শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

মৌলিক

আপনার আমার কাছে একটি ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কি? তার উত্তরে অবশ্য ই বলবেন খুটি দেয়াল দরজা এবং জানালা।তার পরে অন্য আসবাবপত্র তাই নয় কি? 

জীবনে মৌলিক প্রয়োজন এবং বাড়াবাড়ির ফাঁদ

জীবন চলার পথে আমাদের কিছু মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রয়োজনগুলো পূরণ না হলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। সাধারণত খাবার, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা — এই পাঁচটিকে মৌলিক প্রয়োজন বলা হয়ে থাকে। এগুলো আমাদের জীবন টিকিয়ে রাখে, সুস্থ রাখে এবং সমাজে সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ করে দেয়।

যখন এই মৌলিক বিষয়গুলো মিটে যায়, তখন মানুষ নানা অতিরিক্ত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছুটতে শুরু করে। ভালো থাকা আর বিলাসিতার মধ্যে যে একটা সীমারেখা আছে, তা অনেকেই ভুলে যায়। অতি বাড়াবাড়ি করা কখনো কারো জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। বরং এতে অশান্তি বাড়ে, প্রতিযোগিতা বাড়ে, এবং মনের ভেতরে অপূর্ণতার যন্ত্রণা বাসা বাঁধে।



বুদ্ধিমানের কাজ হলো, মৌলিক প্রয়োজনগুলো মিটে গেলে জীবনের অতিরিক্ত ছোটখাটো চাহিদাগুলো নিয়ে অতি চিন্তা না করা। নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে সুখী থাকা এবং পরিমিতিতে অভ্যস্ত হওয়া। কারণ সুখ আসলে বড় কিছু পাওয়ার মধ্যে নয়, বরং ছোট্ট ভালো থাকা, তৃপ্তি আর শান্তির ভেতরেই লুকিয়ে থাকে।

বিলাসিতা আর বাড়াবাড়ির এই দৌড়ে পড়ে নিজের জীবনটা অসন্তোষে ভরে তোলা কোনো কাজের কথা নয়। বরং সময়, মেধা আর শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের মৌলিক প্রয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জীবনের সহজ-সরল সৌন্দর্য উপভোগ করাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

শেষ কথা

জীবন বড়ই অল্প দিনের। তাই বড় বড় ইচ্ছা, বাড়াবাড়ি বা অপ্রয়োজনীয় চাওয়া-পাওয়ার পেছনে সময় নষ্ট না করে, প্রয়োজন মেটার পর পরিমিত জীবন যাপন করাই প্রকৃত জ্ঞানের পরিচয়।

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

কি ভাবে হয়?

 আল্লাহ এক, রাসুল সাঃ এক , কুরআন এক, তা হলে মাওলানাদের প্রকারভেদ আলাদা হয় কি ভাবে?

জীলাপি হুজুর, মওদুদি হুজুর, এই কথা গুলো যে মানুসিকথায় প্রকাশ করা হয় সেই অনুযায়ী সবাই মুসলিম আছে কি?

জাতিকে বিব্রত করে যে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন তার উত্তর শেষ বিচারের দিন না দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন কি?

কিছু বলতে হলে লেখা পড়া করে বুজে শুনে তার পরে বলতে হয়। মাসে নব্বই টা মাহফিলে বক্তব্য করলে তা যে লেখা পড়া না  করে ই করছেন তাহাতে কোনু সন্দেহ আছে কি?

এক ই কুরআন এক ই হাদিস পড়ে ও কথা বলার ধরন সবার আলাদা আলাদা হয় কি করে?



ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও সহনশীলতা

বিষয়বস্তু:
ধর্ম একটি পবিত্র ও সংবেদনশীল বিষয়। এটি শুধু বিশ্বাসের জায়গা নয়, মানুষের আত্মিক উন্নতি, নৈতিকতা ও সামাজিক শান্তির শিক্ষা দেয়। তাই ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের উচিত সেই ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল দর্শন ভালোভাবে জানা।

অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ নিজ ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান ছাড়াই ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আবার, ভিন্নমতের বা ভিন্নধর্মের অনুসারীদের অবজ্ঞা করাকে ধর্মপ্রচার মনে করে। অথচ, প্রকৃত ধর্ম কখনো কারও প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ শেখায় না।

যে কোনো ধর্মপ্রচারক বা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহীদের সবার আগে প্রয়োজন নিজের ধর্ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ও সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মূল শিক্ষা ও দর্শন সম্পর্কেও ধারণা থাকা প্রয়োজন। এতে করে ধর্মীয় সংলাপ হবে গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ।

