সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মৌলিক

আপনার আমার কাছে একটি ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কি? তার উত্তরে অবশ্য ই বলবেন খুটি দেয়াল দরজা এবং জানালা।তার পরে অন্য আসবাবপত্র তাই নয় কি?  জীবনে মৌলিক প্রয়োজন এবং বাড়াবাড়ির ফাঁদ জীবন চলার পথে আমাদের কিছু মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রয়োজনগুলো পূরণ না হলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। সাধারণত খাবার, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা — এই পাঁচটিকে মৌলিক প্রয়োজন বলা হয়ে থাকে। এগুলো আমাদের জীবন টিকিয়ে রাখে, সুস্থ রাখে এবং সমাজে সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ করে দেয়। যখন এই মৌলিক বিষয়গুলো মিটে যায়, তখন মানুষ নানা অতিরিক্ত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছুটতে শুরু করে। ভালো থাকা আর বিলাসিতার মধ্যে যে একটা সীমারেখা আছে, তা অনেকেই ভুলে যায়। অতি বাড়াবাড়ি করা কখনো কারো জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। বরং এতে অশান্তি বাড়ে, প্রতিযোগিতা বাড়ে, এবং মনের ভেতরে অপূর্ণতার যন্ত্রণা বাসা বাঁধে। বুদ্ধিমানের কাজ হলো, মৌলিক প্রয়োজনগুলো মিটে গেলে জীবনের অতিরিক্ত ছোটখাটো চাহিদাগুলো নিয়ে অতি চিন্তা না করা। নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে সুখী থাকা এবং পরিমিতিতে অভ্যস্ত হওয়া। কারণ সুখ আসলে বড় কিছু পাওয়ার মধ্যে নয়, বরং ছোট্ট ...

কি ভাবে হয়?

 আল্লাহ এক, রাসুল সাঃ এক , কুরআন এক, তা হলে মাওলানাদের প্রকারভেদ আলাদা হয় কি ভাবে? জীলাপি হুজুর, মওদুদি হুজুর, এই কথা গুলো যে মানুসিকথায় প্রকাশ করা হয় সেই অনুযায়ী সবাই মুসলিম আছে কি? জাতিকে বিব্রত করে যে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন তার উত্তর শেষ বিচারের দিন না দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন কি? কিছু বলতে হলে লেখা পড়া করে বুজে শুনে তার পরে বলতে হয়। মাসে নব্বই টা মাহফিলে বক্তব্য করলে তা যে লেখা পড়া না  করে ই করছেন তাহাতে কোনু সন্দেহ আছে কি? এক ই কুরআন এক ই হাদিস পড়ে ও কথা বলার ধরন সবার আলাদা আলাদা হয় কি করে? ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও সহনশীলতা বিষয়বস্তু: ধর্ম একটি পবিত্র ও সংবেদনশীল বিষয়। এটি শুধু বিশ্বাসের জায়গা নয়, মানুষের আত্মিক উন্নতি, নৈতিকতা ও সামাজিক শান্তির শিক্ষা দেয়। তাই ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের উচিত সেই ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল দর্শন ভালোভাবে জানা। অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ নিজ ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান ছাড়াই ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আবার, ভিন্নমতের বা ভিন্নধর্মের অনুসারীদের অবজ্ঞা করাকে ধর্মপ্রচার মনে করে। অথচ, প্রকৃত ধর্ম কখনো কারও প্রতি ঘৃণ...

প্রথম ৪০

 আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ জন্ম গত  ভাবে ন্যায় পরায়ন ইনসাফ ওয়ালা মানুষ। আবার ইসলামের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইনসাফ তথা ন্যায় পরায়নতা। আপনি আমি ততক্ষন নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবি করতে পারবো না যতক্ষণ আমি আমার জন্য যা পছন্দ করি আমার ভাইয়ের জন্য ও ঠিক তা ই পছন্দ করবো।  ইসলামের আরেক শর্ত আপনাকে আমাকে আমানতদার হতে হবে। আর আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ ছিলেন জন্ম গত ভাবে আমানতদার। আমার নবির কথা বলার শব্দ চয়ন ছিল জন্মগত ভাবে অত্যান্ত সুন্দর সাভলিল ছিল। 

বক্তা

ওয়াজ,সেমিনার,বা অনুস্টানে উপস্তিত সবার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে কিছু বলা কে আমরা বক্তব্য হীসাবে ই জানি। যিনি বলেন তাহাকে আমরা বক্তা হীসাবে জানি।আর অনুস্টানের প্রকার বেদে কথা বলার ধরন ও পাল্টায়। যেমন রাজনিতির সেমিনার হলে কথা এক ধরনের। ধর্মীয় অনুস্টানের কথা আরেক ধরনের। আবার ব্যাবসা বানিজ্য রিলেটেড হলে সেখানে বক্তব্য বা কথা বলার ধরন থাকে আরেক ধরনের। এখন সেই বক্তব্য আবার পরিবেশ পরিস্তিতি অনুযায়ী বলার ধরন আবার ও পাল্টে যায়। তা আশে পাশের বক্তব্য কে মনোযোগের সাথে খেয়াল করলে বুজতে পারবেন। 

