়া ও অনেক জনকে ই পাবেন। কিন্তু তা থেকে আপনি ধরমের প্রতি আক্রিস্ট হবেন না যতক্ষণ না আপনার অন্তরে নাড়া না দিবে। রমজান মাসে দিনের বেলা না খেয়ে থাকতে বলা হয়েছে না তার সাথে আরও কিছু আছে?উত্তর অবশ্য ই শুধু না খেয়ে থাকতে বলা হয় নাই সাথে আর ও কিছু আছে।এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল কুরআন কে মনজোগের সাথে বুজে পড়া। আর এই কাজ করে যদি আপনার রমজান পার করে দিতে পারেন তা হলে আপনি সফল।  কুরআন কেন মনজোগ দিয়ে বুজে পড়বেন? প্রথমে ই বলে নেই যে বরতমানে আমাদের কাছে একটা মাত্র নিরভুল আর দরকারী বস্তু আছে আর তা হচ্ছে পবিত্র কুরআন মজিদ। এই কুরআন কে যদি নিজের...