একজন প্রকৃত ধর্মপ্রচারক কখনোই মতবিরোধ সৃষ্টি করেন না। তিনি মানুষকে তাদের অবস্থান থেকে সঠিক পথে আহ্বান জানান, ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে। সব ধর্মেই শান্তি, মানবতা, ভালোবাসা, ও সহনশীলতার শিক্ষা রয়েছে।

অতএব, ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের উচিত:

  • নিজের ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা জানা।

  • ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে সম্মানজনক ধারণা রাখা।

  • অহংকার ও বিদ্বেষ পরিহার করা।

  • সহমর্মিতা ও বিনয় বজায় রেখে কথা বলা।

এভাবেই আমরা ধর্মের প্রকৃত সৌন্দর্য ও মানবিক মূল্যবোধকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে।



বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

প্রথম ৪০

 আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ জন্ম গত  ভাবে ন্যায় পরায়ন ইনসাফ ওয়ালা মানুষ। আবার ইসলামের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইনসাফ তথা ন্যায় পরায়নতা। আপনি আমি ততক্ষন নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবি করতে পারবো না যতক্ষণ আমি আমার জন্য যা পছন্দ করি আমার ভাইয়ের জন্য ও ঠিক তা ই পছন্দ করবো। 

ইসলামের আরেক শর্ত আপনাকে আমাকে আমানতদার হতে হবে। আর আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ ছিলেন জন্ম গত ভাবে আমানতদার। আমার নবির কথা বলার শব্দ চয়ন ছিল জন্মগত ভাবে অত্যান্ত সুন্দর সাভলিল ছিল।
 


ইনসাফ: ইসলামের মূল শিক্ষা

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্মগতভাবেই ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ও ইনসাফপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি নিজের জীবনে কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি, বরং সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকেছেন। তাঁর এই চারিত্রিক গুণাবলি ছিলো ইসলাম ধর্মের বুনিয়াদি শিক্ষা—ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতার বাস্তব রূপ।

ইসলামে ইনসাফ একটি মূল স্তম্ভের মতো। আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারিমে বারবার ইনসাফের আদেশ দিয়েছেন। একজন প্রকৃত মুসলিম হতে হলে শুধু নামাজ, রোজা, হজ বা যাকাত আদায় করাই যথেষ্ট নয়; বরং আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাও ফরজ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর একটি হাদিসে এসেছে—“তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্যও তা-ই চাও, যা তোমরা নিজেদের জন্য চাও।" এই শিক্ষাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা তখনই প্রকৃত মুসলিম হতে পারবো, যখন নিজের সুবিধার মতো অন্যের সুবিধাকেও গুরুত্ব দিবো।

আজকের সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা এবং নিজের আচরণে ইনসাফ কায়েম করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। আমাদের জীবনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সব জায়গায় শান্তি ফিরে আসবে।

নবী হবার আগেই প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তম চরিত্র

প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামের নবী হওয়ার বহু আগেই ছিলেন একজন অতুলনীয় চরিত্রবান মানুষ। তাঁর সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা ও মানুষের প্রতি দয়া-অনুভূতি এমন পর্যায়ে ছিল যে, পুরো আরববাসী তাঁকে 'আল-আমিন' (বিশ্বাসযোগ্য) ও 'আস-সাদিক' (সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

তৎকালীন আরব সমাজে যখন অসত্য, জুলুম ও অনাচার ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, তখনও হযরত মোহাম্মদ (সা.) ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি মিথ্যা বলতেন না, কারো সঙ্গে প্রতারণা করতেন না, কারো হক নষ্ট করতেন না। ব্যবসা-বাণিজ্যেও তিনি ছিলেন পরিপূর্ণভাবে সততার আদর্শ।

তাঁর চরিত্রের এমন দৃঢ়তা ও আস্থা এতটাই গভীর ছিল যে, মানুষ নিজের মূল্যবান সম্পদ তাঁর হেফাজতে রেখে নিশ্চিন্ত থাকত। কুরাইশ গোত্রের নেতারা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পরস্পর বিরোধিতায় লিপ্ত হলেও, যে কোনো বিবাদ মীমাংসায় তাঁর বিচার মানতে দ্বিধা করত না। কারণ, সবাই জানত তিনি কখনো পক্ষপাতিত্ব করবেন না।

এমনকি নবুয়তের আগেই তিনি সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজে অংশ নিয়েছেন—যেমন 'হিলফুল ফুজুল' নামক ন্যায়ের পক্ষে গঠিত চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে তিনি নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন।