বনি ইসরাইল।

 পবিত্র আল কুরআন,হুজুর শায়েখদের কথায়,ইসলামের ইতিহাসে বেশি বেশি শুনা যায় একটি জাতির কথা। আর সেই জাতি হচ্ছে বনি ইসরাইল। আর সেই জাতির পরিচয় এতদিনে ওয়াজ নসিহত ইসলামের ইতিহাস বা আল কুরআন পড়ে থাকলে সবার জেনে যাবার কথা। তার পরেও সংকিপ্ত আকারে আলোচনা করি। হজরত ইব্রাহিম আঃ এর ২ সন্তানের একজন ইসহাক আর এক জনের নাম ইসমাইল। এই দুই জনের থেকে আলাদা গোত্রে ভাগ হয়ে বনি ইসরাইল আর বনি ইসমাইল হীসাবে এখনো আমরা এই দুনিয়ায় বসবাস করছি। এই বনি ইসরাইল যে কারা আর বনি ইসমাইল কারা তা হুজুর শায়েখের বক্তব্যে ভাগ করে দিলে ও আমি সন্দিহান তাদের বলা কথায়। ব্যাপার টা খুলে না বললে জঠিল লাগবে। তার জন্য একটু খুলে বলতে চেস্টা করি।  ইসহাক আঃ এর গোত্র ধরে অনেক নবি রাসুল আগমন করলে ও ইসমাইল আঃ এর গোত্রে শেষ নবি আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ ছাড়া আর কোনু নবি আগমন করেন নাই। ইতিহাস আর ওয়াজ নসিহত থেকে বুজতে পারলাম আমরা মুসলিম মানে বনি ইসমাইল।আর অমুসলিম মানে বনি ইসরাইল। তবে আমার মতে বনি ইসরাইল ও বনি ইসমাইল দুই গোত্রের লোক জন ই মুসলিম আর অমুসলিম দুই জাতির ভিতরে ই আছে। তবে আল্লাহ ই ভালো জানেন। আমি কেন বলছি যে মুসলমানের ভিতরে ও ...

আগেকার দিন গুলি।

 সময়ের কাছে আমরা সবাই অসহায় তবু ও সময় কে ব্যয় করে যাচ্ছি অবলিলায়। সময়ের অনেক গুরুত্ত থাকলে ও আমরা সেই গুরুত্ত্ব দিচ্ছি না। কেন যে দিচ্ছি না সেই কারন ও কেউ উপলদ্ধি করতে পারছি না। আমাদের চার পাশে এখন দেখি সবাই স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতেছি। সেই ঘন্টার পর ঘন্টা কি দেখে পার করেছি তা ও জানি না। না শিখছি না শিখাচ্ছি শুধু কারন ছাড়া সময়ের অপচয় করছি।   এই ভাবে আর কত? কবে শেষ হবে এই মোবাইল দেখা? কোনু দিন কি আর মোবাইল ছাড়া একটা দিন পার করতে পারবো? ইলেক্ট্রিক গেজেট বিহিন একটা দিনের জন্য নিজেকে কল্পনা করতে পারবো কি? কেমন ছিল আগের দিন গুলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজার চেস্টা করি। মনে করি আমাদের কাছে কোনু মোবাইল নেই।বিদ্যুত নেই।গাড়ি দিয়ে যোগাযোগ করার ও কোনু ব্যাবস্তা নেই। এক কথায় কয়েক শ বছর আগের দুনিয়ায় বসবাস করছি। এমন একটি সকাল থেকে রাত অবদি যদি নিজেকে কল্পনা করি তা হলে কেমন হবে আমাদের দিন টা? আশির দশকে আমার জন্ম হবার কারনে বই পুস্তকের গল্প ইতিহাস এর সহযোগিতা ছাড়া ত আর বাস্তবিক জীবন এর কথা বলা সম্ভব না।তার পরে ও নিজের অনুমান থেকে একটা দিনের কথা আলোচনা করি। সকালে ঘুম থে...

কবে থেকে নবি?