এই সব গুণাবলি ছিল তাঁর নবুয়তের প্রস্তুতির অংশ—আল্লাহ তা’আলা তাঁকে নবুয়তের দায়িত্বের জন্য এমনভাবে গঠন করেছিলেন যেন তিনি মানব জাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ রূপে উপস্থাপিত হতে পারেন।

আসলে হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্র এমন এক উদাহরণ যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। আল্লাহর প্রিয় নবী ছিলেন মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠ প্রতিচ্ছবি—নবী হওয়ার আগেই যার প্রমাণ দিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিত্ব, কর্ম ও আচরণে।

সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪

বক্তা

ওয়াজ,সেমিনার,বা অনুস্টানে উপস্তিত সবার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে কিছু বলা কে আমরা বক্তব্য হীসাবে ই জানি। যিনি বলেন তাহাকে আমরা বক্তা হীসাবে জানি।আর অনুস্টানের প্রকার বেদে কথা বলার ধরন ও পাল্টায়। যেমন রাজনিতির সেমিনার হলে কথা এক ধরনের। ধর্মীয় অনুস্টানের কথা আরেক ধরনের। আবার ব্যাবসা বানিজ্য রিলেটেড হলে সেখানে বক্তব্য বা কথা বলার ধরন থাকে আরেক ধরনের।
এখন সেই বক্তব্য আবার পরিবেশ পরিস্তিতি অনুযায়ী বলার ধরন আবার ও পাল্টে যায়। তা আশে পাশের বক্তব্য কে মনোযোগের সাথে খেয়াল করলে বুজতে পারবেন। 

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

বনি ইসরাইল।

 পবিত্র আল কুরআন,হুজুর শায়েখদের কথায়,ইসলামের ইতিহাসে বেশি বেশি শুনা যায় একটি জাতির কথা। আর সেই জাতি হচ্ছে বনি ইসরাইল। আর সেই জাতির পরিচয় এতদিনে ওয়াজ নসিহত ইসলামের ইতিহাস বা আল কুরআন পড়ে থাকলে সবার জেনে যাবার কথা। তার পরেও সংকিপ্ত আকারে আলোচনা করি। হজরত ইব্রাহিম আঃ এর ২ সন্তানের একজন ইসহাক আর এক জনের নাম ইসমাইল। এই দুই জনের থেকে আলাদা গোত্রে ভাগ হয়ে বনি ইসরাইল আর বনি ইসমাইল হীসাবে এখনো আমরা এই দুনিয়ায় বসবাস করছি।

এই বনি ইসরাইল যে কারা আর বনি ইসমাইল কারা তা হুজুর শায়েখের বক্তব্যে ভাগ করে দিলে ও আমি সন্দিহান তাদের বলা কথায়। ব্যাপার টা খুলে না বললে জঠিল লাগবে। তার জন্য একটু খুলে বলতে চেস্টা করি।  ইসহাক আঃ এর গোত্র ধরে অনেক নবি রাসুল আগমন করলে ও ইসমাইল আঃ এর গোত্রে শেষ নবি আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ সাঃ ছাড়া আর কোনু নবি আগমন করেন নাই।

ইতিহাস আর ওয়াজ নসিহত থেকে বুজতে পারলাম আমরা মুসলিম মানে বনি ইসমাইল।আর অমুসলিম মানে বনি ইসরাইল। তবে আমার মতে বনি ইসরাইল ও বনি ইসমাইল দুই গোত্রের লোক জন ই মুসলিম আর অমুসলিম দুই জাতির ভিতরে ই আছে। তবে আল্লাহ ই ভালো জানেন। আমি কেন বলছি যে মুসলমানের ভিতরে ও বনি ইসরাইল গোত্রের মানুষ আছে তার আলোচনা করা যাক। 

আমাদের নবী ইসলাম প্রচারের সময় শুধু কি তার গোত্রের কাছে দাওয়াত দিয়েছিলেন? উত্তর হবে না। তার মানে নবীজি কোনু গোত্র বিশেষ নয় সারা দুনিয়ার সব গোত্র ততা সকল জাতির কাছে আল্লাহর বানি পৌঁছিয়েছেন। তার দাওয়াতের কল্যানে সব জাতির লোক জন থেকে ই মুসলিম হয়েছে। তার জন্য বলছি যে আমরা মুসলিম রা ও কেউ কেউ বনি ইসরাইল গোত্রের বংশধর। সে আমি আপনি যে কেউ হতে পারি।

বনি ইসরাইলের চরিত্রের একটা উল্লেখ যোগ্য দিক হল তারা অহেতুক প্রশ্ন করতো। সুরা বাকারার বাছুর নিয়ে আলোচনার অংশ ঠুক পড়লে তা অনুমান করা যায়। আর এখন আমাদের মুসলমানের চরিত্রের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে আমরা ও ঠিক সেই কাজ গুলো ই করছি। ইসলামিক যে কোনু প্রশ্ন উত্তর পর্ব দেখলে পড়লে পরে আপনি ও লক্ষ্য করেছেন অবশ্য ই।

বনি ইসরাইল হই আর বনি ইসমাইল হই তা আমাদের জন্য দোষের কিছু নয়।তবে অহেতুক প্রশ্ন করা জতেস্ট পরিমানে দোষের এবং আমাদের সবার জন্য অকল্যানের। কারন বনি ইসরাইলি রা অহেতুক প্রশ্ন করে করে ই তাদের জীবন পরিচালনাকে কঠিন করে নিয়েছিল। আমরা মুসলিম রা ও শায়েখ হুজুর আর মাওলানাদের কে নানান রকমের প্রশ্ন করে আমাদের জীবন কে কঠিন করে নিতেছি।

আপনি জর্দা খাইলে পরে রোগে আক্রান্ত হয়ে মরবেন তার জন্য ডাক্তারি পড়ে জানা লাগবে না। তা হলে জর্দা হালাল না হারাম তা জেনে কি করবেন? আল্লাহ বলেছেন মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকো ভালো কাজ করতে। আল কুরআন হচ্ছে আমাদের গাইড লাইন।আর নবিজির চরিত্র হচ্ছে আল কুরআন। তা হলে হজরত মোহাম্মদ সাঃ কবে থেকে নবী তার উত্তরে আপনার কাজ কি?




রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

আগেকার দিন গুলি।

 সময়ের কাছে আমরা সবাই অসহায় তবু ও সময় কে ব্যয় করে যাচ্ছি অবলিলায়। সময়ের অনেক গুরুত্ত থাকলে ও আমরা সেই গুরুত্ত্ব দিচ্ছি না। কেন যে দিচ্ছি না সেই কারন ও কেউ উপলদ্ধি করতে পারছি না। আমাদের চার পাশে এখন দেখি সবাই স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতেছি। সেই ঘন্টার পর ঘন্টা কি দেখে পার করেছি তা ও জানি না। না শিখছি না শিখাচ্ছি শুধু কারন ছাড়া সময়ের অপচয় করছি।


 

এই ভাবে আর কত? কবে শেষ হবে এই মোবাইল দেখা? কোনু দিন কি আর মোবাইল ছাড়া একটা দিন পার করতে পারবো? ইলেক্ট্রিক গেজেট বিহিন একটা দিনের জন্য নিজেকে কল্পনা করতে পারবো কি? কেমন ছিল আগের দিন গুলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজার চেস্টা করি।

মনে করি আমাদের কাছে কোনু মোবাইল নেই।বিদ্যুত নেই।গাড়ি দিয়ে যোগাযোগ করার ও কোনু ব্যাবস্তা নেই। এক কথায় কয়েক শ বছর আগের দুনিয়ায় বসবাস করছি। এমন একটি সকাল থেকে রাত অবদি যদি নিজেকে কল্পনা করি তা হলে কেমন হবে আমাদের দিন টা?

আশির দশকে আমার জন্ম হবার কারনে বই পুস্তকের গল্প ইতিহাস এর সহযোগিতা ছাড়া ত আর বাস্তবিক জীবন এর কথা বলা সম্ভব না।তার পরে ও নিজের অনুমান থেকে একটা দিনের কথা আলোচনা করি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধোয়ে পান্তা ভাত খেয়ে হয়তো কাজে বের হতাম। যেহেতু হেঁটে কাজে যাওয়া লাগবে তার জন্য প্রথমে ই আমাকে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠতে হতো। কাজের শেষে আবার হেঁটে বাড়ি ফিরতে হতো। এই যুগের সাথে মিলালে ও আমরা কাজ করতে সাধারনত ৮/১০ কিলোমিটার দূরে কোথাও গিয়ে কাজ করতে হইতো। তা হলে সকাল বিকাল আমাদের প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার হাটতে হইতো।

সারাদিনের কাজের পরিশ্রম আর ২০ কিলোমিটার হাটার পরে এসে বাড়িতে খাবার দাবার শেষ করার পরে কোনু প্রকার বিনোদনের জন্য মনে সায় দিতো না।আমরা তখন ঘুমিয়ে পড়তাম। তা হলে তো এক দিনের জীবন নিয়ে কথা বলে এখনকার আর আগের দিনের মধ্যে কি ব্যাবদান তা অনুমান করা যাবে না।তাই আগের  দিনের এক বছর আর একটা আধুনিক পরিবার এই রকম একটা গল্প আকারে লিখি । তার পরে দুই সময়ের উপকার আর অপকার নিয়ে আলোচনা করে দেখি কোন সময় টা বেশি ভাল।  

শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

কবে থেকে নবি?