গত কয়েক দিন ধরে শায়েখ আহমদুল্লাহ হুজুরের একটা বক্তব্য আর সে বক্তব্যের প্রতিবাদে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরি হুজুরের আলটিমেটাম মামলা করার হুমকি তার পক্ষে নিজুম মজুমদারের একাত্ততা প্রকাশ আর শায়েখ আহমদুল্লাহ হুজুরের পক্ষে ও ভিবিন্ন আলেম উলামাদের কথা বলা। আর আমার মতো ইসলাম সম্পর্কে অল্প বুজা কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের কন্টেন্ট কমেন্ট নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক খুব ই গরম। নবুওয়াতের শুরু কবে থেকে এই প্রশ্নের উত্তর কি আমাদের মিত্যুর পরে কবর হাশর বা কিয়ামতের মাঠের কোথাও জিজ্ঞেশ করা হবে? নবিজি চল্লিশ বছর বয়সের আগে কি ধর্ম পালন করতেন তা জানা ও আমাদের জন্য খুব জরুরি কিছু না। কুরআন হাদিসের আলোচনায় আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুশরন করার কথা বলা ছাড়া নবিজির রিসালাতের সময় নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনু আদেশ নিশেধের কথা আছে বলে আমার জানা নেই। আর এই সামান্য বিষয় কে নিয়ে আমাদের এই জগড়া বিবাদের জন্য যে পাপ সংগ্রহ করছি তার ভাগ ও এই দুই শায়েখের কেউ ই নিবেন না। নামাজ ৫ ওয়াক্ত। ফরজ রোজা ১ মাস ( রমজান )।

ভাল কাজ।

 কখন কি ভাবে কি কাজ করলে পরে তা ভাল কাজ হয়? কোন ভাল কাজ না করা ই ভাল? আর ভাল কাজের সংজ্ঞা কি? এই সব প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে না জানা থাকলে মানবতার ফেরিওয়ালা হতে বিরত থাকুন।একজন অন্দ রাস্তার  পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে ই তাহাকে রাস্তা পার করে দিতে হবে না।আগে জিজ্ঞেস করে জানুন তার সাথে আর কেউ আছে কি না? রাস্তা পার হওয়া তার তখন দরকার কি না? যদি তার উত্তর হা হয় তবে ই তাহাকে রাস্তা পার করতে সাহায্য করুন। ক্ষুধার্ত কাউকে খাবার দিবেন ভালো কথা তার আগে তার জন্য ক্ষতিকর কোনু খাবার তুলে দিলে ভালো কাজ হয় না। অভাবে থাকা কাউকে রিন দেয়ার নাম উপকার নয়। অল্প বুজতে পারা কাউকে জঠিল কথায় বুজানোর থেকে না বুজানো ই ভাল। এমন কিছু চিন্তার যায়গা থেকে কিছু লিখতে চেষ্টা করলাম। যা পড়লে মানুষের মনে প্রশ্নও জাগবে, আবার চিন্তার খোরাকও পাবে। নিচে পুরোটা দিলাম:   ভাল কাজ, সময় আর মানবতার ফেরিওয়ালারা — কয়েকটা জরুরি কথা আমরা প্রায়ই শুনি, ভাল কাজ করো , মানবতার পাশে দাঁড়াও , মানবতার ফেরিওয়ালা হও । কিন্তু কখন কি কাজ করলে সেটাকে ভাল কাজ বলা যাবে? সব সময় কি ভাল কাজ করা উচিত? আর ভাল কাজের সংজ্ঞাটাই বা কি? এই প্রশ্নগুলো...

দলাদলি ছাড়েন।

 আসসালামু আলাইকুম ও রহমতুল্লাহ।অন লাইনের এই যুগে সুন্নি আহলে হাদিস চরমোনাই সালাফি হানাফি সাফিয়িই হাম্বলি জামাত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ছাড়া ও আর কত কি দলের নাম যে শুনতে পাই তার কোনু হিসাব নেই।একেক বার মনে হয় নবিজির বলা কথা আমার উম্মত ৭২ দলে বিবক্ত হবে কথার মনে হয় ষোল কলা পুরন হয়ে আর ও বাড়ছে।না জানা আর অল্প জানা আমরা যে সকল মুসলিম রয়েছি তাদের যে কি হবে সে উত্তর এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ই জানেনা। কে সঠিক আর কে বেঠিক তার ব্যাখা করার মতো জ্ঞ্যানি আমি নই।আবার এই অনেক দলের মধ্যে থেকে কোনু এক  দলে সহজে ভিড়ে জাবার মতো সহজ  সরল মানুষ ও আমি নই। আমি নাস্তিক নই।আল্লাহ এক হযরত মোহাম্মদ সাঃ আল্লার শেষ নবি। দুনিয়া ধংশ হবে।কিয়ামত ও শেষ বিচার দিবস আছে। এই কথা গুলো শত ভাগ বিশসাস করি। আল্লাহ ও তার রাসুল কে নিজের থেকে ও বেশি ভালবাসি এবং বাকিটা জীবন ও  ভালবাসতে চাই।কিন্তু এই দলাদলির ভিড়ে আমরা তা পারছি কি? অল্প জ্ঞ্যানের পরিধি থেকে সকল হুজুর শায়েখ পীর মাশায়েখ দের প্রতি অনুরুধ একটু থামুন।আমরা না জানা আর অল্প জানা মুসলিমের সংখ্যা আপনাদের থেকে বেশি।আমরা আল্লাহ কে ভয় করি নবিজিকে ভালবাসি।তা...