গত কয়েক দিন ধরে শায়েখ আহমদুল্লাহ হুজুরের একটা বক্তব্য আর সে বক্তব্যের প্রতিবাদে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরি হুজুরের আলটিমেটাম মামলা করার হুমকি তার পক্ষে নিজুম মজুমদারের একাত্ততা প্রকাশ আর শায়েখ আহমদুল্লাহ হুজুরের পক্ষে ও ভিবিন্ন আলেম উলামাদের কথা বলা। আর আমার মতো ইসলাম সম্পর্কে অল্প বুজা কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের কন্টেন্ট কমেন্ট নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক খুব ই গরম। নবুওয়াতের শুরু কবে থেকে এই প্রশ্নের উত্তর কি আমাদের মিত্যুর পরে কবর হাশর বা কিয়ামতের মাঠের কোথাও জিজ্ঞেশ করা হবে?

নবিজি চল্লিশ বছর বয়সের আগে কি ধর্ম পালন করতেন তা জানা ও আমাদের জন্য খুব জরুরি কিছু না। কুরআন হাদিসের আলোচনায় আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুশরন করার কথা বলা ছাড়া নবিজির রিসালাতের সময় নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনু আদেশ নিশেধের কথা আছে বলে আমার জানা নেই। আর এই সামান্য বিষয় কে নিয়ে আমাদের এই জগড়া বিবাদের জন্য যে পাপ সংগ্রহ করছি তার ভাগ ও এই দুই শায়েখের কেউ ই নিবেন না।

নামাজ ৫ ওয়াক্ত। ফরজ রোজা ১ মাস ( রমজান )।


বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪

ভাল কাজ।

 কখন কি ভাবে কি কাজ করলে পরে তা ভাল কাজ হয়? কোন ভাল কাজ না করা ই ভাল? আর ভাল কাজের সংজ্ঞা কি? এই সব প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে না জানা থাকলে মানবতার ফেরিওয়ালা হতে বিরত থাকুন।একজন অন্দ রাস্তার  পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে ই তাহাকে রাস্তা পার করে দিতে হবে না।আগে জিজ্ঞেস করে জানুন তার সাথে আর কেউ আছে কি না? রাস্তা পার হওয়া তার তখন দরকার কি না? যদি তার উত্তর হা হয় তবে ই তাহাকে রাস্তা পার করতে সাহায্য করুন।

ক্ষুধার্ত কাউকে খাবার দিবেন ভালো কথা তার আগে তার জন্য ক্ষতিকর কোনু খাবার তুলে দিলে ভালো কাজ হয় না। অভাবে থাকা কাউকে রিন দেয়ার নাম উপকার নয়। অল্প বুজতে পারা কাউকে জঠিল কথায় বুজানোর থেকে না বুজানো ই ভাল। এমন কিছু চিন্তার যায়গা থেকে কিছু লিখতে চেষ্টা করলাম।

যা পড়লে মানুষের মনে প্রশ্নও জাগবে, আবার চিন্তার খোরাকও পাবে। নিচে পুরোটা দিলাম:


 


ভাল কাজ, সময় আর মানবতার ফেরিওয়ালারা — কয়েকটা জরুরি কথা

আমরা প্রায়ই শুনি, ভাল কাজ করো, মানবতার পাশে দাঁড়াও, মানবতার ফেরিওয়ালা হও। কিন্তু কখন কি কাজ করলে সেটাকে ভাল কাজ বলা যাবে? সব সময় কি ভাল কাজ করা উচিত? আর ভাল কাজের সংজ্ঞাটাই বা কি? এই প্রশ্নগুলোর জবাব না জেনে, না বুঝে শুধু কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে যদি কেউ মানবতার ফেরিওয়ালা হতে চায় — সেটা কি ঠিক?

চলুন একবার ভেবে দেখি।


ভাল কাজের সংজ্ঞা কি?

ভাল কাজ মানে এমন কিছু কাজ, যা অন্যের উপকারে আসে — কারও ক্ষতি না করে। আবার শুধু উপকার করলেই সেটা ভাল কাজ নয়। কাজটা করতে হবে সঠিক সময়, সঠিক পদ্ধতিতে। যেমন:

  • কারও ক্ষুধা মিটানো ভাল কাজ।

  • কিন্তু রাত তিনটায় দরজায় কড়া নেড়ে খাবার দিতে গেলে সে হয়তো ভয় পেয়ে যাবে। তখন সেটা আর ভাল কাজ থাকে না।

ভাল কাজ মানে মানবিকতা, বিবেকের আহ্বানে সাড়া দেওয়া। তবে সেটা সময়-পরিস্থিতি বুঝে।


কখন, কীভাবে, কি কাজ করলে পরে ভাল হয়?

সময় আর পদ্ধতি — এই দুইয়ের মিলন হলেই একটা কাজ ভাল হয়।

উদাহরণ:
একজন অসুস্থ মানুষকে সাহায্য করতে হবে।

  • রোগী শুয়ে আছে, তখন উপদেশ না দিয়ে পানি এগিয়ে দিন।

  • প্রয়োজন হলে তার ডাক্তার ডেকে দিন।

  • বিপদের সময় পাশে দাঁড়ান।
    এটাই ভাল কাজ।

তবে কেউ বিপদের সময় পাশে না থেকে পরে বড় বড় কথা বললে সেটা লোক দেখানো হয়ে যায়।


সবসময় কি ভাল কাজ করা উচিত?

না। সব সময় ভাল কাজ করা উচিত নয়। কারণ:

  • সব পরিস্থিতি ভাল কাজ করার উপযুক্ত না।

  • কারও ভালো করতে গিয়ে কারও ক্ষতি হলে সেটা আর ভাল কাজ থাকে না।

  • নিজের সামর্থ্য, সময়, পরিস্থিতি বুঝে ভাল কাজ করতে হয়।

উদাহরণ:
পড়ার সময় পাশের বন্ধুকে পড়া না পড়িয়ে আড্ডা দেওয়া 'ভাল বন্ধুত্ব' হতে পারে, কিন্তু নিজের পড়া নষ্ট করে দেওয়া ভাল কাজ নয়


ভাল কাজের সংজ্ঞা না জেনে ফেরিওয়ালা হওয়া ঠিক নয়

ভাল কাজ কি, কখন করতে হয়, কিভাবে করতে হয় — এই জ্ঞান ছাড়া কেউ যদি শুধু ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামে ঘুরে বেড়ায়, সেটা আত্মপ্রচার ছাড়া কিছুই না।

মানবতার ফেরিওয়ালা হতে হলে:

  • মানবতা বুঝতে হবে।

  • দয়া, সহানুভূতি আর বাস্তবতা জানতে হবে।

  • মানুষের প্রয়োজন বুঝতে হবে।

  • নিজের স্বার্থ ও অহংকার দূরে রেখে নিঃস্বার্থ হতে হবে।


শেষ কথা 

 

মানবতার ফেরিওয়ালা হওয়া সম্মানের। তবে সেটার জন্য আগে জানতে হবে কখন, কি ভাবে, কি করলে সেটা ভাল কাজ হয়। ভাল কাজের সঠিক সংজ্ঞা বোঝা জরুরি। নয়তো সেটা লোক দেখানো বা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না।

ভাল কাজ করার আগে ভাল কাজ সম্পর্কে জানুন। তারপর সাহস নিয়ে এগিয়ে যান। তখনই আপনি সত্যিকারের মানবতার ফেরিওয়ালা হতে পারবেন।

 


বুধবার, ১ মে, ২০২৪

দলাদলি ছাড়েন।

 আসসালামু আলাইকুম ও রহমতুল্লাহ।অন লাইনের এই যুগে সুন্নি আহলে হাদিস চরমোনাই সালাফি হানাফি সাফিয়িই হাম্বলি জামাত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ছাড়া ও আর কত কি দলের নাম যে শুনতে পাই তার কোনু হিসাব নেই।একেক বার মনে হয় নবিজির বলা কথা আমার উম্মত ৭২ দলে বিবক্ত হবে কথার মনে হয় ষোল কলা পুরন হয়ে আর ও বাড়ছে।না জানা আর অল্প জানা আমরা যে সকল মুসলিম রয়েছি তাদের যে কি হবে সে উত্তর এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ই জানেনা।



কে সঠিক আর কে বেঠিক তার ব্যাখা করার মতো জ্ঞ্যানি আমি নই।আবার এই অনেক দলের মধ্যে থেকে কোনু এক  দলে সহজে ভিড়ে জাবার মতো সহজ  সরল মানুষ ও আমি নই। আমি নাস্তিক নই।আল্লাহ এক হযরত মোহাম্মদ সাঃ আল্লার শেষ নবি। দুনিয়া ধংশ হবে।কিয়ামত ও শেষ বিচার দিবস আছে। এই কথা গুলো শত ভাগ বিশসাস করি। আল্লাহ ও তার রাসুল কে নিজের থেকে ও বেশি ভালবাসি এবং বাকিটা জীবন ও  ভালবাসতে চাই।কিন্তু এই দলাদলির ভিড়ে আমরা তা পারছি কি?

অল্প জ্ঞ্যানের পরিধি থেকে সকল হুজুর শায়েখ পীর মাশায়েখ দের প্রতি অনুরুধ একটু থামুন।আমরা না জানা আর অল্প জানা মুসলিমের সংখ্যা আপনাদের থেকে বেশি।আমরা আল্লাহ কে ভয় করি নবিজিকে ভালবাসি।তাদের দেখানো পথ অনুশরন করতে চাই। আর সেই সত্য টা মনে হয় খুজে বের করে আপনাদের বলে দেয়া টা খুব কঠিন কোনু কাজ নয়। আর যদি কঠিন মনে করেন তা হলে অন্যের টা বেঠিক আর আমি সঠিক তা বলা থেকে বিরত থাকুন।

দলাদলি বাদ দিয়ে সবাই এক কাতারে আসুন না হয় দল বানানো বাদ দিয়ে একাই চলুন।আমরা সাধারন মুসলিম কে বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন।নিয়ত করলাম না পড়লাম।হাত বুকে না নাভির নিচে বাধলাম।নামাজের পরে দোয়া করলাম কি না।রফাদায়িন করলাম কি না।আমিন জুরে না আস্তে বললাম এর কোনু কিছুর জবাব দিহি করতে হবে তা আল্লাহ ও তার রাসুল কখনো আমাদের বলেন নি। মিলাদ কিয়াম করে জান্নাতে চলে যাবার কথা ও কোথাও লেখা আছে তা আমার জানা নেই।

চুরি করা যাবেনা।অন্যের সম্পদ লুট করা যাবেনা।নিজের যে ঠুক আছে তা থেকে ই দান করা লাগবে।ইনসাফ ভিত্তিক জীবন চালাতে হবে।মিত্যা বলা যাবে না।আত্বিয় সজনের সাথে সু সম্পর্ক রেখে চলতে হবে।হিংসা করা যাবে না।অহংকার থাকা যাবেনা।নামাজ কায়েম করা লাগবে।অশ্লিলতা থেকে দূরে থাকতে হবে।শালিনতার সাথে পোশাক পরে চলতে হবে।এই গুলো ই তো আমাদের চরিত্রের মুল বিষয়াধি।এর বাহিরে খুব বেশি কিছু আছে কি?

আর এই মুলের ভিতরে কারো কোণূ মতবিরোধ আছে কি? নেই বলে ই আমি জানি।মতবিরোধ আছে শুধু মাত্র এই সবের ব্যাখা আর বিশ্লেশন নিয়ে।দয়া করে ব্যাখা বিশ্নলেশন নয় আল্লাহ বলেছেন তার কথা আর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে তা করুন। মানুষ কে ভালো কাজের আদেশ করতে গিয়ে নিয়ম না বলে তার মতো করে ই ভাল কাজ করতে বলুন।দেখবেন নামাজি বাড়বে।দান ও করবে।চুরি ও ছাড়বে। আল্লাহ বলেছেন তার আদেশ জানিয়ে দিতে হেদায়েত তিনি ই দিবেন আপনি নয়।

কেউ গরিব ত কেউ ধনি।কারো বসবাস দালানে ত কারো বসবাস রাস্তায়।কেউ আছে কুড়ে ঘরে।প্রত্যেকে তার অবস্তান থেকে চিন্তা করে উপরে উঠার।আল্লাহ বলেছেন যা আছে তা থেকে ব্যয় করতে।না পাওয়ার অভিযোগ নয় শুকরিয়া আদায় করতে বলা হয়েছে। প্রজ্ঞ্যা প্রশান্তি এই সব আসে আল্লাহর নিকঠ থেকে। টাকা বা সম্পদ দিয়ে প্রশান্তি কিনতে পাবেন না।আর শুধু লেখা পড়া করে ই জ্ঞ্যানি হবেন তা ও হবে না যদি আল্লাহর নিকঠ থেকে রহমত না আসে।

আর আল্লাহর কাছ থেকে হেদায়েত প্রজ্ঞ্যা রহমত পেতে হলে সব শায়েখ আর আলেম উলামাদের কে দলাদলি না করে শুধু মাত্র আল্লাহ আর তার রাসুল যা বলেছেন তা প্রচার করলে ই চলবে।ব্যাখা করে নিজের মতো করে বাড়িয়ে বলার দরকার নেই। ব্যাখা ছাড়া ই আল কুরআনের কথা গুলো কত সুন্দর তা পড়ে চিন্তা করে নবিজি যে ভাবে বলেছেন সেই ভাবে উপস্তাপন করতে চেস্টা করুন। হেদায়েত আল্লাহ ই করে দিতে পারেন।



আমি কি করলাম বা করছি তার জবাব আপনাকে দিতে হবে না শেষ বিচার দিবসে।আবার আপনা কাজ কর্মের হিসাব ও আমার কাছে চাওয়া  হবে না। কিন্তু আপনি আমাকে আর আমি আপনাকে যদি কিছু বলে তা অনুশরন করাই তা হলে তার জন্য অবশ্যই তার জবাব দেয়া লাগবে।তাই কাউকে আপনার দলে ভিড়ানোর আগে ভেবে দেখুন।আল্লাহকে ভয় করুন।গভির জ্ঞ্যানের পরিধি না থাকলে কিছু ব্যাখা করে তা অনুশরন করতে কাউকে বলা থেকে বিরত থাকুন।

আমি যদি কোরআন হাদিস ইসলামের ইতিহাস পড়ে আমার মতো করে বুজে চলি তার জন্য আপনি আমাকে ভুল বলে আখ্যা দিতে পারেন না।আমার জ্ঞ্যান যে ঠূক আছে তা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। শেষ বিচার দিনে আমার কাছে জবাব চাওয়া হলে আমি বলতে পারি যে আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা আপনার দেয়া পবিত্র গ্রন্ত আল কুরআন পড়ে আমি এই ভাবে বুজে তা পালন করেছি।কিন্তু আপনি আমাকে ব্যাখা করে বুজিয়ে তা যদি ভুল প্রমান হয় তা হলে ?

জ্ঞ্যানের আলো সবার কাছে থাকে না। আল কোরআনের হাফেজ বা শায়খুল হাদিস মানে ই আপনি জ্ঞ্যানের আলোতে আলোকিত নয়।জ্ঞ্যানের নুর আসে আল্লাহর কাছ থেকে।আপনি ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কখনো জ্ঞ্যানের গভিরতায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মৌলিক বিষয় গুলো বাধ দিয়ে ছোট ছোট আমলের প্রতি মতবিরোধ করে নিজেকে সাথে অন্যকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিয়েন না। সবার সাথে মিলে চলতে না পারলে একা চলুন।অন্যরা কি বলছে তা নিয়ে সমালোচনা করার আগে তা নিয়ে চিন্তা করুন।

আল্লাহ ও তার রাসুলের সব গুলো কথা কে নিয়ে আবার চিন্তা করুন।তার পরে মিলিয়ে দেখেন আপনার প্রতিবাদ বা একাত্ততা করার কোনু দরকার আছে কি নেই।না থাকলে তবে চুপ থাকুন।আর প্রতিবাদের মতো থাকলে পরে গঠন মুলক আলোচনার মাধ্যমে তা করুন।নবির কথা বলার সুন্না অনুশরন করুন। আমরা মানুষ প্রত্যেকেই ভাই ভাই।দুনয়াবি সমাজ ব্যাবস্তা আর শয়তানের দোকা নফসের খিয়ানতের কারনে আজকে আলাদা হয়ে কেউ আল্লাহর প্রিয় হতে পারছি না।

আমাদের প্রিয় নবি হযরত মোহাম্মদ সা: এর জীবনি দলাদলি না করে কয়েক জনের আলাদা লেখা বইটি পড়ুন। আল কুরআন বুজে পড়ার পাশাপাশি চিন্তা করে দেখুন। সুরা ফাতেহার সারাংশ সারমর্ম বুজতে পারলে ই ত আপনি বুজে ফেলার কথা আল্লাহর কাছে কি চাইতে হবে আর কি চাওয়া থেকে বিরত থাকা লাগবে। 

আসুন সবাই শুধু আল্লাহর রশি গলায় লাগাই।দলাদলি না করে অন্যের মমতামত কে সম্মান করি।যদি কারো কোথায় বুজ শিরিক পরজন্ত না পোউছায় তা হলে অযথা কলহ জগড়া না করি।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ দান করুন,,, আমিন।